বিনোদন ডেস্ক:
করোনা অতিমারির কারণে ফ্লাইট বন্ধ থাকায় কয়েক মাস ধরে কলকাতা যেতে পারছেন না ঢাকার জনপ্রিয় অভিনেত্রী; লাস্যময়ী জয়া আহসান। এর আগে এতটা সময় কলকাতাকে ছেড়ে থাকেননি তিনি। ঘরবন্দি জীবনে হাপিয়ে উঠেছেন। আর তাই জানালেন, ফ্লাইট চালুর পর প্রথম যাত্রী হয়ে সবার আগে কলকাতা যেতে চান তিনি।
লকডাউনে ঢাকায় থাকা জয়ার সঙ্গে কথা বলে কলকাতার দৈনিক আনন্দবাজার। পত্রিকাটির অনলাইন ভার্সনের সঙ্গে আলাপকালে জয়া বলেন, “কলকাতা আমার জীবনে বিচ্ছিন্ন কিছু নয় আর। ঢাকা যদি হয় শেকড়, কলকাতায় আমি আমার ডালপালা মেলেছি। ওই যে আমার বাড়ির জানলা, তা তো যে কোনও বাড়ির চোখ। কলকাতার বাড়ির এই দীঘল চোখের জানলাটাই ছিল আমার মুক্তির দরজা। এর ভেতর দিয়ে বয়ে আসা হাওয়ার ঝাপট কোথায় উড়িয়ে নিয়ে যেত আমার ক্লান্তি, আমার অবসন্নতা। আহা, আমার মন–ভালর জানলা!”
‘বিসর্জন’ ছবির ‘পদ্মা’ বড় গভীর কণ্ঠে বলে চলেছেন তাঁর গৃহবন্দিত্বের কথা। তিনি মনে করেন, এই অতিমারিতে প্রকৃতি যেন মানব জাতিকে নিজেকে সংশোধনের সময় দিল। “আমফানের সময় খুব ভেঙে পড়েছিলাম। কাছে যেতে পারছিলাম না। দূর থেকে ওই দৃশ্য দেখা… এখন তো শুনছি ভারতের অবস্থাও সঙ্গীন। যে মানুষগুলোর সঙ্গে রোজ কাজ করেছি তাঁদের কী অবস্থা? খুব আকুল হয়ে আছি।” কাঁটাতারের যন্ত্রণা যেন সত্যিই জয়ার মধ্যে অভিঘাত তুলে চলেছে। বললেন, “বর্ডার তো সিল করে দেওয়া আছে। যে দিন প্রথম ঢাকা থেকে বাংলাদেশ বিমান উড়বে সে দিন প্রথম যাত্রী বোধহয় আমিই হব। মাঝে ভেবেছিলাম, রোড ট্রিপ করে কলকাতা চলে যাই! সেখানেও পথ বন্ধ।
গৃহবন্দি অবস্থায় বাগান করেছেন, ছবি দেখেছেন। কিন্তু একটা বইও পড়তে পারেননি বলে জানালেন। বলেন, মনই বসছিল না! একটা মাছকে যদি জল থেকে বাইরে রাখা হয়? সে কেমন রাখা? এত দিন শুটিং ফ্লোরের বাইরে আমি! জুন থেকে শুট শুরু করার কথা ছিল।” ভারত-বাংলাদেশের যাতায়াতের অবস্থা কী হবে জানেন না তিনি। মনে করেন ইন্ডাস্ট্রির অপরিসীম ক্ষতি। এক দিকে ক্ষতি, আর এক দিকে নিজেদের শুধরে নেওয়ার অনুভূতি। বললেন, “কখনও যুদ্ধ দিয়ে মানবজাতির সংশোধন হয়েছে, এ বার অতিমারি দিয়ে হল।”
তবে আর সকলের মতো জয়াও আশাবাদী। এই মুহূর্তে ছবির কাজ শুরু করা ঠিক নয় বলে মনে করলেও খুব শিগগিরি ও পারের রাস্তা খুলে যাবে বলে আশা প্রকাশ করেন। আর জানালেন, ফ্লাইট চালুর পর প্রথম যাত্রীই হবেন তিনি।
সেরা নিউজ/আকিব