বিশেষ প্রতিবেদক:
যুক্তরাষ্ট্রে পাঠাওয়ের সহ-প্রতিষ্ঠাতা ও বাংলাদেশি তরুণ উদ্যোক্তা ফাহিম সালেহ হত্যায় জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে লাগাতার কর্মসূচির অংশ হিসেবে নিউইয়র্কে মানববন্ধন করা হয়েছে। বাংলাদেশিদের এ আয়োজনে ২২ জুলাই (বুধবার) ভিনদেশিরাও অংশ নেন স্বতঃস্ফূর্তভাবে। অংশগ্রহণকারী সবাই দীপ্ত প্রত্যয়ে উচ্চারণ করেন ফাহিমের মতো আর কোনো পরিশ্রমী-মেধাবি স্বপ্নবাজ যুবকের প্রাণ যাতে এভাবে না ঝরে পড়ে।
মানববন্ধনে বলা হয়, মানবতার সামগ্রিক কল্যাণে মেধার বিনিয়োগ ঘটাতে যাওয়া ফাহিম শুধু একজন মানুষ ছিলেন না; তিনি ছিলেন পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর ভাগ্য উন্নয়নের অন্যতম অবলম্বন।
গত ১৪ জুলাই নিউইয়র্কের নিজ অ্যাপার্টমেন্ট থেকে রাইড শেয়ারিং প্রতিষ্ঠান পাঠাওয়ের সহপ্রতিষ্ঠাতা ফাহিম সালেহের ছিন্ন-বিচ্ছিন্ন মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। একদিন পর জানা যায়, ফাহিমের মৃতদেহ বুকের মাঝ বরাবর কেটে খণ্ডিত করা হয়।
ফাহিমের পেশাদার ঘাতক সোমবার (১৩ জুলাই) বিকেলে লিফটে ফাহিমের সাথেই সপ্তম তলায় ওঠে। এর তিনদিন পর ১৭ জুলাই শুক্রবার সকালে ফাহিমের সাবেক ব্যক্তিগত সহকারী টাইরেস ডেভন হ্যাসপিলকে (২১) তদন্ত কর্মকর্তারা গ্রেফতার করে তার বিরুদ্ধে সেকেন্ড ডিগ্রি হত্যা মামলার চার্জশিট দেয়া হয় ক্রিমিনাল কোর্টে।
পুলিশ জানায়, ফাহিমের অ্যাকাউন্ট থেকে ৯০ হাজার ডলার চুরির জন্যে ইতোপূর্বে হ্যাসপিলকে বরখাস্ত করা হয় এবং চুরির অর্থ কিস্তিতে ফেরতের নির্দেশ দেয়া হয়। কিন্তু হ্যাসপিল সে অনুযায়ী অর্থ ফেরত না দিয়ে ফাহিমকেই নির্মমভাবে হত্যা করেছে।
এ হত্যাকাণ্ডে ক্ষুব্ধ তরুণ-সমাজের পক্ষ থেকে প্রায় প্রতিদিনই বিভিন্ন স্থানে শোক-প্রতিবাদ র্যালি হচ্ছে। ভার্চুয়াল মিটিংয়ে ফাহিমের স্মৃতিচারণের পাশাপাশি এমন একজন মেধাবি-পরিশ্রমী উদ্যোক্তা হত্যার ফলে এগিয়ে চলা অভিবাসী সমাজকে থামিয়ে দেয়ার জঘন্য অপচেষ্টা করা হলো বলে অভিমত পোষণ করা হচ্ছে।
২১ জুলাই র্যালি হয় ফাহিমের অ্যাপার্টমেন্টের নিকটবর্তী স্থানে। আগামী ১৭ আগস্ট ম্যানহাটান ক্রিমিনাল কোর্টের সামনে এ মামলার শুনানির দিন বড় ধরনের র্যালির প্রয়োজনীয়তার কথাও বলেন আয়োজকরা। কর্মসূচির আয়োজক ছিল মণিকা হকের নেতৃত্বাধীন ‘স্ট্রং উইমেন কমিউনিটি অ্যাম্পাওয়ারমেন্ট’।
সেরা নিউজ/আকিব