স্পোর্টস ডেস্ক:
‘খাল কেটে কুমার আনার’ পক্ষে নন বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন। তার মতে, করোনার বর্তমান পরিস্থিতিতে ঘরোয়া ক্রিকেট শুরু করা মানেই বিপদ ডেকে আনা। এজন্য আরো অপেক্ষা করতে চান। পাশাপাশি ঘরোয়া ক্রিকেট শুরু করার জন্য দুইটি শর্তও জুড়ে দিয়েছেন তিনি।
শনিবার মিরপুরে নাজমুল হাসান বলেন, ‘দুইটি শর্তে লিগ শুরু হতে পারে। এক, করোনা পরিস্থিতি উন্নতি হয়। দুই, যদি ভ্যাকসিন আসে। এই দুই শর্ত পূরণ না হলে ঘরোয়া ক্রিকেট চালু করার যৌক্তিকতা দেখি না। লিগ শুরুর কোনো একটা যুক্তি থাকতে হবে তো? একটা-দুইটা দেশ চেষ্টা করছে খেলা ফেরানোর। ইংল্যান্ড ছাড়া কোথাও খেলা হচ্ছে না। আমরা সাহস দেখাতে গিয়ে এখন বিপদ ডেকে আনতে পারি না। আমার কাছে লিগ শুরু করার কোনো যৌক্তিক কারণ নেই। এজন্য আমরা অপেক্ষা করছি।’
ঢাকা প্রিমিয়ার লিগের খেলা এক রাউন্ড চালুর পর করোনার ধাক্কায় বন্ধ হয়ে যায়। লিগ শুরুর কোনো সম্ভাবনা নেই। আগামী মৌসুমের শুরুতেই আছে জাতীয় ক্রিকেট লিগ ও বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ। সেগুলোও মাঠে গড়ানোর সম্ভাবনা দেখছেন না বোর্ড সভাপতি। তার ভাষ্যে, ‘ব্যাপারটা একই। পরিস্থিতি উন্নতি হলে আমরা সব শুরু করতে পারব। আপাতত কিছুই শুরু করছি না। এজন্য দেশের বাইরে দল পাঠাচ্ছি।’
জাতীয় দলের ক্রিকেটাররা বিসিবি থেকে বেতন পাচ্ছেন। পুলভুক্ত ক্রিকেটাররাও মাসিক বেতন পাচ্ছেন। কিন্তু এর বাইরে অনেক ক্রিকেটারের রুটি-রুজি নির্ভর করে ঘরোয়া ক্রিকেট খেলে। ঘরোয়া ক্রিকেট না হলে তাদের জন্য বিরাট ক্ষতি। এরই মধ্যে ক্রিকেটারদের সংগঠন কোয়াব ঢাকা লিগ শুরুর আবেদন করেছেন। কিন্তু সেই সম্ভবনা আজ উড়িয়ে দিলেন বোর্ড সভাপতি। করোনাকালীন সময়ে ক্রিকেটারদের এককালীন অর্থ দিয়েছে বিসিবি। সামনেও বিসিবি ক্রিকেটারদের দেখভাল করবে সেই নিশ্চয়তা দিয়েছেন নাজমুল হাসান।
‘ওদের জন্য, সারা বাংলাদেশের মানুষ ও সারা পৃথিবীর মানুষের জন্য আমার একটাই বার্তা এ সময়টা সবার জন্য এরকমই। কিছু করার নেই। কোটি কোটি লোক চাকরি হারাচ্ছে। কোটি কোটি মানুষের আয় নেই, ব্যবসা নেই। এটা একটা অনিশ্চিয়তা। খুব খারাপ সময় যাচ্ছে। ক্রিকেট বোর্ড থেকে তাদের কিভাবে পাশে থাকা যায়, সাহায্য করা যায় সেটার চেষ্টা অবশ্যই করবো। এটাতে কোনো সন্দেহ নেই।’- যোগ করেন বিসিবি সভাপতি।
সেরা নিউজ/আকিব