ইন্টারন্যাশনাল ডেস্ক:
প্রতি বছরের জুলাই মাসে আলোকসজ্জা আর লোকে-লোকারণ্য থাকে কানাডার আলবার্টার ক্যালগিরি শহর। করোনার কারণে এবার ক্যালগিরির বিশাল বাজেটের উৎসব স্টাম্পপিড বাতিল করা হয়েছে।
কাউবয়খ্যাত এই শহরটি মেতে ওঠে তার নিজস্ব অবয়বে। পরিপূর্ণ থাকে ক্যালগিরির হোটেলের সিটগুলো। প্রাণের স্পন্দন আর বিশ্বের বিভিন্ন দেশের মানুষের মিলনমেলায় যোগ দেন প্রবাসী বাঙালিরাও।
মাল্টিকালচারালিজমের কানাডার বিভিন্ন কমিউনিটির ভিন্ন কালচার বিভিন্ন অনুষ্ঠানের মাধ্যমে তুলে ধরা হয় এই উৎসব। এর মধ্য দিয়ে পরিণত হয় অন্যরকম এক মিলনমেলার।
কিন্তু এ বছর ১০৮তম উৎসবটি সম্পূর্ণ ব্যতিক্রম। বৈস্মিক মহামারী করোনাভাইরাস স্তব্ধ করে দিয়েছে গোটা বিশ্বকে। সেই সঙ্গে ক্যালগিরির স্টাম্পপিডকে করেছে জনশূন্য।
সাধারণত মিডওয়ে গেমস, ঘোড়াদৌড়, সুস্বাদু খাবার, লাইভ মিউজিক এবং স্থানীয় দর্শক ও ছোট ছোট শিশু-কিশোরের বিভিন্ন রাইড এবং বিশ্বের বিভিন্ন স্থান থেকে আসা পর্যটকদের পদভারে মুখরিত থাকত স্টলগুলো।
কিন্তু এ বছর চিত্র সম্পূর্ণ উল্টো। ১০৮তম ক্যালগিরি স্টাম্পপিডে স্থানীয় দর্শনার্থীদের জন্য আতশবাজির ব্যবস্থা ছিল, কিন্তু তা উপভোগ করতে হয়েছে বাসায় বসে।
ক্যালগিরি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক সহযোগী ডিন, ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের প্রফেসর ড. আনিস হক বলেন, স্টাম্পপিড ব্রেকফাস্ট ক্যালগিরিবাসীর জন্য এক বিশেষ আকর্ষণ।শহরের ছোট-বড় বিভিন্ন জায়গাতে ভোরবেলা থেকে দীর্ঘলাইন শুরু হয়। প্রাদেশিক সরকারপ্রধান থেকে শুরু করে- সিটি মেয়র এবং নির্বাচিত প্রতিনিধিরা শহরের বিভিন্ন স্থানে নিজ হাতে এই ব্রেকফাস্ট জনগণকে পরিবেশন করেন।
কোনো কোনো স্থানে ঘণ্টার পর ঘণ্টা লাইনে অপেক্ষা করতে হয়। ক্যালগিরি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান স্টাম্পপিড ব্রেকফাস্টে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রেসিডেন্ট নিজে পরিবেশন করেন। এবারে ভীষণ মিস করছি জমজমাট কাউবয় পরিবেশে আধা কিলোমিটার লাইনে দাঁড়িয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের সেই ব্রেকফাস্ট।
বিশিষ্ট কলামিস্ট আব্দুল্লাহ রফিক বলেন, এ বছর করোনার প্রার্দুভাবে পৃথিবীর সবচেয়ে বড় রেডিওশো ক্যালগিরি স্টাম্পপিড হচ্ছে না। ক্যালগিরিবাসীর জন্য এটি হতাশার হলেও পরিস্থিতি আমাদের মেনে নিতেই হবে।
ক্যালগিরির স্থানীয় নীতিনির্ধারক ও বিশ্লেষকরা মনে করেন স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা এবং সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখাই এ মুহুর্তে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।
সেরা নিউজ/আকিব