রিজেন্ট গ্রুপের চেয়ারম্যান সাহেদকে নিয়ে রাজধানীর উত্তরাতে মধ্যরাতে অভিযান পরিচালনা করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ।
এ সময় সাহেদের ব্যক্তিগত গাড়ি থেকে অস্ত্র ও গুলি উদ্ধার করা হয়েছে। এ ঘটনায় তার বিরুদ্ধে দুটি মামলাও দায়ের করা হয়েছে।
রোববার (১৯ জুলাই) সকালে ডিবি পুলিশ সূত্রে অভিযানের বিষয়টি জানা গেছে।
এদিকে ভুক্তভোগীদের কাছে সাহেদ সম্পর্কে জানতে চেয়েছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটেলিয়ন (র্যাব)। র্যাব বলছেন, যারা সাহেদের ভয়ে এখন পর্যন্ত মুখ খুলতে পারেননি তাদেরকে নির্ভয়ে র্যাবের কাছে অভিযোগ দিতে বলা হয়েছে। সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টাতে র্যাবের কাছে ১০০ এর অধিক অভিযোগ জমা পড়েছে।
অন্যদিকে ভুয়া কোম্পানি খুলে বিভিন্ন হাসপাতালে নিম্নমানের পিপিই, সুরক্ষা সামগ্রী সরবরাহ করতেন রিজেন্টের সাহেদ।
ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা বিভাগের প্রধান আব্দুল বাতেন বলেছেন, সাহেদ সম্পর্কে আমরা যে সকল প্রতারণার কথা জেনেছি তা ছাড়াও আরও নানাবিধ প্রতারণার সঙ্গে জড়িয়ে আছে সাহেদ। করোনাকালের প্রথম দিকে যখন পিপিইও স্বাস্থ্য সুরক্ষার সামগ্রী সংকট চলছিল। তখন ভুয়া কোম্পানি খুলে নিম্নমানের স্বাস্থ্যসুরক্ষা সামগ্রী সরবরাহ করত সাহেদ।
সংশ্লিষ্টরা জানান, ডিবি পুলিশের সদস্যরা সাহেদকে নিয়ে উত্তরার ১১ নম্বর সেক্টরের সোনারগাঁও জনপদ রোডের ৬২ নম্বর বাসার সামনে অভিযান চালায়। সেখানে সাহেদের একটি সাদা প্রাইভেটকার ছিল। সেই প্রাইভেটকারে তল্লাশি চালিয়ে ডিবির সদস্যরা ৫ বোতল বিদেশি মদ, ১০ বোতল ফেনসিডিল, একটি পিস্তল ও একটি গুলিও উদ্ধার করা হয়।
উত্তরা পশ্চিম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তপন চন্দ্র সাহা জানান, মধ্যরাতে ডিবি পুলিশ সাহেদকে নিয়ে অভিযান পরিচালনা করে। অভিযানে মদ, ফেনসিডিল ও পিস্তল উদ্ধার হওয়ার ঘটনায় দুইটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
সেরা নিউজ/আকিব