র‍্যাবের হেফাজতে সিনহার সহযোগীদের ২লাখ টাকাসহ ২৯ প্রকার মালামাল - Shera TV
  1. [email protected] : sheraint :
  2. [email protected] : theophil :
র‍্যাবের হেফাজতে সিনহার সহযোগীদের ২লাখ টাকাসহ ২৯ প্রকার মালামাল - Shera TV
রবিবার, ২৭ জুলাই ২০২৫, ১২:৩১ অপরাহ্ন

র‍্যাবের হেফাজতে সিনহার সহযোগীদের ২লাখ টাকাসহ ২৯ প্রকার মালামাল

সেরা টিভি
  • প্রকাশের সময় : শনিবার, ২২ আগস্ট, ২০২০

নিজস্ব প্রতিবেদক:

মেজর (অব.) সিনহা মো. রাশেদ খানের সহকর্মী শিপ্রা রানী দেবনাথের ইলেকট্রনিকস ডিভাইস, টাকাসহ জব্দকৃত ২৯ প্রকার মালামাল অবশেষে র‌্যাবের কাছে হস্তান্তর করেছে রামু থানা পুলিশ। সিনহা হত্যাকাণ্ডের পর রামু থানাধীন হিমছড়ির নীলিমা রিসোর্ট থেকে এসব উপকরণ উদ্ধার করা হয়।

এর আগে, ১৯ আগস্ট (বুধবার) র‌্যাবের এক আবেদনের প্রেক্ষিতে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট তামান্না ফারাহ জব্দকৃত মালামাল র‌্যাবের মামলা তদন্তকারি কর্মকর্তার বরাবরে হস্তান্তরের আদেশ দেন।

এরপর বৃহস্পতিবার (২০ আগস্ট) বিকেলে এসআই শফিকুল ইসলাম রামু থানা পুলিশের পক্ষ থেকে বিচারিক হাকিম মোহাং হেলাল উদ্দিনের আদালতে আবেদন করা হয় জব্দ করা ইলেকট্রনিকস ডিভাইসগুলো তাদের হেফাজতে রাখতে। কিন্তু আদালত শুনানি শেষে পুলিশের আবেদন খারিজ করে দেন এবং বিচারক তামান্না ফারাহর আদেশটি বহাল রাখেন। সেই আদেশ অনুবলে ডিভাইসগুলো গ্রহণ করতে যান তদন্তকারী সংস্থার কর্মকর্তা।

র‌্যাব-১৫ কক্সবাজারের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বিমান চন্দ্র কর্মকারের নেতৃত্বে র‌্যাবের একটি প্রতিনিধি দল বৃহস্পতিবার রাত পৌনে ১২টায় রামু থানা থেকে এসব মালামাল গ্রহণ করেন। এ সময় রামু থানার ওসি আবুল খায়ের উপস্থিত ছিলেন।

র‌্যাব-১৫ কক্সবাজারের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বিমান চন্দ্র কর্মকার জানিয়েছেন, ল্যাপটপ, মোবাইল, হার্ডডিস্ক, দুই লাখ টাকাসহ ২৯ প্রকার মালামাল আদালতের আদেশের প্রেক্ষিতে র‌্যাবের কাছে হস্তান্তর হয়েছে। এসব ডিভাইস ব্যবহৃত হয়েছে কিনা তা তদন্ত সাপেক্ষে জানানো হবে বলে জানান র‌্যাব কর্মকর্তা।

প্রসঙ্গত, গত ৩১ জুলাই রাতে টেকনাফের মারিশবুনিয়া পাহাড়ে ভিডিওচিত্র ধারণ করে মেরিন ড্রাইভ দিয়ে কক্সবাজারের হিমছড়ি এলাকার নীলিমা রিসোর্টে ফেরার পথে শামলাপুর তল্লাশি চৌকিতে পুলিশের গুলিতে নিহত হন মেজর (অব.) সিনহা মো. রাশেদ। এ সময় পুলিশ সিনহার সঙ্গে থাকা সিফাতকে আটক করে কারাগারে পাঠায়।

পরে নীলিমা রিসোর্ট থেকে শিপ্রাকে আটক করে জেল হাজতে পাঠানো হয়। দুইজনই বর্তমানে জামিনে মুক্ত। এ ঘটনায় নিহত সিনহার বড় বোন শারমিন শাহরিয়া ফেরদৌস বাদী হয়ে ৯ পুলিশকে এজাহারভুক্ত করে মামলা করেন। এই মামলায় বর্তমানে আটক হয়েছে ১৩ জন। তার মধ্যে ৭ জন টেকনাফ থানার পুলিশ। ৩ জন ১৬ এপিবিএনের পুলিশ সদস্য। আর বাকি তিন জন সিনহা হত্যা নিয়ে পুলিশের দায়েরকরা মামলার সাক্ষী।

উল্লেখিত ১৩ আসামির মধ্যে র‌্যাবের ৭ দিনের রিমান্ড শেষ ৪ পুলিশসহ ৭ জন কারাগারে রয়েছে। পাশাপাশি ৭ দিনের রিমান্ড মাথায় নিয়ে কারাগারে আছেন তিন এপিবিএনের পুলিশ সদস্য। আর বাকী ওসি প্রদীপ, ইন্সপেক্টর লিয়াকত ও এসআই নন্দ দুলাল ৪র্থ দিনের মত র‌্যাব হেফাজতে রিমান্ডে রয়েছেন।

সেরা নিউজ/আকিব

Please Share This Post in Your Social Media

এই ক্যাটাগরীর আরও সংবাদ
© All rights reserved by Shera TV
Developed BY: Shera Digital 360