অনলাইন ডেস্ক:
আলোচিত জেকেজি হেলথকেয়ারের চেয়ারম্যান ডা. সাবরিনা আরিফ চৌধুরীকে করোনার নমুনা পরীক্ষার জালিয়াতির অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছে।
গত ১২ জুলাই দুপুরে সাবরিনাকে ঢাকা মহানগর পুলিশের তেজগাঁও বিভাগের কার্যালয়ে ডেকে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে প্রতারণার মামলায় গ্রেফতার দেখানো হয়।
পরে সরকারি কর্মচারী বিধিমালা ভঙ্গের অভিযোগে তাকে সাময়িক বরখাস্ত করার কথা জানায় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।
ওই আদেশে বলা হয়, ‘ডা. সাবরিনা শারমিন হুসাইন সরকারি চাকরিতে কর্মরত থাকাবস্থায় বেসরকারি প্রতিষ্ঠান জেকেজির চেয়্যারম্যান হিসেবে কর্মরত ছিলেন। করোনা টেস্টের ভুয়া রিপোর্ট দেয়া এবং অর্থ আত্মসাতের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ছিলেন। এ কারণে তাকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে।’
বর্তমানে ডিবি হেফাজতে রয়েছেন সাবরিনা। প্রথমে তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। জিজ্ঞাসাবাদে এই প্রতারণার সঙ্গে জড়িত অনেকের নাম বলেছেন তিনি।
তবে এখন প্রশ্ন হলো– এই অপরাধে ডা. সাবরিনার কী শাস্তি হতে পারে।
এ বিষয়ে চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর আনোয়ারুল কবীর বাবুল বলেন, প্রতারণার মামলা ৪২০ ও ৪০৬ দণ্ডবিধিতে তাকে গ্রেফতার দেখানো হয়েছে।
প্রতারণার মামলায় দণ্ডবিধির ৪২০ ধারায় ৭ বছর পর্যন্ত যেকোনো মেয়াদের সশ্রম বা বিনাশ্রম কারাদণ্ড এবং অর্থদণ্ডে দণ্ডিত করা যাবে। এটি জামিনযোগ্য অপরাধ।আর দণ্ডবিধির ৪০৬ ধারায় ৩ বছর পর্যন্ত যে কোনো মেয়াদের সশ্রম বা বিনাশ্রম কারাদণ্ড কিংবা অর্থদণ্ড কিংবা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হতে পারে। এটি জামিন অযোগ্য অপরাধ।
জোবেদা খাতুন হেলথকেয়ার, সংক্ষেপে জেকেজি কাজ শুরু করেছিল ২০১৫ সালে। ওই বছরই চিকিৎসক সাবরিনা শারমিন হুসেইনকে বিয়ের পর ব্যবসায়ী আরিফুল হক চৌধুরী তার দাদির নামে এই ‘অলাভজনক’ প্রতিষ্ঠানটি গড়ে তুলেছিলেন।
ওভাল গ্রুপ লিমিটেডের একটি সহযোগী প্রতিষ্ঠান জেকেজি। এটি একটি ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট ফার্ম। প্রতিষ্ঠানের প্রধান আরিফুল হক চৌধুরী হলেও চেয়ারম্যান হিসেবে পরিচয় দিতেন সাবরিনা। স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন দিবসের কাজ পেয়ে আসছিল ওভাল।
জুনের তৃতীয় সপ্তাহে পুলিশ জেকেজিতে অভিযান চালায়। জানা যায়, বিনামূল্যে পরীক্ষার অনুমতি নিয়ে জালিয়াতি করছিল জেকেজি। গ্রেফতার হন আরিফুল হক চৌধুরীসহ প্রতিষ্ঠানের আরও চার কর্মকর্তা-কর্মচারী।
সেরা নিউজ/আকিব