লাইফস্টাইল ডেস্ক:
করোনা মোকাবেলায় রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানোর বিকল্প নেই। আবার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে পুষ্টিকর খাবার, নিয়ন্ত্রিত জীবনযাপন পদ্ধতি মেনে চলার পাশাপাশি নিয়মিত ব্যয়াম করাও প্রয়োজন।
করোনা প্রতিরোধে মাস্ক পরা খুবই জরুরি। তবে ব্যায়ামের সময় এটা পরা আদৌ ঠিক কিনা তা নিয়ে রয়েছে প্রশ্ন। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে, ব্যায়াম করার সময় মাস্ক ব্যবহার করলে শ্বাস নিতে কষ্ট হতে পারে। আবার ব্যায়ামের কারণে ঘেমে গেলে মাস্ক তাড়াতাড়ি ভিজে যেতে পারে। এতে শ্বাসকষ্ট জটিল আকার ধারণ করতে পারে। সেই সঙ্গে জীবাণুগুলি বৃদ্ধির জন্য জায়গা তৈরি করতে পারে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ব্যায়াম করার সময় বিশেষ করে বাইরে কোথায় ব্যায়াম করলে অন্যদের চেয়ে কমপক্ষে ১ মিটার দুরত্ব বজায় রাখা দরকার।
তারা বলছেন, মাস্ক পরে ব্যায়াম করলে হাইপারভেন্টিলেশন এবং মস্তিষ্কের কার্যকারিতা হ্রাস পেতে পারে। ব্যায়ামের সময় মাস্ক পরলে বাতাস চলাচলে বাধাগ্রস্ত হয়। ফলে মস্তিষ্কের কার্যকারিতা নষ্ট হতে পারে। সেই সঙ্গে শ্বাসকষ্ট বেড়ে যেতে পারে।
তাদের ভাষায়,এমনিতে ব্যায়ামের সময় হৃৎস্পন্দন বেড়ে যায়। তবে এ সময় মাস্ক ব্যবহার করলে হৃৎস্পন্দনের হার বহুগুণ বেড়ে যেতে পারে। এতে শরীরে পানিশূন্যেতা তৈরি হবে। সেই সঙ্গে হালকা মাথাব্যথা, মাথা ঘোরা ইত্যাদি সমস্যা হতে পারে। এমনকী হৃৎপিণ্ডের ওপরও চাপ সৃষ্টি করতে পারে। আবার মাস্ক পরে ব্যায়াম করলে এর ব্যাঘাতও ঘটতে পারে। কারণ মাস্ক পরে দৌড়ানো, সাইক্লিং করা কঠিন হয়ে পড়ে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, মাস্ক করে ব্যায়াম করার সময় কারো যদি বুকে ব্যথা, মাথা ঘোরানো কিংবা শ্বাস নিতে কষ্ট হয় তাহলে অবশ্যই বিরতি দেয়া উচিত।
তাদের মতে, করোনা সংক্রমণ যেহেতু এখনো চলছে এ কারণে এই মুহূর্তে বাইরে কিংবা খোলা জায়গায় ব্যায়াম না করাই ভালো। কারণ বাইর বের হলেই মাস্ক পরা আবশ্যক। আর মাস্ক পরে ব্যায়াম করলে তা শরীরের জন্য ক্ষতিকর হবে।
তারা বলছেন, যারা বাড়িতে ব্যায়াম করেন তাদের মাস্ক পরার মোটেই প্রয়োজন হয় না। বাইরে হাঁটতে বা জগিং করতে বের হলে মাস্ক ব্যবহার করলে ধীরে ধীরে চলতে হবে। তবে যাদের ফুসফুসের সমস্যা, অ্যাজমা বা হৃদরোগজনিত জটিলতা আছে মাস্ক পরে হাঁটতে গেলে বা অন্য কোন ব্যায়াম করলে তাদের অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নেয়া উচিত।
সেরা নিউজ/আকিব