নিজস্ব প্রতিবেদক:
নানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে জনপ্রিয় কথাসাহিত্যিক হুমায়ূন আহমেদের ৮ম মৃত্যুবার্ষিকী পালন করা হয়েছে। তবে করোনা পরিস্থিতির কারণে এবার নুহাশপল্লীতে অনুষ্ঠানসূচি ছিল সংক্ষিপ্ত। লোকসমাগমও ছিল অন্যান্য বছরের চেয়ে কম।
রোববার (১৯ জুলাই) গাজীপুর সদর উপজেলার পিরুজালী গ্রামে নিজ হাতে গড়া স্বপ্নের নুহাশপল্লীতে হুমায়ূন আহমেদকে স্মরণ করেন স্বজন ও শুভানুধ্যায়ীরা।
কবর জিয়ারত শেষে হুমায়ূন আহমেদের স্ত্রী মেহের আফরোজ শাওন সাংবাদিকদের বলেন, ‘হুমায়ূন আহমেদের সমাধির পাশেই জায়গা ঠিক করেছি, সেখানে হুমায়ূন জাদুঘর হবে। কিন্তু নুহাশ পল্লী একটি পারিবারিক সম্পদ। পারিবারিক সম্পত্তির মধ্যে এ রকম কিছু একটা করতে হলে প্রত্যেকের অনুমতির প্রয়োজন আছে। ওই জায়গাটিতে আমি এখনো অপারগ হয়ে আছি। এটা আমারই ব্যর্থতা। আমি আসলে এখনো সবাইকে একত্রিত করতে পারিনি। প্রত্যেকের ব্যস্ততার কারণে কিছুটা ‘সমন্বয়হীনতা’ আছে।’
এ সময় শাওন জোর দিয়ে বলেন, ‘ তবে নুহাশপল্লীতেই হুমায়ূন জাদুঘর হবে। এটা নিশ্চিত করছি।’
হুমায়ূন আহমেদের স্মৃতিচারণ করে তিনি বলেন, ‘হুমায়ূন আহমেদ বর্ষা এবং জোসনা নিয়ে সব সময় আবেগাপ্লুত থাকতেন। আমরা তো বৃষ্টিতে ভিজি, ওনি বর্ষাটা উদযাপন করতেন। এটা আসলে ওনার পাঠকরা সবাই জানেন। বৃষ্টি ও বর্ষা নিয়ে ওনার প্রচুর গান আছে। ওনার বই, গান, চলচ্চিত্র দেখে ভক্তরা তা জানে। সেটা আলাদা করে বলতে হবে না।’
মেহের আফরোজ শাওন আরও বলেন, ‘বিশ্বজুড়ে করোনা মহামারি চলছে। এই সময়ে আমরা সব ধরনের অনুষ্ঠান সীমিত আকারে পালন করছি। প্রতিবছর এতিম বাচ্চারা নুহাশ পল্লীর ‘বৃষ্টি বিলাসে’ বসে কোরআন তেলাওয়াত করে। আমার কাছে মনে হয়, হুমায়ূন আহমেদের কাছে সেই দোয়াগুলো পৌঁছে যায়। কিন্তু এবার সেটা আমরা করতে পারিনি। এ বছর অল্প কিছু ভক্ত দূরত্ব বজায় রেখে কবর জিয়ারত করেছেন। কারণ এই করোনা মহামারির সময়ে আমাদের সবার উচিত সচেতন থাকা।’
উল্লেখ্য, ক্যানসারে আক্রান্ত হয়ে ২০১২ সালের ১৯ জুলাই ৬৪ বছর বয়সে আমেরিকার একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান জনপ্রিয় কথাসাহিত্যিক হুমায়ূন আহমেদ। পরে ২৪ জুলাই গাজীপুর সদর উপজেলার পিরুজালী গ্রামে স্বপ্নের নুহাশপল্লীর লিচুগাছ তলায় প্রয়াত হুমায়ূন আহমেদের মরদেহ দাফন করা হয়। ১৯৪৮ সালের ১৩ নভেম্বর নেত্রকোনার কেন্দুয়া উপজেলার কুতুবপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন তিনি।
সেরা নিউজ/আকিব