গরু চুরির অপবাদ দিয়ে মা মেয়েকে পিটিয়ে বেঁধে এলাকা ঘোরালো এলাকাবাসী - Shera TV
  1. [email protected] : sheraint :
  2. [email protected] : theophil :
গরু চুরির অপবাদ দিয়ে মা মেয়েকে পিটিয়ে বেঁধে এলাকা ঘোরালো এলাকাবাসী - Shera TV
রবিবার, ২৭ জুলাই ২০২৫, ০৫:৩৫ অপরাহ্ন

গরু চুরির অপবাদ দিয়ে মা মেয়েকে পিটিয়ে বেঁধে এলাকা ঘোরালো এলাকাবাসী

সেরা টিভি
  • প্রকাশের সময় : রবিবার, ২৩ আগস্ট, ২০২০

অনলাইন ডেস্ক:

কক্সবাজারের চকরিয়ায় মা, তার দুই মেয়ে ও ছেলেসহ পাঁচজনকে ‘গরুচোর’ অপবাদ দিয়ে বেঁধে পেটানোর অভিযোগ উঠেছে হারবাং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মিরানুল ইসলামের বিরুদ্ধে। খবর পেয়ে পুলিশ তাদের উদ্ধার করে চকরিয়া হাসপাতালে ভর্তি করেছে।

শুক্রবার দুপুরে কক্সবাজারের সীমান্ত চকরিয়ার হারবাং ইউনিয়নের পহরচাঁদা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। তবে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ঘটনার ছবি প্রকাশের পর শনিবার রাতে সেটি ভাইরাল হলে বিষয়টি জানাজানি হয়।

তিন নারীসহ পাঁচজনকে নির্যাতনের এই ঘটনার ছবি ও ভিডিও শনিবার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হলে দেশজুড়ে ব্যাপক আলোচনা হয়। ভাইরাল হওয়া একটি ফুটেজে দেখা যায়, ঘটনার শিকার দুই নারীর গায়ে বারবার হাত দিয়ে চৌকিদার তাদেরকে ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ে নিয়ে যাচ্ছেন। অন্য একটি ছবিতে দেখা যায় গুরুতর আহত এক নারী কোমরে রশি বাঁধা অবস্থায় মাথা হেলে জ্ঞান হারিয়ে পড়ে যাচ্ছেন।

এছাড়া সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ছবিতে দেখা গেছে, কোমরে রশি বেঁধে দুই নারীকে প্রকাশ্যে টেনে নিয়ে যাচ্ছেন কয়েকজন। তাদের পেছনে রয়েছে আরও অনেক মানুষ।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় কয়েকজন বলেন, মা-মেয়েকে রশি দিয়ে বেঁধে আনার পর হারবাং ইউনিয়ন পরিষদে স্থানীয় চেয়ারম্যান মিরানুল ইসলাম তাদের আবার মারধর করেন। একপর্যায়ে ওই দুই নারীর শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে তাদের পুলিশের হাতে তুলে দেন চেয়ারম্যান।

অভিযুক্ত চেয়ারম্যান মিরানুল ইসলাম

তবে অভিযোগ অস্বীকার করে চেয়ারম্যান মিরানুল ইসলাম বলেন, যখন গরু চুরির ঘটনা ঘটে তখন তিনি ছিলেন ব্যক্তিগত কাজে চট্টগ্রামের কলাউজানে। অবশ্য ঘটনার খবর পেয়ে গ্রাম্য চৌকিদার পাঠিয়ে জনতার রোষানল থেকে তাদের উদ্ধার করে ইউনিয়ন পরিষদে নিয়ে আসা হয়। এরপর পরিষদ থেকে মাত্র ২০ গজের মধ্যে থাকা হারবাং ফাঁড়ির পুলিশের কাছে তাদের হস্তান্তর করা হয়। কিন্তু বিভিন্ন মাধ্যমে আমাকেও এই ঘটনার সঙ্গে জড়িয়ে ঘটনাটি ভিন্নখাতে নেওয়ার চেষ্টা হচ্ছে।

চকরিয়া থানার ওসি মো. হাবিবুর রহমান বলেছন, গরু চুরির ঘটনা যেমন অপরাধ, তেমন আইনের দৃষ্টিতেও গর্হিত অপরাধ নারীর প্রতি অমানবিকতা। তাই অতি উৎসাহী যারা নারীদের ওপর এমন গর্হিত কাজ করেছে, শনাক্ত করে তাদের বিরুদ্ধেও প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

তদন্ত করার আগেই কেন তিনজন নারীসহ পাঁচজনকে চুরির মামলা রেকর্ড করে আদালতে পাঠানো হয়েছে এমন প্রশ্নের জবাবে ওসি বলেন, চেয়ারম্যান ও বাদীর অভিযোগের ভিত্তিতে গরু চুরির মামলা নেয়া হয়েছে। এই বিষয়ে এখন তদন্ত করে দেখছে পুলিশ।

নারী নির্যাতনের এই ঘটনা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হলে তা আদালতেরও দৃষ্টিগোচর হয়েছে। চকরিয়া উপজেলার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট রাজিব কুমারের আদালত রোববার স্বপ্রণোদিত হয়ে এই ঘটনার জন্য মামলা রেকর্ড করার আদেশ দিয়েছেন। চকরিয়া-পেকুয়া সার্কেলের সিনিয়র সহকারি পুলিশ সুপার মতিউল ইসলামকে ঘটনার তদন্ত করে ৭ কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিল করার নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।

সেরা নিউজ/আকিব

Please Share This Post in Your Social Media

এই ক্যাটাগরীর আরও সংবাদ
© All rights reserved by Shera TV
Developed BY: Shera Digital 360