কেন খাবেন গ্রিন ড্রিংকস - Shera TV
  1. [email protected] : akibmahmud :
  2. [email protected] : f@him :
কেন খাবেন গ্রিন ড্রিংকস - Shera TV
সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ০৪:৫১ পূর্বাহ্ন

কেন খাবেন গ্রিন ড্রিংকস

সেরা টিভি
  • প্রকাশের সময় : বৃহস্পতিবার, ১৩ আগস্ট, ২০২০

লাইফস্টাইল ডেস্ক:

পরিবেশ নিয়ে যারা কাজ করেন, যারা সবুজ নিয়ে সবুজের জন্য কাজ করেন তারাই তৈরি করেছিলেন “গ্রিন ড্রিংকস” শব্দটি। পরিবেশ সম্মেলনের মাঝের বিরতির সময়টুকুকে তারা নাম দিয়েছিলেন “গ্রিন ব্রেক”।

পৃথিবীজুড়ে এখন গ্রিন রেভোলিউশের কথা বলা হচ্ছে। সর্বত্র তাই এখন সবুজের জয়গান। আর খাবার-দাবারেও এর প্রভাব পড়েছে!

গ্রিন টির গুণাগুণ 

আসলে এটি ছিলো একটি চাইনিজ মেডিসিন। আধুনিককালে অবশ্য বাংলাদেশও গ্রিন টি বেশ জনপ্রিয়। তবে যুক্তরাষ্ট্র ও চীনে যেভাবে গ্রিন টি “পপুলার”, সেই ব্যাপারটা এখনও এখানে আসেনি। যদিও গোটা বিশ্বই গ্রিন টির দ্রব্যগুণ ও এর মধ্যে থাকা “ঔষধি” গুণগুলো জানে।

অনেকেই মনে করেন, ক্যানসার প্রতিরোধে গ্রিন টির একটা ভূমিকা রয়েছে। যদিও সেটা সেভাবে প্রমাণিত নয়, তা সত্ত্বেও বেশ কিছু গবেষণা বলছে গ্রিন টি খেলে ক্যানসার আটকানো সম্ভব। এছাড়াও নানা ধরনের কার্ডিওভাসকুলার ডিজিজের ক্ষেত্রে বিশেষ করে স্ট্রোকের ক্ষেত্রে খুবই উপকারী মনে করা হয়।

হৃৎপিণ্ডের ছন্দ বজায় রাখে গ্রিন টি। ব্যাড কোলেস্টেরল, ব্রেস্ট ও ওভারিয়ান ক্যানসার প্রতিরোধ করার ক্ষেত্রেও গ্রিন টি। ডায়াবেটিস, ইমফ্লামেশন ও অ্যালজাইমার্সের মতো সমস্যারও সুরাহা হতে পারে অনেকটাই।

এমনকী, ওজন কমানোর ক্ষেত্রেও গ্রিন টি বেশ উপকারী। তবে একটা কথা খেয়াল রাখা খুবই প্রয়োজন। অতিরিক্ত মাত্রায় গ্রিন টি আবার বিপদের কারণ। লিভার টক্সিসিটির বাড়িয়ে দিতে পারে গ্রিন টি।

গ্রিন কফির ম্যাজিক

লাতে হোক কিংবা আইস কফি। তিরামিসু কিংবা মার্টিনি। অথবা গ্রিন স্মুদি। ভাবছেন এও হয় নাকি? গ্রিন কফি সবরকম ভাবেই পান করা যায়। আসলে রোস্টিংয়ের আগে যাকে আমরা প্রোসেসিং বলি, কফি বিন সবজে হয়। তবে রোস্ট করার পর সেই সবুজ কফি বিনেরই স্বাদ, গন্ধ ও রং পুরো বদলে যায়। তবে গ্রিন কফি বিনে থাকা ক্লোরোজেনিক অ্যাসিড ও ক্যাফেইন অনেকটাই স্বাস্থ্যকর পানীয় হিসেবে তাকে এগিয়ে রাখে।

রোস্টেড কফির চেয়েগ্রিন কফিতে ক্যাফেনের পরিমাণও বেশ খানিকটা কম। কফিতে যেখানে এক কাপে প্রায় ১০০ মিলিগ্রাম ক্যাফেইন থাকতে পারে, সেখানে গ্রিন কফিতে থাকে ২০ মিলিগ্রাম। কাজেই কফি খেয়ে যে “হাইপারঅ্যাক্টিভ” হওয়ার প্রবণতা, সেটা অনেকটাই কমে যায়। এতে কাজ করার ইচ্ছেটাও থাকে, কফির আস্বাদটাও পাওয়া যায়।

গ্রিন জুস

গ্রিন টি ও গ্রিন কফি ছাড়াও গ্রিন বেভারেজে আরেকটি অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ পানীয় হতে পারে ফ্রেশ গ্রিন জুস। পালংশাক, অ্যালোভেরা, শশা দিয়ে তৈরি স্মুদিও কিন্তু বেশ কাজের জিনিস। আর যদি একটু বেশি খরচ করতে চান, তাহলে ব্লু বেরি, স্ট্রবেরি দিয়েও ফ্রেশ গ্রিন জুস বানিয়ে খেতে পারেন।

এই সবুজ উপাদানগুলোয় ক্লোরোফিল থাকে। ফলে লোহিত রক্তকণিকার মধ্যে অক্সিজেন বহন করার ক্ষমতা বাড়িয়ে দেয়। ইনফ্লামেশনের ক্ষেত্রেও খুবই কাজে দেয় এই ধরনের জুস। বলা চলে, অ্যান্টি ইনফ্লামেটারি গ্রিন জুস। অ্যান্টি অক্সিড্যান্ট, ফাইটোনিউট্রিয়েন্টস রয়েছে এই জুসের মধ্যে।

কাজেই শুধুই যে গ্রিন টি বা গ্রিন কফি মানেই তা গ্রিন বেভারেজের মধ্যে পড়ে, তা নয়।

সেরা নিউজ/আকিব

Please Share This Post in Your Social Media

এই ক্যাটাগরীর আরও সংবাদ
© All rights reserved by Shera TV
Developed BY: Shera Digital 360