অনলাইন ডেস্ক:
বাংলাদেশের অণুজীববিজ্ঞানী সেঁজুতি সাহাকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) পোলিও ট্রানজিশন ইনডিপেনডেন্ট মনিটরিং বোর্ডের (টিআইএমবি) সদস্য করা হয়েছে। এই প্রথম কোনো বাংলাদেশিকে এই বোর্ডের সদস্য করা হলো।
সেঁজুতি বেসরকারি সংস্থা চাইল্ড হেলথ রিসার্চ ফাউন্ডেশনের (সিএইচআরএফ) বিজ্ঞানী। এই প্রতিষ্ঠানের ওয়েবসাইটে ১০ জুলাই সেঁজুতির এই অর্জনের কথা জানানো হয়। শুক্রবার সিএইচআরএফের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে সেঁজুতির টিআইএমবির সদস্য হওয়ার এ খবর জানানো হয়। এবার সেঁজুতির সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের নর্থ ক্যারোলিনা বিশ্ববিদ্যালয়ের পাবলিক হেলথ বিভাগের অধ্যাপক শেইলা লেথারম্যান ও নাইজেরিয়ার চিকিৎসক লোলা ডেয়ার নিয়োগ পেয়েছেন।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার টিআইএমবি প্রকল্প মূলত বিশ্বব্যাপী পোলিও রোগের বিস্তার রোধ নিয়ে কাজ করে। ২০১৮ সালের মে মাসে অনুমোদনের পর থেকে পোলিও সংক্রমণ পরিস্থিতি নিয়ে কাজ করছে ডব্লিউএইচও। বোর্ডের আরও দুই সদস্যের সঙ্গে সেঁজুতি সাহা মূলত ডব্লিউএইচওর মহাপরিচালক পর্যায়ে পোলিও সংক্রমণ প্রক্রিয়াটির অগ্রগতি বিষয়ে পরামর্শ দেবেন।
সেঁজুতির নেতৃত্বে একটি দল বাংলাদেশে প্রথম নভেল করোনাভাইরাসের জিনোম সিকোয়েন্সিং (জিন নকশা) করে।
সেঁজুতির বাবা অধ্যাপক সমীর সাহাও একজন অণুজীববিজ্ঞানী এবং ঢাকা শিশু হাসপাতালের মাইক্রোবায়োলজি বিভাগের প্রধান। স্বল্প আয়ের দেশগুলোতে শিশুমৃত্যুর হার কমিয়ে আনতে এই বাবা ও মেয়ের ভূমিকার প্রশংসা করে গত জানুয়ারিতে একটি ব্লগ প্রকাশ করেন বিল অ্যান্ড মেলিন্ডা গেটস ফাউন্ডেশনের সহপ্রতিষ্ঠাতা বিল গেটস।
সেঁজুতি সাহা বলেন, ‘আমি একজন বিজ্ঞানী, আমি একজন অ্যাকটিভিস্ট। আমি সব সময় বলি যে গোটা বিশ্বের সবার সমান অধিকার থাকা উচিত বিজ্ঞানচর্চায় এবং বিজ্ঞানের উপকারিতা উপভোগ করায়। কিন্তু আমরা প্রায়ই দেখি যে উন্নত দেশগুলো আমাদের তুলনায় অনেক বেশি সুবিধা পায় এবং সিদ্ধান্ত গ্রহণ প্রক্রিয়ায় তারাই যুক্ত থাকে।’
সেঁজুতি সাহা বলেন, ‘আমি চিন্তা করা শুরু করেছি কীভাবে আমি আমাদের মতো উন্নয়নশীল দেশগুলোর পক্ষে কথা বলব। আর আমার এই অর্জন কিন্তু বাংলাদেশেরও কৃতিত্ব, শুধু আমার নয়।’
সেরা নিউজ/আকিব