করোনা না কাটতেই চীনে নতুন ভাইরাসের সন্ধান - Shera TV
  1. [email protected] : sheraint :
  2. [email protected] : theophil :
করোনা না কাটতেই চীনে নতুন ভাইরাসের সন্ধান - Shera TV
মঙ্গলবার, ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৮:০৪ পূর্বাহ্ন

করোনা না কাটতেই চীনে নতুন ভাইরাসের সন্ধান

সেরা টিভি
  • প্রকাশের সময় : বৃহস্পতিবার, ৬ আগস্ট, ২০২০

ইন্টারন্যাশনাল ডেস্ক:

উহান থেকে ছড়িয়ে পড়া করোনাভাইরাসে বেহাল সারা বিশ্ব। এটি সামলাতে গোটা দুনিয়া হিমশিম খাচ্ছে। সাত লাখের ওপর মানুষ মারা গেছেন। আক্রান্ত এক কোটিরও বেশি। এর মধ্যে আবার নতুন ভাইরাসের উৎপাত শুরু হয়েছে চীনে। বিশেষজ্ঞরা নিশ্চিত করে জানিয়েছেন, বিশেষ এক ধরনের রক্তচোষা পোকার কামড় থেকে চীনে ছড়িয়ে পড়ছে এই ভাইরাসের সংক্রমণ। নতুন ভাইরাসের সংক্রমণে এরই মধ্যে মারা গেছে সাত জন। সংক্রমিতের সংখ্যা ৬০ জন ছাড়িয়েছে। খবর ফার্স্টপোস্টের।

চীনের গ্লোবাল টাইমসের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পূর্ব চীনের জিয়াংসু প্রদেশে এ পর্যন্ত ৩৭ জনের শরীরে নতুন এসএফটিএস  ভাইরাসের উপস্থিতি শনাক্ত করা সম্ভব হয়েছে। এই ভাইরাসের সাধারণ লক্ষণের মধ্যে রয়েছে জ্বর, সর্দিকাশি এবং সেই সঙ্গে লিউকোসাইটের সংখ্যা হ্রাস। একে একসঙ্গে বলা হচ্ছে এসএফটিএস। অন্য দিকে, পূর্ব চীনের আনহুই প্রদেশেও ২৩ জন নতুন এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। করোনাভাইরাসের মতো এসএফটিএস ভাইরাস মারাত্মকভাবে প্রাণঘাতী কি না, তা এখনও পরীক্ষা-নিরীক্ষার স্তরে আছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, জিয়াংসু প্রদেশের রাজধানী নানজিংয়ের এক নারী জ্বর-সর্দির মতো সাধারণ উপসর্গ নিয়ে চিকিৎসকের কাছে গিয়েছিলেন। জ্বর না কমায় চিকিৎসকেরা রক্তপরীক্ষা করাতে দেন। দেখা যায় লিউকোসাইট কমে গিয়েছে। প্লেটলেটের সংখ্যাও স্বাভাবিকের তুলনায় কম। হাসপাতালে রেখে এক মাসের ওপর চিকিৎসা চলে। এরপর ওই নারী সুস্থ হয়ে ওঠেন। পরে জানা যায় তিনি ওই নতুন ভাইরাসে আক্রান্ত।

গ্লোবাল টাইমসের রিপোর্টে বলা হয়েছে, আনহুই ও জিয়াংসু প্রদেশে নতুন ভাইরাসের সংক্রমণে সাত জন মারা গেছেন। যদিও চীনের ভাইরাস বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, এসএফটিএ আদতে নতুন কোনো ভাইরাস নয়। ২০১১ সালেই এই ভাইরাসের প্যাথোজেনকে পৃথক করা হয়। এটি বুনিয়াভাইরাস-এর ক্যাটেগরিতে পড়ছে।

ভাইরোলজিস্টদের ধারণা, বিশের একধরনের রক্তচোষা পোকার কামড় থেকেই মানুষের শরীরে এই ভাইরাস সংক্রমিত হয়েছে। তবে মানুষ থেকে মানুষের শরীরে সংক্রমিত হয় কিনা এ বিষয়ে নিশ্চিত না হলেও আশঙ্কা একেবারে উড়িয়ে দিচ্ছেন না তারা। রক্ত বা মিউকাস থেকে ছড়িয়ে পড়ার যথেষ্ট সম্ভাবনা আছে বলে সতর্ক করেছেন চিনের ঝিজিয়াং বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালের চিকিৎসক শেং জিফাং।

সেরা নিউজ/আকিব

Please Share This Post in Your Social Media

এই ক্যাটাগরীর আরও সংবাদ
© All rights reserved by Shera TV
Developed BY: Shera Digital 360