লাইফস্টাইল ডেস্ক:
একতরফা আপনিই সবকিছু করে যাবেন মানে, নিজেই কিন্তু নিজেকে অপমানিত হওয়ার সুযোগ করে দিচ্ছেন!
আপনি সম্পর্কের প্রতি যতটা দায়বদ্ধ, আপনার সঙ্গী কি ঠিক ততটাই উদাসীন? সবসময় আপনিই একার কাঁধে সম্পর্কের দায়িত্ব টেনে নিয়ে যান? আর সঙ্গী শুধুমাত্র উপভোগের আশা করেন? তাহলে হয়ত আপনি একাই বয়ে নিয়ে বেড়াচ্ছেন সম্পর্কের বোঝা।
এধরনের লক্ষণ দেখা দিলে তাকে পোশাকি ভাষায় বলে “ফায়ারডোরিং”। আর বলাই বাহুল্য, এরকম প্রবৃত্তি থাকলে সম্পর্ক টিকিয়ে রাখা কোনভাবেই যৌক্তিক নয়।
যেভাবে নিশ্চিত হবেন
আপনি যে “একমুখী” সম্পর্কে আছেন তা বোঝার জন্য পার্টনারের হাবভাব পর্যালোচনা করা প্রয়োজন। সাধারণত, দু’জন মানুষ দু’রকম স্বভাবের হতেই পারেন। আপনি যদি সংসার বা সম্পর্কের প্রতি একটু বেশিই দায়বদ্ধ হন, আপনার সঙ্গী ততটা নাও হতে পারেন। তবে তিনি যদি ইচ্ছে করে উদাসীন হন, বা উদাসীনতা যদি মাত্রাছাড়া পর্যায়ে পৌঁছে যায়, তা কিন্তু আপনার জন্য যথেষ্ট অপমানজনক।
১. আপনার সঙ্গী কোনওরকম দায়বদ্ধতা নিতে ইচ্ছুক নন। এরকমও হতে পারে তিনি হয়তো শুধুমাত্র শারীরিক ঘনিষ্ঠতার কারণেই আছেন। বা হয়তো তার কাছে সম্পর্কের মেয়াদটা বরাবরই সাময়িক।
২. টেক্সটে সাধারণ কথাবার্তার সময় অনেক দেরি করে সঙ্গী আপনাকে উত্তর দেন। অথচ, তার কোনও প্রয়োজনে তিনি বারবার টেক্সট পাঠিয়ে বিরক্ত করেন।
৩. আপনার কোনও পছন্দ-অপছন্দের তোয়াক্কা তিনি করেন না। সোশ্যাল মিডিয়ায় আপনি চাইলেও কোনও পোস্ট লাইক করেন না। অথচ, নিয়মিত বিরতিতে শারীরিকভাবে মিলিত হওয়ার ইচ্ছা জাহির করেন।
ওপরের ঘটনাগুলির অভিজ্ঞতা যদি আপনার ক্ষেত্রেও হয়ে থাকে, তাহলে এধরনের সম্পর্ক টিকিয়ে রাখার কোনও প্রয়োজনীয়তা নেই। কারণ, একতরফা আপনিই সবকিছু করে যাবেন মানে কিন্তু আপনি নিজেকেই নিজে অপমানিত হওয়ার সুযোগ করে দিচ্ছেন।
অবশ্য অনেকেই এরকম পরিস্থিতিতে পরেও সম্পর্ক থেকে বেরিয়ে আসেন না! হয়তো তাদের ক্ষেত্রে একাধিকবার এরকম পরিস্থিতিতে পরে তাদের অপমানিত হওয়ার বোধটাই চলে গিয়েছে। আবার অনেকেই হয়ত অপরদিকের মানুষটার প্রতি এতটাই দায়বদ্ধ যে চট করে ছেড়ে বেরিয়ে আসতে পারেন না।
কারণ যাই হোক না কেন, এধরনের সম্পর্ক বেশিদিন সুস্থভাবে টিকিয়ে রাখা সম্ভব নয়। তাই, আগে থাকতেই সতর্ক হওয়া প্রয়োজন। এতে শুধু সাময়িক সম্পর্কই নয়, অনেকদিনের সম্পর্কও ব্যাহত হতে পারে।
যাবতীয় প্রতিশ্রুতি, ভালবাসা, যত্ন শুধু যদি কেবল আপনার তরফ থেকেই আসে তাহলে অবশ্যই এবার ভেবে দেখুন।
সেরা নিউজ/আকিব