বিনোদন ডেস্ক:
সুশান্ত সিং রাজপুতের মৃত্যুর ঘটনায় দায়েরকৃত মামলায় চতুর্থ দফায় তার প্রেমিকা রিয়া চক্রবর্তীকে জেরা করেছে সিবিআই (সেন্ট্রাল ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন)। সিবিআইয়ের জাদরেল নারী কর্মকর্তা নূপুর প্রসাদ প্রাথমিকভাবে কথা বলছেন রিয়া চক্রবর্তীর সঙ্গে। রিয়া নিজের জালে নিজেই আষ্টেপৃষ্ঠে জড়িয়ে পড়েছেন।
তৃতীয় দিনের জেরার সারসংক্ষেপ করে নূপুর ও রিয়ার কথোপকথন ছিল অনেকটা এ রকম:
সিবিআই: আপনি বলছেন, সুশান্ত রাজার হালে থাকত?
রিয়া: জি।
সিবিআই: তাহলে আপনি তার সাথে যতদিন ছিলেন, ততদিন রানির মতোই ছিলেন?
রিয়া: জি।
সিবিআই: তাহলে ৮ তারিখ কেন চলে গেলেন?
রিয়া: সেটা আমার একান্ত ব্যক্তিগত বিষয়। আর ব্যক্তিগত বিষয়ে গোপনীয়তার অধিকার নাগরিকের সাংবিধানিক অধিকার।
সিবিআই: সুশান্তকে ব্লক করলেন কেন? এই প্রশ্নতেও নিশ্চয়ই আপনার সাংবিধানিক অধিকার বিঘ্নিত হয়?
রিয়া: জি, ব্যক্তিগত প্রশ্ন।
সিবিআই: তাহলে আপনার বক্তব্য অনুযায়ী বিষয়টি দাঁড়াল, আপনি দেড় বছর একটা মানুষের সঙ্গে ছিলেন। তার বাসা বদলেছেন। ম্যানেজার বদলেছেন। তার সহকারীদের বদলেছেন। তিনি মাদকাসক্ত আর হতাশায় ভোগায় চিকিৎসা করিয়েছেন। তাকে আপনার ওপর নির্ভরশীল করিয়েছেন। আর তিনি আপনাকে নভেম্বরে বিয়ে করবেন বলে সময় ঠিক করিয়েছিলেন। বাড়ি কেনার জন্য কিস্তিতে অর্থও দিতে লাগলেন। আপনি আর আপনার ভাইকে নিয়ে বেশ কয়েকটি প্রতিষ্ঠানও খুললেন। এমন সময় তাকে ছেড়ে গেলেন। প্রয়োজনে আপনার সঙ্গে যেন যোগাযোগ করতে না পারেন, সে জন্য সুশান্তের নম্বর ব্লকও করে রাখলেন। আপনি সুশান্তের ১৫ কোটি রুপির সম্পর্কে কিছুই জানেন না। সুশান্তের বাসা থেকে বের হওয়ার সময় ৮টি হার্ডডিস্ক নষ্ট করেছেন। তাতে কী ছিল, সেই সম্পর্কেও কিছুই জানেন না। আপনার সব কথাও যদি মেনে নিই, তাহলেও সুশান্তকে পরোক্ষভাবে আত্মহত্যার দিকে ঠেলে দেওয়ার জন্য আপনাকে গ্রেফতার করা যেতে পারে। কেননা, আপনি তার সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করেছেন। আপনি তার নম্বর ব্লকলিস্টে রেখেছেন। তারপরেই তিনি আত্মহত্যা করেছেন।
সেরা নিউজ/আকিব