সেরা টেক ডেস্ক:
বিশ্বের বিলিয়নিয়ারদের কথা বলতেই কয়েজনের নামই ঘুরেফিরে আসে। তবে এরা ঠিক কোন বয়সে ধনকুবের হয়েছিলেন, তা অনেকেই জানেন না। ফোর্বসের ২০২০ সালের বিলিয়নিয়ারদের তালিকা বিশ্লেষণ করেছে ব্রিটিশ স্পোর্টিং বেটিং ফার্ম ওএলবিজি। সেখানে বিল গেটস, জাকারবার্গ, এলিসনের মতো বিলিয়নিয়াররা জীবনের কোন সময়টাতে ধনীদের তালিকায় উঠেছিলেন তা স্পষ্ট হয়েছে। এখানে জেনে নেওয়া যাক।
ওয়ারেন বাফেট : ৫৬ বছর
বর্তমানে তাঁর আনুমানিক সম্পদ রয়েছে ৭৯.৭ বিলিয়ন ডলারের। তিনি বিনিয়োগ গুরু নামে পরিচিত। বার্কশায়ার হ্যাথওয়ের সিইও নিজেকে বিলিয়নিয়ার ব্যবসায়ীতে পরিণত করেন ১৯৮৬ সালে ৫৬ বছর বয়সে। সেই সময় তাঁর প্রতিষ্ঠান ক্লাস-এ শেয়ার বিক্রির পর এক বিলিয়ন ডলার আয় করে।
জর্জ লুকাস : ৫২ বছর
বর্তমানে সম্পদের পরিমাণ ৫.৭ বিলিয়ন ডলার। সময়ের দুটো সুপরিচিত ফিল্ম ফ্রাঞ্চাইজির নেপথ্যের মানুষ তিনি। তবে বেশির ভাগ অর্থ তিনি বানিয়েছেন তার প্রডাকশন স্টুডিও লুকাসফিল্ম ৪.০৫ বিলিয়ন ডলারের বিনিময়ে ডিজনির কাছে বিক্রির পর। তিনি প্রথমবারের মতো বিলিয়নিয়ার হন ১৯৯৬ সালে ৫২ বছর বয়সে।
কার্লোস স্লিম : ৫১ বছর
বর্তমানে তাঁর আনুমানিক সম্পদের পরিমাণ ৫১.২ বিলিয়ন ডলার। ১৯৯১ সালে ৫১ বছর বয়সে এই টেলিকম ম্যাগনেট নিজেকে বিলিয়নিয়ার ব্যবসায়ীর তালিকায় তুলে নেন। রিয়েল এস্টেটে বিনিয়োগ তার ভাগ্যের চাকা ঘুরিয়ে দেয়। ২০১৫ সালে তিনি বিশ্বের দ্বিতীয় ধনী ব্যক্তি হয়েছিলেন।
ল্যারি এলিয়সন: ৪৯ বছর
এখন তাঁর সম্পদের পরিমাণ ৭১.৪ বিলিয়ন ডলার। ওরাকলের প্রতিষ্ঠাতা তিনি। ১৯৯৩ সালে ৪৯ বছর বয়সে বিলিয়নিয়ার হয়ে যান। প্রতিষ্ঠানের সিইও পদ থেকে ২০১৪ সালে সরে আসার পর তিনি জেট-সেটিং এবং ইয়ট-রেসিং দুনিয়ায় প্লেবয় বনে যান।
অপরাহ উইনফ্রে : ৪৯ বছর
তাঁর সম্পদের পরিমাণ ২.৫ বিলিয়ন ডলার। মিডিয়া মোগল এবং টেলিভিশন ব্যক্তিত্ব তিনি। ২০০৩ সালে ৪৯ বছর বয়সে তিনি বিলিয়নিয়ার হয়ে যান। ইতিহাসে তিনি প্রথম কালো চামড়ার নারী বিলিয়নিয়ার হন।
মেগ হুইটম্যান: ৪২ বছর
এখন তার সম্পদের পরিমাণ ৫.১ বিলিয়ন ডলার। ই-বে এবং হিউলেট-প্যাকার্ডের সাবেক সিইও এবং বর্তমানে কিউবির সিইও নিজেকে ১৯৯৮ সালে ৪২ বছর বয়সে নিজেকে বিলিয়নিয়ার বানিয়ে ফেলেন। ফোর্বস জানায়, ই-বে প্রতিষ্ঠানটিকে পাবলিক করে ফেলার পরই তাঁর সম্পদ এক বিলিয়নের ঘর ছাপিয়ে যায়।
স্যার রিচার্ড ব্রানসন: ৪১ বছর
বর্তমানে তাঁর সম্পদের পরিমাণ ৪.৬ বিলিয়ন ডলার। ব্রিটেনের এই হাই প্রোফাইল বিলিয়নিয়ার ১৯৯১ সালে ৪১ বছর বয়সে হাজার মিলিয়ন ক্লাবে যোগ দেন। ভার্জিন গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা অনেকগুলো প্রতিষ্ঠানের মালিক। তিনি প্রায় ৫০০টি প্রতিষ্ঠানের তদারকি করেন।
ইলোন মাস্ক : ৪১ বছর
তাঁর সম্পদের পরিমাণ ৬৮ বিলিয়ন ডলার। পেপল ও টেসলা মোটরসের সহপ্রতিষ্ঠাতা এবং স্পেসএক্স-এর প্রতিষ্ঠাতা ২০১২ সালে ৪১ বছর বয়সে বিলিয়নিয়ার হন।
মার্ক কিউবান : ৪০ বছর
তাঁর সম্পদের পরিমাণ ৪.২ বিলিয়ন ডলার। শার্ক ট্যাঙ্ক বিনিয়োগকারী এবং ডালাস মাভরিকের মালিক ১৯৯৮ সালে ৪০ বছর বয়সে বিলিয়নিয়ার হন। তার প্রথম প্রতিষ্ঠান মাইক্রো সল্যুশন্স বিক্রির পর তিনি ধনকুবেরে পরিণত হন।
জেফ বোজেস : ৩৫ বছর
এই ব্যক্তির সম্পদের পরিমাণ ১৮৮.১ বিলিয়ন ডলার। অ্যামাজনের প্রতিষ্ঠাতা এবং সিইও নিজেকে ১৯৯৯ সালে মাত্র ৩৫ বছর বয়সে নিজেকে বিলিয়নিয়ার ব্যবসায়ীদের দলে নিয়ে যান। পরে তিনি পৃথিবীর প্রথম ১০০ বিলিয়ন ডলার মূল্যের সম্পদের মালিক হয়ে যান।
বিল গেটস : ৩১ বছর
বর্তমানে তাঁর সম্পদ ১১৩.৫ বিলিয়ন ডলার। মাইক্রোসফটের এই সহপ্রতিষ্ঠাতা ১৯৮৭ সালে ৩১ বছর বয়সে বিলিয়নিয়ার হয়ে যান। এক বিলিয়ন ডলারের মালিক হওয়ার পর তিনি বিশ্বের কনিষ্ঠতম বিলিয়নিয়ারে পরিণত হন।
ল্যারি পেজ : ৩০ বছর
বর্তমানে তার সম্পদের মূল্য ৬৬.৮ বিলিয়ন ডলার। বিশ্বের সর্ববৃহৎ সার্চ ইঞ্জিন গুগলের সহপ্রতিষ্ঠাতা তিনি। ২০০৪ সালে মাত্র ৩০ বছর বয়সে তিনি এক বিলিয়ন ডলারের মালিক বনে যান।
ইভান স্পাইজেল : ২৫ বছর
তিনি ৪.৫ বিলিয়ন ডলারের সম্পদের মালিক। স্ন্যাপচ্যাটের সহপ্রতিষ্ঠাতা এবং সিইও। ২০১৫ সালে মাত্র ২৫ বছর বয়সেই তিনি বিলিয়নিয়ার হয়ে যান। সবচেয়ে কম বয়সে বিলিয়নিয়ার হওয়াদের তালিকায় রয়েছেন তিনি।
মার্ক জাকারবার্গ : ২৩ বছর
বর্তমানে ফেসবুক প্রতিষ্ঠাতার সম্পদের পরিমাণ ৯৯.৬ বিলিয়ন ডলার। ২০০৮ সালে তাঁর সোশ্যাল নেটওয়ার্ক সাইটটির বদৌলতে তিনি বিলিয়নিয়ার হন। তখন তাঁর বয়স ছিল ২৩। ইতিহাসে সবচেয়ে কম বয়সে তিনি বিলিয়নিয়ার হন।
সূত্র : বিজনেস ইনসাইডার।
সেরা নিউজ/আকিব