জেটটির ডিজাইনার বুম টেকনোলজি এ তথ্য ঘোষণা করে জানিয়েছে যদি সবকিছু ঠিকঠাক চললে এক্সবি-১ প্রস্তাবিত যাত্রীবাহী নতুন সুপারসনিক জেট ২ অক্টোবর জনসাধারণের কাছে উন্মুক্ত করা হবে। যার আসন সংখ্যা থাকবে মাত্র ৫৫টি। টিকিটের মূল্য জনপ্রতি হবে ৫ হাজার ডলারের মধ্যে।
১৯৬৯ সালে সুপারসনিক প্লেন কনকর্ড যাত্রা শুরু করেছিল। ২০০৩ সালে এটি শেষ আকাশে উড়েছিল। এই শিল্পে থাকা ব্যক্তিরা বিশ্বাস করেন যেভাবে কাজ এগিয়ে যাচ্ছে অতি দ্রুত সুপারসনিক প্লেন ভ্রমণে ফিরে আসার পথ প্রশস্ত হতে যাচ্ছে।
ডেনভার-ভিত্তিক বুম টেকনোলজি এ পর্যন্ত এক্সবি- ১ তৈরি করতে ১৪১ মিলিয়ন ডলার খরচ করছে। ফ্লাইট গ্লোবাল রিপোর্ট থেকে জানা যায়, সংস্থাটি ইতিমধ্যে প্লেনের ডানাগুলো সংযুক্ত করেছে এবং ল্যান্ডিং গিয়ারের পরীক্ষা সম্পন্ন করেছে।
প্লেনটিতে কেবল একজন পাইলটের জায়গা থাকবে- অভিজ্ঞ মার্কিন বিমান বাহিনী থেকে পাইলট নিয়োগ দেয়া হবে। ২০২১ সালে ক্যালিফোর্নিয়ার মোজাভে এয়ার এবং স্পেস পোর্টে পরীক্ষার মধ্য দিয়ে যাবে এটি।
বুম এক বিবৃতিতে বলেছে, ‘এক্সবি- ১ দিয়ে আমরা প্রমাণ করছি যে সুপারসনিককে ফিরিয়ে আনতে আমরা প্রস্তুত। আমরা নিশ্চিত করছি যে সুপারসনিকের ভবিষ্যৎ নিরাপদ এবং পরিবেশ ও অর্থনৈতিকভাবে টেকসই। আমরা বুঝতে পেরেছি সুপারসনিকের চাহিদা আমাদের প্রত্যাশার চেয়ে আরও দ্রুত বৃদ্ধি পেয়েছে’।
সংস্থাটির মিশনের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘আমরা যদি দ্বিগুণ গতিতে উড়তে পারি, তাহলে পৃথিবীর পরিধি অর্ধেক হয়ে আসবে’।
রিচার্ড ব্রানসন এবং জাপান এয়ারলাইন্স ইতিমধ্যে এ খাতে বিনিয়োগ করেছে। উভয় সংস্থাই মোট ৩০টি প্লেনের আগাম অর্ডার দিয়ে রেখেছে।
বুম সুপারসনিকের প্রধান নির্বাহী ব্লেক শোল বলেছেন, ‘আপনি কনকর্ডের টিকিটের দামের চতুর্থাংশে বা বিজনেস ক্লাসের একই দামে টিকিট কেটে ভ্রমণ করতে পারবেন’।
সেরা নিউজ/আকিব