নিজস্ব প্রতিবেদক:
বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব মো. আবদুল মান্নান বলেছেন, চীনের সাইনোভ্যাক কোম্পানি বাংলাদেশে তাদের আবিষ্কৃত ভ্যাকসিনের তৃতীয় পর্যায়ের ট্রায়ালের জন্য আবেদন করেছে। প্রাথমিকভাবে কোম্পানিটি দেশের কোভিড ডেডিকেটেড সাতটি হাসপাতালের ৪২০০ স্বাস্থ্য কর্মীদের মাঝে এই ট্রায়াল সম্পন্ন করার কথা জানিয়েছে। তবে সরকার এটির পাশাপাশি যুক্তরাজ্যের অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়সহ অন্যান্য দেশের ভ্যাকসিনের ব্যাপারেও সজাগ রয়েছে।
মঙ্গলবার (৪ আগস্ট) দুপুরে সচিবালয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে সভাকক্ষে করোনা ভ্যাকসিন সংক্রান্ত এক সভায় সভাপতির বক্তব্যে এসব কথা বলেন স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব মো. আবদুল মান্নান।
ব্রিফিংয়ে আব্দুল মান্নান বলেন, ‘চীনের বেসরকারি কোম্পানি সাইনোভ্যাক এরই মধ্যে কোভিড-১৯ ভ্যাকসিনের দুই দফা পরীক্ষা সম্পন্ন করেছে। তাদের তৃতীয় পরীক্ষা বাংলাদেশে কোভিড-১৯ হাসপাতালে কাজ করা স্বাস্থ্যকর্মীদের ওপর চালাতে চায়। স্বাস্থ্য অধিদফতর হয়ে আইসিডিডিআরবির মাধ্যমে আমাদের কাছে প্রস্তাব এসেছে। আমরা বিষয়টি পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে দেখবো। যদি ইতিবাচক কিছু মনে হয় তবে উচ্চ পর্যায়ে আলোচনা করে আইসিডিডিআরবিকে সিদ্ধান্ত জানিয়ে দেওয়া হবে।
স্বাস্থ্য সচিব আরও বলেন, ‘আমরা খোঁজ-খবর নিয়ে জেনেছি চীনের সাইনোভ্যাক বায়োটিক ওষুধ কোম্পানির সঙ্গে দেশটির সরকারের সঙ্গে কোনো সংশ্লিষ্টতা নেই। ওই কোম্পানির তৈরি ভ্যাকসিন দুইবার চীনে পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালিয়ে সফল হয়েছে। সেটা বিবেচনায় রেখে সবকিছু যদি সন্তোষজনক হয় তবে আমাদের দেশের স্বাস্থ্যকর্মীদের ওপর প্রয়োগের জন্য আইসিডিডিআরবির মাধ্যমে ভ্যাকসিনটি পরীক্ষার অনুমোদন দেওয়া হবে।’
টিকা সরবরাহের ক্ষেত্রে বাংলাদেশের উদ্যোগ সংক্রান্ত সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘যাদের কাছ থেকে টিকা নিয়ে যত দ্রুত পরীক্ষা করাতে চাই না কেন, তাতেও কমপক্ষে ৬ মাস লাগবে প্রক্রিয়া সম্পন্ন হতে।’
উল্লেখ্য, করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিন আবিষ্কারে পৃথিবীতে গবেষকদের ১৪০টির বেশি দল কাজ করে যাচ্ছে। এদের মধ্যে যুক্তরাজ্য, চীন, রাশিয়ার গবেষক দল ভ্যাকসিন আবিষ্কারে আশার আলো দেখাচ্ছে। এদিকে বাংলাদেশেরও একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠান ভ্যাকসিন আবিষ্কারের তালিকায় রয়েছে।
সেরা নিউজ/আকিব