দিনে স্রোত, রাতে ফেরি চলাচলে নিষেধাজ্ঞা, ভোগান্তিতে জনতা - Shera TV
  1. [email protected] : sheraint :
  2. [email protected] : theophil :
দিনে স্রোত, রাতে ফেরি চলাচলে নিষেধাজ্ঞা, ভোগান্তিতে জনতা - Shera TV
রবিবার, ২৭ জুলাই ২০২৫, ১০:৫৭ অপরাহ্ন

দিনে স্রোত, রাতে ফেরি চলাচলে নিষেধাজ্ঞা, ভোগান্তিতে জনতা

সেরা টিভি
  • প্রকাশের সময় : সোমবার, ৩১ আগস্ট, ২০২০

স্টাফ রিপোর্টার:

পদ্মা সেতুর নিরাপত্তা বিবেচনায় শিমুলিয়া-কাঁঠালবাড়ী নৌরুটে রাতে ফেরি চলাচল বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। সন্ধ্যা ৬টা থেকে পরদিন সকাল ৬টা পর্যন্ত ফেরি বন্ধের সিদ্ধান্ত গতকাল রাত থেকে কার্যকর হয়েছে। অন্যদিকে পদ্মা নদীতে তীব্র স্রোত ও নাব্য সংকটের কারণে দিনের বেলায় এই নৌরুটে ফেরি চলাচল ব্যাহত হচ্ছে। এতে চরম ভোগান্তিতে পড়েছে এই রুটে চলাচলকারী যাত্রীরা। দুই পাশে পারাপারের অপেক্ষায় আটকে আছে শত শত যানবাহন।

ফেরি চলাচল বন্ধের প্রথম দিনেই এই রুটে দেখা দিয়েছে তীব্র ভোগান্তি। ১৬টি ফেরির মধ্যে বর্তমানে তিনটি কে-টাইপ ও দুটি মাঝারিসহ মোট পাঁচটি ফেরি চলাচল করছে। দীর্ঘসময় চলাচল বন্ধ ও সীমিত পরিসরে ফেরি চলার কারণে রবিবার শিমুলিয়া ঘাটে আটকা পড়েছে পাঁচ শতাধিক ছোট-বড় যানবাহন। সকাল থেকেই ঘাটে ভিড় বাড়তে থাকে যানবাহনের। এতে পদ্মা পাড়ি দিয়ে গন্তব্য পৌঁছাতে ভোগান্তিতে পড়তে হয় দক্ষিণবঙ্গগামী হাজারো যাত্রীকে।

রবিবার দুপুর ঘাট এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, শিমুলিয়া ঘাটের পুরো এলাকাজুড়ে ছোট-বড় গাড়ির দীর্ঘ সারি। তীব্র গরমের মধ্যে নদী পারাপারের জন্য অপেক্ষা করছেন হাজার হাজার যাত্রী।

যাত্রীরা জানায়, সীমিত ফেরি চলাচল করলেও নদী পারাপারে অনেক বেশি সময় নিচ্ছে ফেরিগুলো। তবে সবচেয়ে বেশি ভোগান্তিতে পড়েছে বড় পণ্যবাহী ট্রাকগুলো।

বিআইডাব্লিটিসি শিমুলিয়া ঘাটের সহ-ব্যবস্থাপক (বাণিজ্য) মো. ফয়সাল ঢাকা টাইমসকে জানান, দুর্ঘটনা এড়াতে নির্দেশনা অনুযায়ী ফেরি চলাচল করছে। অ্যাম্বুলেন্স ও জরুরি গাড়িগুলো অগ্রাধিকার দেয়া হচ্ছে। নৌরুটে ড্রেজিংয়ের কাজ চলছে। নৌরুটের চ্যানেল ঠিক হলে ফেরি চলাচল স্বাভাবিক হবে।

এদিকে পদ্মা নদীতে তীব্র স্রোত ও নাব্য সংকটের কারণে রবিবার শিমুলিয়া-কাঁঠালবাড়ি নৌরুটে ফেরি চলাচল ব্যাহত হয়। এতে দুই পাড়েই আকটা পড়ে শত শত যানবাহন। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বাড়তে থাকে ভিড়।

শিমুলিয়া-কাঁঠালবাড়ী নৌরুটে রাতে ফেরি বন্ধ থাকায় পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌপথে চাপ বাড়ছে। কিন্তু এই রুটেও স্রোত ও নাব্য সংকটের কারণে ব্যাহত হচ্ছে ফেরি চলাচল। রবিবার পাটুরিয়াঘাটে আটকা পড়ে চার শতাধিক পণ্যবাহী ট্রাক ও শতাধিক যাত্রীবাহী গাড়ি।

বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন করপোরেশন (বিআইডব্লিউচিসি) আরিচা আঞ্চলিক কার্যালয়ের উপ-মহাব্যবস্থাপক মো. জিল্লুর রহমান বলেন, ‘পদ্মায় তীব্র স্রোতের কারণে ফেরিগুলোকে মূল চ্যানেল থেকে উজানের দিকে প্রায় দুই কিলোমিটার ঘুরে দৌলতদিয়া ঘাটে যেতে হচ্ছে। পারপারে সময় বেশি লাগায় ফেরির ট্রিপের সংখ্যা কমে গেছে। যাত্রীবাহী গাড়িগুলোকে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে পার করা হচ্ছে। এ কারণে ঘাট এলাকায় ছোট গাড়ি ও বাসের তেমন চাপ না থাকলেও আটকা পড়েছে চার শতাধিক পণ্যবাহী ট্রাক।’

‘স্রোত নিয়ন্ত্রণে না আসা পর্যন্ত রাতে ফেরি বন্ধ’

নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বিবিসিকে বলেছেন, এখন যেভাবে নদীর ভাঙন হচ্ছে, যেভাবে পলি জমে গেছে, স্রোতের কারণে আমাদের ফেরিগুলো ঠিকমতো চলতে পারছে না। প্রবল স্রোতের কারণে আমাদের একদিকে রুটগুলো বারবার চেঞ্জ হচ্ছে, পাশাপাশি পদ্মা সেতুর পিলারগুলোর একটা থেকে আরেকটার দূরত্ব যেহেতু বেশি নয়, রাতের বেলায় ফেরি চলাচলে একটা ঝুঁকি থেকে যায়, তাই রাতে ফেরি চলাচল বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। যতদিন পর্যন্ত স্রোতের ব্যাপারটা পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে না আসবে, ততদিন পর্যন্ত এভাবে বন্ধ রাখা হবে।

তিনি আশঙ্কা প্রকাশ করে বলেন, ফেরিগুলোর অনেক ওজন হয়ে থাকে। কোনো কারণে স্রোতের সঙ্গে ভেসে গিয়ে সেটা যদি পিলারে লেগে যায়, অথবা পিলারের আশেপাশে গিয়ে চরে আটকে যায়, সেটা পদ্মা সেতুর জন্য একটা ঝুঁকি। আমরা সেই ঝুঁকিটা নিতে চাই না।

গাড়ি চলাচলে আপাতত বিকল্প হিসেবে রাতের বেলায় পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া রুট ব্যবহারের পরামর্শ দিয়েছেন তিনি।

বিআইডব্বিউটিসির কর্মকর্তারা জানান, শুধু শিমুলিয়া ঘাটে যানবাহন চলাচল থেকে প্রতিদিন ২৫ লাখ টাকা আয় হয়ে থাকে। ফলে এখন এই আয় অর্ধেকে নেমে আসতে পারে বলে তারা মনে করছেন।

তবে রাতের বেলায় কিছু যাত্রীবাহী বাসের পারাপার হলেও প্রধানত পণ্যবাহী ট্রাক চলাচল করে বলে কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।

সেরা নিউজ/আকিব

Please Share This Post in Your Social Media

এই ক্যাটাগরীর আরও সংবাদ
© All rights reserved by Shera TV
Developed BY: Shera Digital 360