স্টাফ রিপোর্টার:
তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, ‘প্রকৃতপক্ষে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর নিজে এবং তার নেতৃত্বে দলের নেতারাসহ পুরো বিএনপিই এখন হোম আইসোলেশনে। হঠাৎ হঠাৎ টেলিভিশনে উঁকি দিয়ে সরকারের বিরুদ্ধে কথা বলা ছাড়া বিএনপির আর কোনো কাজ নেই।’
বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে তথ্য মন্ত্রণালয় সভাকক্ষে সমসাময়িক বিষয় নিয়ে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন তিনি। বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের ‘করোনা মোকাবিলা করা এমন কঠিন কিছু ছিল না’-এ মন্তব্য নিয়ে প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘মির্জা ফখরুল সাহেবের বক্তব্যে মনে হয় সারা দুনিয়ায় সবদেশের ক্ষেত্রেই করোনা মোকাবিলা এমন কঠিন কিছু ছিল না, অথচ উন্নত দেশগুলোসহ পৃথিবীতে লাখ লাখ মানুষ করোনায় মৃত্যুবরণ করেছে। যারা জনগণের পাশে নেই, জনগণের জন্য কিছু করছেন না, হঠাৎ হঠাৎ টেলিভিশনে উঁকি দিয়ে এ ধরণের কথা বলা তাদেরই মানায়। দায়িত্বপূর্ণ জায়গা থেকে এ ধরণের কথা বলা সমীচীন নয়।’
সমগ্র পৃথিবী আজ করোনাভাইরাসের কারণে অসহায় এবং পৃথিবীর উন্নত দেশগুলো অর্থনৈতিকভাবে বাংলাদেশের তুলনায় অনেক সমৃদ্ধ হলেও করোনা মোকাবিলায় তাদের অসহায়ত্ব প্রকাশ পেয়েছে, সেখানে মৃত্যুর মিছিল ছিল, বলেন ড. হাছান। তিনি বলেন, ‘সেই তুলনায় বাংলাদেশ সীমিত সামর্থ্যের একটি উন্নয়নশীল দেশ। এখানকার শহরগুলো পৃথিবীর সবচেয়ে ঘনবসতিপূর্ণ। এ সত্ত্বেও, এখনও পর্যন্ত সরকার এবং বেসরকারি পর্যায়ের সমস্ত হাসপাতাল ও স্বেচ্ছাসেবীসহ সম্মিলিতভাবে করোনা মোকাবিলার ক্ষেত্রে আমরা অনেক উন্নত দেশের তুলনায় সাফল্য দেখাতে সক্ষম হয়েছি, বিশেষ করে মৃত্যুহার কম রাখার ক্ষেত্রে। আমাদের দেশে মৃত্যুর হার ভারত-পাকিস্তানের চেয়েও কম এবং ইউরোপ-আমেরিকার চেয়ে অনেক কমতো বটেই।’
বিএনপি নেতা রুহুল কবীর রিজভী’র মন্তব্য ‘মানুষের মুখ বন্ধ রাখতে সরকার মামলা করছে’ -এর জবাবে ড. হাছান বলেন, ‘সরকার কারো বিরুদ্ধে মামলা করেনি। সাম্প্রতিক সময়ে যে সমস্ত মামলা হয়েছে, সবগুলোই বিভিন্ন সংক্ষুব্ধ ব্যক্তি করেছেন। বিএনপির নেতারা জনগণ এবং সরকার দু’টিই গুলিয়ে ফেলছেন। জনগণের কেউ যদি সংক্ষুব্ধ হন, দেশের প্রচলিত আইন অনুযায়ী তিনি তার সুরক্ষার জন্য যেকোনো আইনি পদক্ষেপ নেওয়ার অধিকার রাখেন।’
এসময় রিজেন্ট হাসপাতালের চেয়ারম্যান সাহেদের বিষয়ে প্রশ্নের জবাবে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ সরকারের আইনশৃঙ্খলা বাহিনী এবং গণমাধ্যমকে তাদের ভূমিকার জন্য ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, ‘সরকারই কিন্তু তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। এরপর তার ব্যাপারে পত্র-পত্রিকায় যে অনুসন্ধানী রিপোর্টগুলো বেরিয়েছে সেজন্য গণমাধ্যমকে ধন্যবাদ। এতে প্রমাণিত হয়, সে খুব সুচতুর একজন প্রতারক। এরকম আরো প্রতারক যারা আছে, আমাদের সম্মিলিতভাবে তাদেরকে খুঁজে বের করা প্রয়োজন।’
সাহেদ আওয়ামী লীগের সদস্য কি না এ প্রশ্নের জবাবে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘সে দাবি করছে, সে আওয়ামী লীগের কোনো একটা উপ-কমিটিতে ছিল। কিন্তু আমাদের দলীয় কার্যালয়ে তো আমি প্রতিদিন যাই। সে আওয়ামী লীগের কোনো উপ-কমিটির সদস্য ছিল বলে আমার জানা নেই।’
একইসঙ্গে তার এই হাসপাতালকে কোভিড-১৯ চিকিৎসা দেওয়ায় সংযুক্ত করার ক্ষেত্রে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের আরো সতর্ক হওয়া প্রয়োজন ছিল বলে আমি ব্যক্তিগতভাবে মনে করি, বলেন ড. হাছান মাহমুদ।
সেরা নিউজ/আকিব