তেজগাঁও বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার জনাব মোহাম্মদ হারুন-অর-রশীদ বলেন, কালো মাইক্রোবাসটির সম্ভাব্য যাত্রাপথ ধরে এটির অবস্থান শনাক্তে কাজ শুরু করা হয় প্রথম দিন থেকেই। প্রাথমিকভাবে মূল সড়ক, অন্যান্য সড়ক, বিভিন্ন বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান ও আবাসিক স্থাপনার প্রবেশ পথে থাকা ৩৮২টি সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ সংগ্রহ ও পর্যালোচনা করে ঘটনার কিছু সময় পূর্ব ও পরে মাইক্রোবাসটির যাত্রাপথ শনাক্তে সক্ষম হই।
এ সকল সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ সংগ্রহ করে কালো হাইএস মডেলের মাইক্রোবাসটির বেশকিছু অস্পষ্ট ডিজিটাল নম্বর প্লেটের ছবি পাওয়া যায়। প্রাপ্ত নম্বরগুলো কিছুটা স্পষ্টীকরণপূর্বক প্রাথমিকভাবে ১১২টি মাইক্রোবাসের বিষয়ে কাজ শুরু হয়। ৪টি আলাদা টিম গঠন করে বিআরটিএসহ বিভিন্ন মাধ্যম থেকে এ সকল মাইক্রোবাসের মালিকানা, রঙ, সিটের সংখ্যা সংগ্রহ করে দ্বিতীয় পর্যায়ের কাজ শুরু করি।
মঙ্গলবার (১৮ আগস্ট) রাজধানীর কাফরুল থানাধীন ইব্রাহীমপুর থেকে জব্দ করা হয় কালো রঙের ১২ সিটের হাইএস মাইক্রোবাসটি। গ্রেফতার করা হয় মাইক্রোবাসের চালক মো. নাঈমকে (২৭), যে দুর্ঘটনার সময় মাইক্রোবাসটি চালাচ্ছিল। মাইক্রোবাসটির মালিক একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কাছে গাড়িটি মাসিকভিত্তিতে ভাড়া দিয়েছেন। ঘটনার দিন প্রতিষ্ঠানের নাইট শিফটে কর্মরত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বিভিন্ন গন্তব্যে নামিয়ে দেয়ার সময় ঘটনাটি ঘটেছে বলে প্রাথমিকভাবে জানা যায়।
অভিযুক্ত আসামিকে বিজ্ঞ আদালতে সোপর্দপূর্বক ৫ দিনের রিমান্ড চাওয়া হবে বলে জানা গেছে। মামলার তদন্ত চলমান এবং প্রয়োজনীয় কার্যক্রম শেষে বিজ্ঞ আদালতে মামলার অভিযোগপত্র দাখিল করা হবে।