লাইফস্টাইল ডেস্ক:
আপনি সাজগোজ করতে খুব ভালোবাসেন। তবে মুশকিল হল বেশিরভাগ জিনিস ব্যবহারের ফলেই আপনার অ্যালার্জি হয়। কখনও র্যাশ বেরোয় বা চুলকনির হতে থাকে। তাই মেক-আপ করার সময় রীতিমতো আতঙ্কে থাকেন!
চিন্তার কিছু নেই। আসলে আপনার ত্বক বেশ সেনসিটিভ হওয়ায় কসমেটিকস থেকে র্যাশ বা বার্নিং সেনসেশন হতেই পারে। আপনাকে কসমেটিকের ক্ষেত্রে কয়েকটি নিয়ম মেনে চলতে হবে। আপনার মতো স্পর্শকাতর ত্বকে কীভাবে মেক-আপ করা উচিৎ বা কোন ধরনের কসমেটিক ব্যবহার করা উচিৎ, জেনে নিন সেসম্পর্কে।
১. কখনই পুরনো কসমেটিক ব্যবহার করবেন না। এতে ত্বকে র্যাশ দেখা যায়।
২. কোনও কসমেটিক লাগানোর পর র্যাশ বেরোলে সঙ্গে সঙ্গে সবরকমের কসমেটিক ব্যবহার করা বন্ধ করে দিন।
৩. র্যাশ কমানোর জন্যে মাইল্ড স্টেরয়েড ক্রিম লাগাতে পারেন। তবে ডারমাটোলজিস্টের পরামর্শ অবশ্যই নেবেন।
৪. ত্বকে কোনও সমস্যা থাকলে সেইসময় কসমেটিক ব্যবহার করবেন না। ত্বকের হাইপারসেনসিটিভ ভাব অনেকটা কমে আসবে।
৫. যে ধরনের কসমেটিক আপনাকে স্যুট করে সেটাই ব্যবহার করুন। বারাবার নতুন কিছু ট্রাই করবেন না।
৬. যে কসমেটিকসে অ্যালার্জি হচ্ছে সেটা মনে রাখুন। ডারমাটোলজিস্টকে দেখালে তিনি বুঝতে পারবেন কোন ধরনের কসমেটিক থেকে অ্যালার্জি হচ্ছে।
৬. আইলাইনার, লিপস্টিক, মাসকারা, কাজল ইত্যাদি অন্যের সঙ্গে কখনোই শেয়ার করবেন না। এতে ইনফেকশন হতে পারে।
৭. চোখের ভেতরে বা বাইরে কোনওরকম ইনফেকশন থাকলে আইমেক-আপ ব্যবহার করবেন না। চোখের মেক-আপে লিপ লাইনার ব্যবহার করবেন না।
৮. নেলপালিশ লাগিয়ে নখের রঙ বদলে গেলে বা নখ ভঙ্গুর হয়ে গেলে, নখের পাশের ত্বকে ইরিটেশন হলে সেই নেলপালিশ বদলে ফেলুন।
৯. প্যাচ টেস্ট করে হেয়ার কালার করবেন। কানের লতির পেছনে টিউব থেকে হেয়ার কালার লাগান। শুকিয়ে গেলে আবার লাগান। দু’দিন ধোবেন না। ইরিটেশন হলে হেয়ার কালার ব্যবহার করবেন না।
১০. স্ক্যাল্পে ব্রন বা র্যাশ থাকলে হেয়ার কালার ব্যবহার করবেন না।
১১. ডিওডোরেন্ট বা পারফিউম স্প্রে করার পর জ্বালা করলে বা চুলকালে সেই প্রডাক্ট ব্যবহার করবেন না।
১২. ডাস্ট অ্যালার্জি থাকলে পাউডার এড়িয়ে চলবেন।
সেরা নিউজ/আকিব