সেরা নিউজ ডেস্ক: মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে জনপ্রিয় কফি শপ ‘ডানকিন ডোনেট’ তাদের ৪৫০ টি স্টোর বন্ধ করতে যাচ্ছে বলে খবর পাওয়া গিয়েছে। চলতি বছরের শেষের দিকে এই স্টোরগুলি পুরোপুরিভাবে বন্ধ হয়ে যাবে বলে একাধিক সূত্র নিশ্চিত করেছে।খোঁজ নিয়ে জানা যায় আমেরিকার বিভিন্ন গ্যাস স্টেশনের সাথে চুক্তিবদ্ধ জনপ্রিয় কফিশপ ডানকিন ডোনাট।
এর মধ্যে স্পিডওয়ে গ্যাস স্টেশনের সঙ্গে ডানকিন ডোনাটের পার্টনারশীপ দীর্ঘ দিনের। এবার সেই পার্টনারশীপ আর থাকছে না, যার কারণে ওই স্টেশনের সঙ্গে থাকা ৪৫০টি স্টোর বন্ধ করতে যাচ্ছে কর্তৃপক্ষ।
ডানকিন ডোনাটের স্টেটমেন্ট থেকে জানা যায় গ্যাস স্টেশনের ভিতরে ছোট কফি স্টোর থেকে বের হয়ে তারা বড় পরিসরে একক স্টোর করার দিক বেশি নজর দিচ্ছে।
ডানকিন ডোনাট জানায় গ্যাস স্টেশনে সারাবছর যা বিক্রি হয় ওই তার পরিমান খুবই কম। তাছাড়া করোনাকালীন সময়ে প্রায় মাস ধরে স্টোরগুলি বন্ধ থাকায় বিশাল ক্ষতির মুখে পরেছে এই প্রতিষ্ঠান। এব্যাপারে ডানকিনের প্রধান ফাইনান্সিয়াল কর্মকর্তা কেট জেস্পন বলেন,(ইস্ট কোস্ট) স্পিডওয়ের গ্যাস স্টেশনগুলোর অভ্যন্তরে অবস্থিত ডানকিন কফি স্টোরগুলো সাধারণ স্টোরগুলোর তুলনায় অনেক ছোট এবং ওই স্টোরগুলোতে সীমাবদ্ধ মেনুও রয়েছে।
তিনি আরও বলেন, “এ থেকে বেরিয়ে এসে আমরা নতুন করে বড় পরিসরে রেস্তোঁরা ডিজাইন করব। বিশেষ করে নতুন ডানকিন ডোনাটগুলোতে আরও বিস্তৃত মেনু এবং আধুনিক খাবার সরবরাহ করা থেকে সব সুবিধা থাকবে।তাহলে বাণিজ্যিক অঞ্চলগুলোতে কাস্টমারদের কফি এবং অন্যান্য খাবার পরিবেশন করার জন্য আমরা আরও ভাল অবস্থান তৈরী করে নিতে পারবো।”
জেস্পন বলেন, শুধু গ্যাসস্টেশন নয়, এর পাশাপাশি বিমানবন্দর, বিশ্ববিদ্যালয়, টুরিস্ট স্পট এবং অন্যান্য জায়গায় আমাদের ডানকিন ডোনাট কফি স্টোরগুলো সম্প্রসারিত করবো।
এদিকে, ডানকিন ডোনাটের ৪৫০টি বন্ধ হওয়া স্টোর নিয়ে আতঙ্কে আছেন প্রবাসী বাংলাদেশিরা। বর্তমানে আমেরিকায় নতুন বৈধ অভিবাসীরা প্রথমেই ডানকিন ডোনাটে এসে কাজ করা শুরু করেন। নিউইয়র্কের বেশিরভাগ কফি স্টোরগুলোতে বাংলাদেশিদের আদিপত্য।
তবে আশার বিষয় হচ্ছে এই স্টোরগুলো বন্ধ হলে বাংলাদেশিদের উপর খুব বেশি প্রভাব ফেলবে না, কারণ ওই গ্যাস স্টেশনের ভিতরে স্টোরগুলোতে বেশি এক বা দুইয়ের অধিক কেউ কাজ করেন না বলে জানিয়েছেন নিউইয়র্ক নগরীর কয়েকটি ডানকিন ডোনাট স্টোরের দায়িত্বরত জিএম সোহাগ চৌধুরী।
তবে স্টোরগুলি বন্ধ হলে কর্মহীন হয়ে পরা স্টাফদের ভাগ্যে কি ঘটবে সে সম্পর্কে কিছুই নিশ্চিত করেনি ডানকিন ডোনেট।