অনলাইন ডেস্ক:
জার্মানিতে যখন করোনা সংক্রমণ শুরু হয়, তখন হঠাৎ করেই কয়েক লক্ষ কর্মীকে অফিসের পরিবর্তে বাড়ি থেকে কাজ শুরু করতে হয়৷ এটা তাদের জন্য ছিল বড় ধরনের পরিবর্তন৷ তবে এখন অনেকে ‘হোম অফিস’ করতে আগ্রহী,জানা যায় এক সমীক্ষায়৷
চাপ কম, পরিবারের জন্য সময় বেশি, এমনকি কাজও নাকি বেশি করা যায়৷ হ্যাঁ, এমন ইতিবাচক অভিজ্ঞতার কথাই জানিয়েছেন করোনা সংকটকালে নিয়মিত হোম অফিস করছেন এমন অনেক কর্মী৷ জার্মানির স্বাস্থ্যবিমা কোম্পানি ডিএকে-র করা এক সমীক্ষায় এসব তথ্য বেরিয়ে এসেছে৷
জরিপে জানা যায়, করোনা মহামারির আগে কর্মীদের মধ্যে শতকরা ২১ ভাগ নিয়মিত মানসিক চাপে ছিলেন আর করোনাকালেতা নেমে এসেছে ১৫ শতাংশে৷ ডিএকে-র সমীক্ষায় সহায়তার জন্য গবেষণা প্রতিষ্ঠান আইজিইএস এবং ফোর্সা মোট ৭০০০ কর্মীকে এ বিষয়ে প্রশ্ন করে৷ অংশগ্রহণকারীদের যারা এখন নিয়মিত হোম অফিস করেন, তাদের ৫৬ শতাংশ জানিয়েছেন, তুলনামূলকভাবে অফিসের চেয়ে বাড়িতেই তারা বেশি ‘প্রোডাক্টিভ’৷
জরিপে অংশগ্রহণকারীদের দুই তৃতীয়াংশ জানান, হোম অফিস’ করায় পেশা এবং পরিবার দুটোকেই একসাথে ম্যানেজ করা সহজ হচ্ছে৷ তাছাড়া নিজের ঘরে বসেই কাজ করার কারণে কর্মস্থলে যাতায়াতের সময় বাঁচাতে পেরে অনেকেই খুশি৷ তবে প্রতি দুই জনের এক জনের মতে, নিজের বাড়িতে বসে অফিস করায় পেশা এবং ব্যক্তিগত জীবনকে ঠিক আলাদা করা যাচ্ছে না ৷ এর সমালোচনা করেছেন ১৮ থেকে ২৯ বছর বয়সিদের ৫২ শতাংশ ৷ সমীক্ষায় অংশগ্রহণকারীদের তিন চতুর্থাংশ সহকর্মীদের সঙ্গ মিস করছেন৷ করোনাকালে যারা নিয়মিত হোম অফিস করছেন, তাদের মধ্যে ৭৯ দশমিক নয় শতাংশ আগামীতেও অন্তত আংশিকভাবে বাড়ি থেকে কাজ করতে আগ্রহী৷
হোম অফিস যে কেবল করোনা সংক্রমণের ঝুঁকি কমায় তাই নয়, এতে মানসিক ভারসাম্যও বজায় থাকে৷ হোম অফিসের নেতিবাচক দিকও রয়েছে, তবে সেগুলো বাদ দিয়ে ইতিবাচক দিকগুলো নিয়েই মানুষের ভাবা উচিত বলে মনে করেন ডিএকে-র সিইও আন্দ্রেয়াস স্টোর্ম৷
সেরা নিউজ/আকিব