পর্যটকদের জন্য খুলে দেয়া হচ্ছে বান্দরবান - Shera TV
  1. [email protected] : akibmahmud :
  2. [email protected] : f@him :
পর্যটকদের জন্য খুলে দেয়া হচ্ছে বান্দরবান - Shera TV
বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১০:১২ অপরাহ্ন

পর্যটকদের জন্য খুলে দেয়া হচ্ছে বান্দরবান

সেরা টিভি
  • প্রকাশের সময় : মঙ্গলবার, ১১ আগস্ট, ২০২০

নিজস্ব প্রতিবেদক:

কক্সবাজার ও রাঙামাটির পর এবার বান্দরবানের পর্যটনকেন্দ্রগুলো পর্যটকদের জন্য খুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। শর্তসাপেক্ষে আগামী ১৭ই আগস্ট থেকে বান্দরবানের পর্যটকেন্দ্রগুলো খুলে দেওয়া হবে বলে নিশ্চিত করেছে জেলা প্রশাসন।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, করোনাভাইরাস মোকাবিলায় প্রায় পাঁচ মাস ধরে বান্দরবানে পর্যটন বন্ধ রয়েছে। তাতেই বিরাট ক্ষতির মুখে পড়েছে পর্যটন সংশ্লিষ্টরা। তাই জেলার পর্যটন শিল্পের কথা ভেবে ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে আগামী শীত মৌসুমকে সামনে রেখে বান্দরবানে সব সরকারি-বেসরকারি পর্যটনকেন্দ্র ও আবাসিক হোটেল-মোটেল খুলে দেওয়া হবে।

পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদ সদস্য ও পর্যটন ব্যবসায়ী কাজল কান্তি দাশ বলেন, বান্দরবানের পর্যটনকেন্দ্রগুলো এখন স্থবির। নেই পর্যটক, নেই কোনো উচ্ছাস। পাঁচ মাস ধরে কোনো আয় ছাড়া কর্মচারীদের বেতন দিতে হয়েছে। পর্যটনকেন্দ্র খুলে দেওয়াতে পর্যটনের কর্মচারীরা বেকার জীবনের অবসান হবে।

জেলার হোটেল-মোটেল মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম বলেন, “করোনার কারণে স্থবির হয়ে পড়ে পর্যটন। বন্ধ হয়ে যায় পার্বত্যাঞ্চলে পর্যটক আগমন। কর্মহীন হয়ে পড়ে হাজারো মানুষ। জেলায় কর্মসংস্থান ও আয়ের বড় খাত হচ্ছে পর্যটন। পর্যটন খুলে দেওয়ার সিদ্ধান্তে আমরা খুশি।”

সবুজ অরণ্যে ঘেরা বান্দরবানে রয়েছে মেঘলা, নীলাচল, নীলগিরি, বৌদ্ধ জাদি, চিম্বুক, শুভ্রনীলা, থানচির রেমাক্রি, নাফাকুম, রুমার বগালেক, কেউক্রাডং, লামার মিরিঞ্জা, আলীকদমের আলীর সুড়ঙ্গসহ বিভিন্ন পর্যটনকেন্দ্র।

এ বিষয়ে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক শামীম হোসেন বলেন, যেহেতু করোনাভাইরাস পুরোপুরি যাচ্ছে না, তাই স্বাস্থ্যবিধি মেনে বাঁচতে হবে। এ জন্য অন্যান্য জেলার সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে বান্দরবানেও পর্যটন খুলে দেওয়া হবে।

তিনি আরও বলেন, তবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার ব্যাপারে কড়া নজরদারি থাকবে, মাস্ক ছাড়া কাউকে পর্যটনকেন্দ্রে ঢুকতে দেওয়া হবে না।

প্রসঙ্গত, করোনাভাইরাসের সংক্রামণ প্রতিরোধে গত ১৮ মার্চ থেকে জেলার সব পর্যটনকেন্দ্র অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ করে দেয় জেলা প্রশাসন। জেলায় ৬০টি হোটেল ও মোটেল রয়েছে। আর পর্যটকবাহী যান রয়েছে প্রায় ৪ শতাধিক। এই পর্যটন শিল্পের সঙ্গে জড়িত জেলার প্রায় ২০ হাজার মানুষ।

সেরা নিউজ/আকিব

Please Share This Post in Your Social Media

এই ক্যাটাগরীর আরও সংবাদ
© All rights reserved by Shera TV
Developed BY: Shera Digital 360