ইন্টারন্যাশনাল ডেস্ক:
লেবাননের রাজধানী বৈরুতে ভয়াবহ বিস্ফোরণের প্রতিবাদে করা বিক্ষোভ ব্যাপকতা পেয়েছে। শনিবার বৈরুতের রাস্তায় নেমে আসা হাজার হাজার বিক্ষোভকারীর ওপর পুলিশ টিয়ারগ্যাস নিক্ষেপ করে। এরপর পরিস্থিতি সহিংস হয়ে ওঠে।
পরে অনেক বিক্ষোভকারী দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে ঢুকে পড়ে। এছাড়া শহরের কেন্দ্রীয় শহীদ স্কয়ার থেকে গুলির শব্দও শোনা গেছে। খবর বিবিসির।
এর আগে টেলিভিশনে দেওয়া এক ভাষণে দেশটির প্রধানমন্ত্রী হাসান দিয়াব বলেছেন যে, সঙ্কট থেকে বেরিয়ে আসার পথ হিসেবে তিনি আগাম নির্বাচন চাইবেন। তিনি বলেন, ‘আমরা আগাম সংসদ নির্বাচন না দিলে দেশের কাঠামোগত সংকট থেকে বেরিয়ে আসতে পারব না।’ সোমবার মন্ত্রিসভায় বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হবে।
গত মঙ্গলবার বিকেলে বৈরুতের বন্দর এলাকায় জোড়া বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। ২০১৩ সাল থেকে মজুত রাখা ২ হাজার ৭৫০ টন অ্যামোনিয়াম নাইট্রেট থেকে এ ভয়াবহ বিস্ফোরণে বিস্ফোরণে এখন পর্যন্ত ১৫৮ জন নিহত হয়েছে। আহত হয়েছে ৫ হাজার মানুষ।
বিস্ফোরণে পুরো একটি জেলা ধ্বংসস্তুপে পরিণত হয়েছে। বিধ্বস্ত হয়েছে হাজারো ঘরবাড়ি ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। এতে তিন লক্ষাধিক মানুষ গৃহহীন হয়েছে। ধ্বংস হয়েছে শহরটিতে মজুত খাবারের ৮৫ শতাংশ।
এর আগে এ বিস্ফোরণের ঘটনায় ক্ষুব্ধ হাজার হাজার জনতা বৃহস্পতিবার পার্লামেন্ট ভবনের সামনে বিক্ষোভে শামিল হন। এ সময় নিরাপত্তা বাহিনী টিয়ার শেল নিক্ষেপ করলে বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে তাদের সংঘর্ষ বেধে যায়।
এত বছর ধরে কিভাবে এত বিপুল পরিমাণ বিস্ফোরক দ্রব্য গুদামটিতে পড়ে ছিল- এমন প্রশ্নে মানুষের মধ্যে তীব্র ক্ষোভ তৈরি হয়েছে। বৃহস্পতিবার বিভিন্ন এলাকায় বিক্ষোভকারীদের রাস্তায় আগুন জ্বালিয়ে সরকারবিরোধী স্লোগান দিতে দেখা যায়। তাদের অভিযোগ, সরকারের অবহেলার কারণে এতগুলো মানুষের প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে।
সেরা নিউজ/আকিব