চীনকে হঠাতে ইজরাইলী ফ্যালকন আনল ভারত - Shera TV
  1. [email protected] : akibmahmud :
  2. [email protected] : f@him :
চীনকে হঠাতে ইজরাইলী ফ্যালকন আনল ভারত - Shera TV
সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ০৪:৫৯ অপরাহ্ন

চীনকে হঠাতে ইজরাইলী ফ্যালকন আনল ভারত

সেরা টিভি
  • প্রকাশের সময় : শুক্রবার, ২৮ আগস্ট, ২০২০

ইন্টারন্যাশনাল ডেস্ক:

লাদাখে চিনা অনুপ্রবেশের জেরে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখায় (এলএসি) নজরদারিতে বিশেষ গুরুত্ব দিচ্ছে কেন্দ্র। এই উদ্দেশ্যে ইজরায়েল থেকে আরও দু’টি ফ্যালকন ‘এয়ারবোর্ন আর্লি ওয়ার্নিং অ্যান্ড কন্ট্রোল সিস্টেম’ (অ্যাওয়াকস)  কেনার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। চলতি সপ্তাহেই নিরাপত্তা বিষয়ক ক্যাবিনেট কমিটির (সিসিএস) বৈঠকে এ সংক্রান্ত প্রয়োজনীয় অনুমোদন মিলতে পারে বলে প্রতিরক্ষা মন্ত্রক সূত্রের খবর।

ভারতীয় বায়ুসেনার হাতে বর্তমানে তিনটি ফ্যালকন রয়েছে বলে প্রতিরক্ষা মন্ত্রক সূত্রের খবর। রাশিয়ার তৈরি সামরিক পরিবহণ বিমানে আইএল-৭৬-এ বসানো এই ইজরায়েলি নজরদারি ব্যবস্থার কাজ হল, ভারতীয় বায়ুসেনার ফাইটার জেটগুলিকে নিখুঁত ভাবে ‘লক্ষ্য’ চিহ্নিত করতে সাহায্য করা। পাশাপাশি, শত্রুপক্ষের বিমানবাহিনীর তৎপরতার উপর নজরদারির কাজও করতে পারে। বায়ুসেনা তাই একে বলে ‘আকাশের চোখ’। গত বছর পাকিস্তানের বালাকোটে জঙ্গি শিবিরে হামলাকারী ১২টি মিরাজ-২০০০ ফাইটার জেটকে সফল ভাবে পরিচালনা করেছিল একটি ইজরায়েলি ‘অ্যাওয়াকস’।

তবে অ্যাকয়াকসের সংখ্যার হিসেবে চিন এবং পাকিস্তান বিমানবাহিনী ভারতীয় বায়ুসেনার চেয়ে এগিয়ে। ৪০০ কিলোমিটার পাল্লার তিনটি ফ্যালকন ৩৬০ ডিগ্রি ক্ষেত্র জুড়ে নজরদারিতে সক্ষম। কিন্তু ভারতে তৈরি অ্যাওয়াকস ‘নেত্র’র ‘কর্মক্ষেত্রের পরিধি’ ২৪০ ডিগ্রি। বালাকোট হামলা এবং তার পরবর্তী সময় বিমানযুদ্ধে ব্যবহৃত হয়েছিল ব্রাজিলের এমব্রায়ের-১৪৫ বিমানে বসানো এই নজরদারি ব্যবস্থা। পাকিস্তানের হাতে থাকা চিনা ‘কারাকোরাম ঈগল ডেজডিকে-০৩’ এবং সুইডেনের ‘সাব-২০০০’ অ্যাওয়াকস ভারতীয় ‘নেত্র’র তুলনায় উন্নতামানের বলেই প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞদের মত।

দু’টি ফ্যালকনের পাশাপাশি সিসিএস আরও কিছু প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম কেনার ছাড়পত্র দিতে পারে বলে খবর। মোট অঙ্ক হতে পারে প্রায় ২০০ কোটি ডলার (প্রায় ১৪,৭৬৭ কোটি টাকা)। এর মধ্যে ইজরায়েলি নজরদারি ব্যবস্থার জন্য আনুমানিক খরচ ১০০ কোটি ডলারেরও (প্রায় ৭,৩৮৩ কোটি টাকা) বেশি।

পাশাপাশি, লাদাখে এলএসি-তে মোতায়েন ভারতীয় সেনার ব্যাটালিয়নগুলির কম্যান্ডারদের দেওয়ার জন্য ২০০টি  ট্যাকটিকাল ড্রোন কেনারও সিদ্ধান্ত নিতে চলেছে সিসিএস। এর ফলে চিনা ফৌজের গতিবিধির উপর নজরদারির কাজ অনেক নিখুঁত হবে বলে সেনা সূত্রের দাবি। বেশ কয়েক বছর ধরেই ইজরায়েলে তৈরি ‘হেরন’ সিরিজের নজরদারি ড্রোন ব্যবহার করে ভারতীয় সেনা। চালকবিহীন এই বিমান ৪৫ হাজার ফুট উঁচুতে উঠে ভূপৃষ্ঠে দৃশ্যমান পুরো অঞ্চলের ছবি স্পষ্ট করে তুলে ধরতে পারে। টানা ৩০ ঘণ্টা উড়ানে সক্ষম এই ড্রোন ঘাঁটি থেকে বহু দূরে গিয়েও নজরদারি চালাতে সক্ষম।

চিনা অনুপ্রবেশের প্রেক্ষিতে উত্তর লাদাখের দৌলত বেগ ওল্ডি বায়ুসেনা ঘাঁটি থেকে সানসোমা সেনা শিবিরের সংযোগ রক্ষাকারী সড়ক নির্মাণেরও সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্র। সাসের লা হিমবাহের উপর দিয়ে যাবে আধুনিক প্রযুক্তিতে নির্মিত ওই সড়ক।

 

সেরা নিউজ/আকিব

Please Share This Post in Your Social Media

এই ক্যাটাগরীর আরও সংবাদ
© All rights reserved by Shera TV
Developed BY: Shera Digital 360