নিজস্ব প্রতিবেদক:
প্রতারণা, ঠকবাজির জগতে আইডল সাহেদ। সে প্রতারণাকে এমন পর্যায়ে নিয়ে গেছে, যা সাধারণ মানুষের ভাবনার অতীত। প্রতারণাকে ব্যবহার করে এবং সাধারণ মানুষের সঙ্গে ঠকবাজি করে কীভাবে এমন একটি পর্যায়ে চলে গেছে, যা একটি অনন্য খারাপ দৃষ্টান্ত বলে মন্তব্য করে র্যাব।
মঙ্গলবার (১৪ জুলাই) র্যাব সদর দফতরের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক লে. কর্নেল আশিক বিল্লাহ বলেন, করোনা টেস্টের ভুয়া রিপোর্ট, অর্থ আত্মসাৎসহ নানা প্রতারণার অভিযোগ নিয়ে রিজেন্ট গ্রুপ ও রিজেন্ট হাসপাতালের চেয়ারম্যান সাহেদ করিম ওরফে মো. সাহেদ পলাতক। সম্প্রতি তার বিরুদ্ধে জাল সার্টিফিকেট দেয়ার অভিযোগ উঠেছে। সাহেদের জাল সার্টিফিকেটে প্রতারিত অনেক ভুক্তভোগী র্যাব ও পুলিশে অভিযোগ জানাতে শুরু করেছে। সম্প্রতি সাহেদের রিজেন্ট হাসপাতাল ও রিজেন্ট গ্রুপের প্রধান কার্যালয়ে অভিযান চালানোর পর তার একের পর এক অপকর্ম সম্পর্কে জানতে পারে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
চেক জালিয়াতিসহ সব প্রতারণার তথ্য অনুসন্ধান করতে গিয়েই র্যাব জানতে পারে সাহেদের জাল সার্টিফিকেট জালিয়াতির কথা।
তিনি বলেন, প্রতারণার জগতে সাহেদ আইডল। প্রতারণাকে কীভাবে ব্যবহার করে সাধারণ মানুষের সঙ্গে ঠকবাজির মাধ্যমে একটা পর্যায়ে আসা যায় তার অনন্য দৃষ্টান্ত সাহেদ।
তিনি বলেন, রিজেন্ট কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় থেকে শিক্ষার্থীদের জাল সনদ দেয়া হতো। এতে শিক্ষার্থীদের মূল্যবান সময় নষ্ট হয়েছে। যে সনদগুলো শিক্ষার্থীদের দেয়া হয়েছে, তা জাল। এই সনদের মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা তাদের ব্যক্তি ও শিক্ষাজীবনে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। এ রকম অনেক ভুক্তভোগী আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করছেন। আমরা তদন্তকারী কর্মকর্তাদের সঙ্গে তাদের যোগাযোগের ব্যবস্থা করে দিচ্ছি। পাশাপাশি তাদের বক্তব্য গুরুত্বের সঙ্গে খতিয়ে দেখা হবে।
সেরা নিউজ/আকিব