অনলাইন ডেস্ক:
গত ১৭ আগষ্ট আবুধাবি ইমিগ্রেশান ডেস্ক থেকে বিমানের ৬৮ জন যাত্রীকে দেশে ফেরত পাঠানো হয়। বৈধ ভিসা থাকা সত্ত্বেও বাংলাদেশি যাত্রীদেরকে আবুধাবি বিমানবন্দরের ইমিগ্রেশন তাদেরকে প্রবেশ করতে না দিয়ে দেশে ফেরত পাঠিয়ে দেয়। এতে বিমান বাংলাদেশের কোন গাফিলতি বা দায় ছিল না। বরং আবুধাবি কর্তৃপক্ষের ভিসা পলিসি পরিবর্তনের কারণে বাংলাদেশি যাত্রীদের দেশে ফেরত পাঠানো হয়েছিল।
আবুধাবি ইমিগ্রেশান কন্ট্রোল অথরিটি (এআইসিএ) সম্প্রতি তাদের নিজস্ব ভিসা পলিসি পরিবর্তন করায় বাংলাদেশি শ্রমিকদেরকে সাময়িক অসুবিধার সম্মুখীন হতে হচ্ছে। শুধু বাংলাদেশ নয়- অন্যান্য দেশের কর্মীদের জন্যও এই নীতিমালা প্রযোজ্য হয়ে দাঁড়িয়েছে।
সোমবার রাতে বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা এ সব কথা জানান।
সংশ্লিষ্টরা জানায়, গত ১৭ আগষ্ট আবুধাবি ইমিগ্রেশান ডেস্ক থেকে বিমানের ৬৮ জন যাত্রীকে দেশে ফেরত পাঠানোর ঘটনার তদন্ত রিপোর্টে এসব তথ্য উল্লেখ করা হয়েছে। সব কাগজপত্র ও বৈধ ভিসার থাকার পরও আবুধাবি থেকে ফেরত পাঠানোর পর যাত্রীরা ঢাকায় হজরত শাহজালাল আন্তজার্তিক বিমানবন্দরে অবতরণের পর পরই বিক্ষোভে ফেটে পড়ে। এ ঘটনায় প্রাথমিকভাবে বিমানকে অভিযুক্ত করায় আন্তঃমন্ত্রণালয়ের এক জরুরি বৈঠকের সিদ্বান্তে বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান এয়ারভাইস মার্শাল মো. মফিদুর রহমানের নেতৃৃত্বে গঠিত উচ্চ পর্যায়ের একটি কমিটি গঠন করা হয়। তদন্ত কমিটিকে পরবর্তী ৫ কর্মদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিল করার নিদের্শ দেওয়া হয়।
সোমবার তদন্ত কমিটি এক দীর্ঘ বৈঠক শেষে প্রতিবেদন চূড়ান্ত করা হয়েছে- যা মঙ্গলবার দাখিল করা হবে বলে জানিয়েছেন-বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (বেবিচক) চেয়ারম্যান এয়ারভাইস মার্শাল মো. মফিদুর রহমান।
তদন্ত সংশ্লিষ্ট একটি সূত্র জানায়, বৈধ সব কাগজপত্র থাকা সত্ত্বেও কেন এই ৬৮ জনকে আবুধাবীতে নিজ নিজ কর্মস্থলে এসব শ্রমিকদেরকে প্রবেশ দেওয়া হয়নি তা জানতে চেয়েছে তদন্ত কমিটি। এ ছাড়া কমিটি বিমান, প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়, পররাষ্ট্রমন্ত্রণালয়, সংযুক্ত আরব আমিরাত সিভিল এভিয়েশানের কাছে ওই ঘটনার যৌক্তিক কারণ ও ব্যাখ্যা চেয়ে চিঠি পাঠায়। তদন্ত প্রতিবেদনের আরব আমিরাত সরকারের কাছে ভিসা সহজিকরণসহ বৈধ ভিসাধারী কর্মীদেরকে কাজে যোগদানের জন্য সুপারিশ করা হয়।
সেরা নিউজ/আকিব