যেভাবে করোনা নিয়ন্ত্রনে এনেছে চীন - Shera TV
  1. [email protected] : sheraint :
  2. [email protected] : theophil :
যেভাবে করোনা নিয়ন্ত্রনে এনেছে চীন - Shera TV
মঙ্গলবার, ১৫ জুলাই ২০২৫, ০৪:৩২ অপরাহ্ন

যেভাবে করোনা নিয়ন্ত্রনে এনেছে চীন

সেরা টিভি
  • প্রকাশের সময় : শুক্রবার, ৭ আগস্ট, ২০২০

ইন্টারন্যাশনাল ডেস্ক:

আমার ছেলেটা বেইজিংয়ের একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পড়াশোনা করে। প্রথম গ্রেডে। বছরে দুটো সেমিস্টার তাদের। দ্বিতীয় সেমিস্টারে একদিনও ক্লাস হয়নি। কারণ, মহামারি। প্রায় সাড়ে তিন মাস ঘরে থাকার পর জুনের ১৫ তারিখ থেকে দ্বিতীয় সেমিস্টারের কয়েকটি ক্লাসে অংশ নেয়ার সুযোগ আসে।

ততদিনে বেইজিং বলতে গেলে করোনামুক্ত। লম্বা সময় ধরে কোনো নতুন রোগী নেই। মারা গেছেন মাত্র ৯ জন। আক্রান্ত বাকিদের অধিকাংশ সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন। হাতেগোনা কয়েকজন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। এ অবস্থায় বেইজিংয়ের স্কুলগুলো ধীরে ধীরে খুলতে শুরু করেছে। উপরের ক্লাসগুলো আগে শুরু হলো। মাস্ক পরা, সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা, স্যানিটাইজার ব্যবহার করা, ইত্যাদি শর্ত পূরণ করেই।

সবার শেষে এলো প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় গ্রেডের শিক্ষার্থীদের স্কুলে ফেরার পালা। আমার ছেলে স্কুলের ব্যাগ গুছিয়ে রেডি। ১৫ জুন থেকে ক্লাস। কিন্তু বিধি বাম! জুনের দ্বিতীয় সপ্তাহের শুরুতে বেইজিংয়ের সবচেয়ে বড় পাইকারি কাঁচাবাজারে (সিনফাতি) নতুন করে ভাইরাসে আক্রান্ত হলেন একজন। ব্যস! সব নিমিষেই বন্ধ। ছেলের স্কুলে ফেরার স্বপ্নও আপাতত শেষ।

একজন মাত্র রোগী শনাক্ত হওয়ার পর কী করা হলো? বেইজিংয়ের সকল স্কুল-কলেজ মুহূর্তের মধ্যে আবার বন্ধ করে দেওয়া হলো। সিনফাতি মার্কেট ও আশপাশের সব এলাকা লকডাউন হলো। সিনফাতির ব্যবসায়ীদের ও তাদের স্বজনদের কোয়ারেন্টাইন শুরু হলো। ঘটনার সময়ের আগে-পরে কয়েকদিন কারা কারা সিনফাতি মার্কেটে গেছেন, তাদের চিহ্নিত করা হলো। চিহ্নিতরাও কোয়ারেন্টাইনে। অন্তত কয়েকটি সোর্স থেকে আমাকে ফোন করা হলো। জানতে চাওয়া হলো আমি সিনফাতি গেছি কিনা।

আমি ভাগ্যক্রমে সেই মার্কেটে কোনোদিন যাইনি। ফলে ১৪ দিনের কোয়ারেন্টাইন থেকে রেহাই পেলাম। মাত্র দুই সপ্তাহে সিনফাতি মার্কেট সংশ্লিষ্ট প্রায় এক কোটি মানুষের ভাইরাস টেস্ট (নিউক্লিক অ্যাসিড টেস্ট) করা হলো। সিনফাতি মার্কেটের সঙ্গে সংশ্লিষ্টতা আছে এমন ব্যক্তিদের কে কে বেইজিংয়ের বাইরে গেছেন, তাদেরকেও খুঁজে বের করা হলো। তারা যেখানে যেখানে গেছেন, সেখানে সেখানেও চলল ট্রেসিংয়ের কাজ। মোটামুটি দু’সপ্তাহের মধ্যেই সিনফাতি মার্কেটসংশ্লিষ্ট রোগী, সন্দেহভাজন রোগী, রোগীদের স্বজন ও বন্ধু-বান্ধব সব চিহ্নিত হয়ে গেল।

তাদেরও সবার ভাইরাস টেস্ট করা হলো (বলা বাহুল্য, এসব টেস্ট করা হলো বিনামূল্যে)। যাদের শরীরের ভাইরাস শনাক্ত হলো, তাদের ভর্তি করানো হলো হাসপাতালে। লক্ষণহীন রোগীরা থাকলেন কোয়ারেন্টাইনে, কর্তৃপক্ষের কঠোর তত্ত্বাবধানে।

এর ফল কী হলো? ৭ অগাস্টের পরিসংখ্যান অনুসারে, সিনফাতি মার্কেটসংশ্লিষ্ট মোট ৩৩৫ জন ভাইরাস আক্রান্ত রোগীর (১৮৭ জন পুরুষ ও ১৪৮ জন নারী, যাদের গড় বয়স ৪২) সবাই সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন। গড়ে তারা হাসপাতালে ছিলেন ২৭ দিন করে। অন্যভাবে বললে, মহামারির দ্বিতীয় আক্রমণ সামলে উঠলো বেইজিং। আজকের অর্থাৎ ৭ অগাস্টের আরেকটি হিসেব অনুসারে: বেইজিংয়ে আগের দিন নতুন করে মাত্র একজন ভাইরাসে আক্রান্ত শনাক্ত হয়েছেন, কেউ মারা যায়নি, কোনো সন্দেহভাজন কেসও নেই।

৬ আগস্ট বেইজিংয়ে স্থানীয়ভাবে আক্রান্ত মোট রোগীর সংখ্যা ছিল ৭৫৯ জন; বিদেশফেরত আক্রান্ত রোগী ১৭৬ জন, ও মারা গেছেন ৯ জন। আক্রান্তদের মধ্যে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন ৯১৯ জন। এ প্রসঙ্গে উল্লেখ করা যায় গোটা চীনের মহামারি পরিস্থিতিটাও। ৬ আগস্ট চীনের মূল ভূভাগে ৩৭ জন নতুন করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছেন। তাদের মধ্যে ২৭ জন স্থানীয়ভাবে আক্রান্ত। বাকিরা বিদেশফেরত। স্থানীয়ভাবে আক্রান্তদের মধ্যে ২৬ জন সিনচিয়াংয়ের ও এক জন বেইজিংয়ের। ৬ অগাস্ট চীনে ভাইরাসে আক্রান্ত কেউ মারা যায়নি।

বস্তুত, চীনে কোভিড ১৯ ভাইরাসের মহামারি নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব হয়েছে ঠিক সময়ে ঠিক কাজটি করার কারণে। প্রথম ঠিক কাজটি যেটি করা হয়েছে ও হচ্ছে, সেটি হচ্ছে: সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ শোনা। মনে আছে উহানের কথা? উহানে যখন মহামারি দেখা দিল, তখন দ্রুত কোটি বাসিন্দার শহরটিকে লকডাউন করা হয়। সেটি করা হয়েছিল সংশ্লিষ্ট চিকিৎসক ও বিশেষজ্ঞদের পরামর্শে। ভাইরাস ছড়ানো বন্ধে লকডাউনকেই প্রাথমিক করণীয় নির্ধারণ করেছিলেন তারা।

চীন সরকার বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ শুনেছে ও এখনও শুনছে। চীনা বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, সবাইকে মাস্ক পরতে হবে। চীনে আমরা সবাই এখনও বাইরে গেলে মাস্ক পরি। এমন আরও অনেক দিক-নির্দেশনা মেনে চলেছে চীনের মানুষ, চীনের সরকার।

বলছিলাম উহানের কথা। শুরুতে উহানের লকডাউনকে সহজভাবে নিতে পারেনি পশ্চিমা বিশ্ব। সমালোচনা শুরু হয়ে যায়। প্রশ্ন তোলা হয় মানবাধিকারের। উহানবাসীর মানবাধিকার। কিন্তু সমালোচনায় কান দেয়নি চীনের সরকার। কারণ, চীনের সরকারের কাছে শুরু থেকেই সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব পাচ্ছিল মানুষের জীবন। যে করেই হোক জীবন বাঁচাতে হবে-এটা ছিল আগাগোড়া সবেচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ স্লোগান।

আর মানুষের জীবন বাঁচাতে যা যা করা দরকার, করা হয়েছে। উহান ও এর আশপাশের ডজনখানেক শহরকে লকডাউন করে একলা ছেড়ে দেওয়া হয়নি। গোটা চীনের সম্পদ একাট্টা করে মোতায়েন করা হয় উহান তথা হুপেই প্রদেশে। শুরুর দিকে চিকিৎসক, চিকিৎসা-সামগ্রীর প্রবল সংকট ছিল। কিন্তু গোটা চীন যখন ঝাঁপিয়ে পড়ল, তখন ধীরে ধীরে সংকট কেটে গেল।

তখন দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে ৩৪৬টি চিকিৎকদল হুপেই প্রদেশে পাঠানো হয় এবং বিভিন্ন পর্যায়ের সরকার ১৬২.৪ বিলিয়ন ইউয়ান বরাদ্দ দিয়ে আক্রান্তদের বিনা খরচে চিকিৎসার ব্যবস্থা করে। হুপেই প্রদেশে পাঠানো ৪২ হাজার চিকিৎসকের মধ্যে নারী-চিকিৎসক ছিলেন ২৮ হাজার। বলতে গেলে, গোটা চীনের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় হুপেই এখন সম্পূর্ণভাবে করোনামুক্ত। প্রদেশটিতে ৬ আগস্ট নতুন কোনো রোগী শনাক্ত হয়নি।

এদিন পর্যন্ত রাজধানী উহানে ৩ জন বিদেশফেরত রোগী ও ইছাং শহরে একজন লক্ষণহীন রোগী ছিল। হ্যাঁ, উহানকে অপ্রস্তুত অবস্থায় পেয়েছিল ভাইরাস। নতুন এই ভাইরাস অপ্রস্তুত অবস্থায় পেয়েছিল গোটা চীনকেই। তাই উহান তথা হুপেই প্রদেশে সবচেয়ে বেশি ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। হুপেই প্রদেশে এখন পর্যন্ত ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৬৮,১৩৮ জন। এদের মধ্যে ৬৩৬২৩ জন সুস্থ হয়েছেন। তবে, মারাও গেছেন অনেকে; মারা গেছেন ৪৫১২ জন। সংখ্যাটা বড়।

কিন্তু ইউরোপ ও আমেরিকার দিকে তাকালে একে আর বড় মনে হয় না! মনে পড়ে, শুরুর দিকে উহানে কয়েক হাজার মানুষের মৃত্যু দেখে পশ্চিমা বিশ্ব হায় হায় করে উঠেছিল; বলেছিল, চীন তার জনগণকে বাঁচাতে ব্যর্থ হচ্ছে! উহানে লকডাউন হয়েছিল। উহানে হাজার হাজার চিকিৎসক, নার্স, স্বেচ্ছাসেবী জীবনের ঝুঁকি নিয়ে মানুষের জীবন বাঁচিয়েছেন। অনেক চিকিৎসক, নার্স ও স্বেচ্ছাসেবী নিজেদের জীবন পর্যন্ত দিয়েছেন। উহান মহামারির সবচেয়ে বড় ধাক্কাটা সামলে নিয়েছে, বাকি চীনের সহায়তায়।

আবার এই উহানই বাকি চীনকে, বা বলতে গেলে বাকি বিশ্বকে এই আশার বাণী শুনিয়েছে যে, যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করলে মহামারিকে মোকাবিলা করা সম্ভব; মহামারি প্রতিরোধ করাও সম্ভব।

বলছিলাম, বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ শোনার কথা। চীনের সরকার বিষেশজ্ঞদের কথা শুনেছেন। এর ফলও হাতেহাতে পাওয়া গেছে। বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ অনুসারে সরকার যেসব পদক্ষেপ গ্রহণ করেছেন, সেগুলো সরকারের বিভিন্ন বিভাগ বাস্তবায়ন করেছে। আবার চীনের জনগণও সরকারের প্রতিটি নির্দেশ অক্ষরে অক্ষরে পালন করে গেছে এবং এখনও করে যাচ্ছে। চীন সাফল্যের সঙ্গে মহামারি নিয়ন্ত্রণে রাখতে পেরেছে-এর অন্যতম কারণ, চীনের জনগণ আইন মেনে চলে। সরকার বলেছে মাস্ক পরতে হবে, তারা পরেছেন; সরকার বলেছে, কমিউনিটিতে কেউ অন্যের ঘরে যাবে না, তারা যাননি; সরকার বলেছে, প্রতিনিয়ত শরীরের তাপমাত্রা গ্রহণ করতে হবে ও তামপাত্রা বেশি হলে কর্তৃপক্ষের কাছে রিপোর্ট করতে হবে, তারা করেছেন।

আবার ব্যাপারটি এমন নয় যে, সরকার জনগণকে স্রেফ মাস্ক পরতে বা অন্যান্য নির্দেশ পালন করতে অনুরোধ করেই দায়িত্ব শেষ করেছে। নির্দেশ অমান্যের জন্য শাস্তির ব্যবস্থাও ছিল। সবচেয়ে বড় কথা, চীনে অন্যায় করে বা তথ্য গোপন করে রেহাই পাওয়া মুশকিল। এটা আমরা যারা বিদেশি এখানে থাকি, তারাও খুব ভালো করে জানি। মোদ্দাকথা, সরকারের সঙ্গে জনগণের চমৎকার বোঝাপড়া মহামারি নিয়ন্ত্রণে বিশাল ভূমিকা রেখেছে।

চীনের মহামারি নিয়ন্ত্রণে বিগ ডেটা ও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে। চীনের সমাজব্যবস্থাকেও এজন্য কৃতিত্ব দিতে হবে। চীনের সমাজব্যবস্থায় সরকার অত্যন্ত দ্রুত প্রয়োজনীয় সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে তা বাস্তবায়ন করতে সক্ষম। চীনা কমিউনিস্ট পার্টির ৯ কোটি সদস্যকে প্রায় একসঙ্গে মোবিলাইজ করতে পারে সরকার যে-কোনো দুর্যোগ মোকাবিলার সময়। উহান তথা হুপেই প্রদেশের মহামারি মোকাবিলায় আমরা দেখেছি কী করে সরকার অত্যন্ত অল্প সময়ে বিপুল পরিমাণ সম্পদ একাট্টা করে তা দুর্গত অঞ্চলে পাঠাতে পারে।

মহামারি মোকাবিলার পাশাপাশি, আক্রান্তদের চিকিৎসার ক্ষেত্রেও চীন বিপুল সাফল্য দেখিয়েছে। চীনা চিকিৎসকরা বলছেন, চীনে মহামারিতে মৃতের সংখ্যা তুলনামূলকভাবে কম হওয়ার একটি অন্যতম কারণ হচ্ছে, চীনের ঐতিহ্যবাহী চিকিৎসার সঙ্গে পশ্চিমা চিকিৎসার সমন্বয়। তারা দুটি চিকিৎসা-পদ্ধতির সফল প্রয়োগ করতে পেরেছেন। পাশাপাশি, বিভিন্ন মাত্রার রোগীদের ভিন্ন ভিন্ন স্থানে রাখা ও ভিন্ন ভিন্নভাবে চিকিৎসা করাও ফল দিয়েছে। যেমন, শুরু থেকেই চীনা চিকিৎসকরা হালকা লক্ষণের রোগীদের গুরুতর রোগীদের থেকে আলাদা করে চিকিৎসা দেওয়ার পদ্ধতি প্রয়োগ করেন। এটি ছিল সফল একটি পদ্ধতি।

চীনে মহামারী মোকাবিলায় সম্মিলিত ও সমন্বিত পদক্ষেপ গ্রহণ করেছিল সরকার। তার ফল পাওয়া গেছে। চীন এখন মহামারি পরিস্থিতি সামলে নিয়ে বিশ্বের বিভিন্ন দেশকে মহামারি মোকাবিলায় সাহায্য করছে। কড়া নজর রেখেছে নিজের বিশাল ভূখণ্ডের দিকেও। জুলাইয়ের মাঝামাঝিতে সিনচিয়াংয়ে হঠাৎ নতুন করে ভাইরাস ছড়িয়ে পড়তে শুরু করলে, কেন্দ্রীয় সরকার সেখানে নিউক্লিক অ্যাসিড টেস্টের জন্য একদল বিশেষজ্ঞ পাঠায়।

প্রয়োজনে আরও রশদ প্রস্তুত ছিল। কিন্তু দৃশ্যত সিনচিয়াংয়ে মহামারি নিয়ন্ত্রণে এসেছে। হংকং শুরুর দিকে মহামারি নিয়ন্ত্রণে ভালো করছিল। তারা কেন্দ্রীয় সরকারের কোনো সাহায্য নেয়নি। কিন্তু সাম্প্রতি হংকংয়ে নতুন করে ভাইরাসের সংক্রমণ বৃদ্ধি পায়। উপায়ন্তর না দেখে হংকংয়ের স্থানীয় প্রশাসন কেন্দ্রীয় সরকারের সাহায্য চায়। সরকার হংকংয়ের বিশেষ টিম পাঠায়।

অর্থাৎ নিজের সফলতায় তৃপ্ত হয়ে গা ছাড়া ভাব দেখাচ্ছে না চীন সরকার। চীনের সরকার সতর্ক, চীনের বিশেষজ্ঞরা সতর্ক। চীনা বিশেষজ্ঞরা বলছেন, যে কোনো সময় যে-কোনো জায়গায় ভাইরাসের সংক্রমণ নতুন করে দেখা দিতে পারে। তাই সর্বদা সতর্ক থাকতে হবে। চীনারা সতর্ক আছেন। এখনও সবাই মাস্ক পরেন, সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে চলেন। দীর্ঘ কয়েক মাসের ভাইরাসবিরোধী লড়াইয়ের পর চীনের চিকিৎসক-নার্স-স্বেচ্ছাসেবীরা এখন আগের যে কোনো সময়ের চেয়ে বেশি সক্ষম।

তারা এখন জানেন কখন কী করতে হবে। প্রযুক্তির উন্নতিও তাদের সাহায্য করছে। এখন চীন চাইলে প্রতিদিন ৪৮ লাখ ভাইরাস টেস্ট করতে পারে। মোদ্দাকথা, সিনফাতির ঘটনা, সিনচিয়াংয়ের ঘটনা প্রমাণ করেছে যে, হঠাৎ করে কোথাও যদি নতুন করে ভাইরাসের সংক্রমণ শুরু হয়, তবে সবচেয়ে কম ক্ষয়ক্ষতি স্বীকার করে তা মোকাবিলা করার ক্ষমতা চীনের আছে।

সেরা নিউজ/আকিব

Please Share This Post in Your Social Media

এই ক্যাটাগরীর আরও সংবাদ
© All rights reserved by Shera TV
Developed BY: Shera Digital 360