সাংবাদিক জামাল খাশোগি হত্যার দায়ে ৮জনকে ৭ থেকে ২০ বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড - Shera TV
  1. [email protected] : sheraint :
  2. [email protected] : theophil :
সাংবাদিক জামাল খাশোগি হত্যার দায়ে ৮জনকে ৭ থেকে ২০ বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড - Shera TV
শনিবার, ০৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১১:৫৪ পূর্বাহ্ন

সাংবাদিক জামাল খাশোগি হত্যার দায়ে ৮জনকে ৭ থেকে ২০ বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড

সেরা টিভি
  • প্রকাশের সময় : সোমবার, ৭ সেপ্টেম্বর, ২০২০

ইন্টারন্যাশনাল ডেস্ক:
সৌদি আরবের নির্বাসিত সাংবাদিক জামাল খাশোগি হত্যায় জড়িতদের ৭ থেকে ২০ বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড দিয়েছেন দেশটির পাবলিক প্রসিকিউশন সার্ভিস। 

ভিন্নমতাবলম্বী সাংবাদিক জামাল খাশোগি হত্যার দায়ে আটজনকে এ দণ্ড দেয়া হয়। এরমধ্যে দিয়ে পূর্বে ৫ জনকে দেয়া মৃত্যুদণ্ডের রায় বাতিল হয়ে গেলো।

পাবলিক প্রসিকিউশন সার্ভিসের বরাতে সৌদি প্রেস এজেন্সি জানায়, হত্যার দায়ে ৫ জনকে ২০ বছর এবং বাকি তিন জনকে সাত থেকে ১০ পর্যন্ত কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে। দণ্ডপ্রাপ্তদের পরিচয় জানা যায়নি।

গেলো মে মাসে খাশোগির ছেলে বলেছিলেন, হত্যাকারীদের তারা ক্ষমা করে দিয়েছেন। তার অর্থ হলো খাশোগির পরিবার মৃত্যুদণ্ড চায় না। চূড়ান্ত রায়ে তাই মৃত্যুদণ্ড পাওয়া ৫ জনকে কারাদণ্ড দেয়া হয়।

২০১৮ সালের ২ অক্টোবরে ইস্তাম্বুলে সৌদি কনস্যুলেটে গিয়ে নিখোঁজ হন খাশোগি। পরে তুর্কি কর্তৃপক্ষ তথ্য প্রমাণসহ জানায়, কনস্যুলেটে সৌদি আরবের ভাড়া করা একদল খুনির হাতে নির্মম হত্যার শিকার হন তিনি।

হত্যার পর তার মরদেহ টুকরো টুকরো করা হয়। ঝলসিয়ে দেয়া হয় এসিড দিয়ে। ২ বছর হতে চললেও এখনো তার মরদেহের হদিস মেলেনি।

ওয়াশিংটন ডিসির আরব সেন্টার থেকে খালিল জাহশান জানান, এটিই চূড়ান্ত রায়। হত্যা মামলার রায় পূনর্বিবেচনার কোনো সুযোগ নেই।

আল জাজিরাকে খাশোগির পারিবারিক বন্ধু জাহশান বলেন, এখন গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন হলো জামাল খাশোগির মরদেহ কোথায়? আমি চাই তার মরদেহের সঙ্গে কী হয়েছে তাও উদঘাটন করা হোক।

পুরো রায় আমার কাছে কারচুপি মনে হচ্ছে। সৌদি আরবের বিচার কার্যক্রম অনুযায়ী ক্ষতিগ্রস্ত পরিবার চাইলে সাজা কমানো বা অর্থের বিনিময়ে সাজা মওকুফ করতে পারে। খাশোগির পরিবার এমন একটি ঘোষণাও দিয়েছিল। পুরো বিষয়টি তাদের উপর চাপ দিয়ে করা হয়েছে- এতো সন্দেহের অবকাশ নেই। খাশোগির পরিবার স্বেচ্ছায়, জ্ঞাতসারে ওই ঘোষণা দেয়নি বলে আমার মনে হয়। বলেন খাশোগির পারিবারিক বন্ধু।

৫৯ বছর বয়সী ওয়াশিংটন পোস্টের কলামিস্ট খাশোগি সৌদি সরকারের কট্টর সমালোচক ছিলেন।

বেশ কয়েকটি পশ্চিমা গোয়েন্দা সংস্থা তাদের প্রতিবেদনে দাবি করে হত্যার মিশন সম্পর্কে আগে থেকে জানতেন সৌদি ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমান। তার নির্দেশে হত্যা করা হয়েছে বলেও খবর প্রকাশ হয়। চূড়ান্ত রায়ের পরও খাশোগি হত্যায় ক্রাউন প্রিন্সের জড়িত থাকার অভিযোগের বিষয়টি মীমাংসা না হওয়ায় রায় নিয়ে প্রশ্ন থেকেই যায়।

খাশোগি হত্যার শুরু থেকে এতে জড়িত থাকার কথা অব্যাহতভাবে অস্বীকার করে সৌদি আরব। কয়েক সপ্তাহ পর আন্তর্জাতিক চাপে যখন স্বীকারে বাধ্য হয় তখন হত্যাকাণ্ডকে দুর্বৃত্তের কর্মকাণ্ড বলে অভিহিত করে।

২০১৯ সালের জুনে জাতিসংঘের বিশেষদূত অ্যাগনেস ক্যালামার্ড তার প্রতিবেদনে হত্যাকাণ্ডে ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমানসহ দেশটির কর্মকর্তারা জড়িত থাকার অকাট্য প্রমাণ পেয়েছেন বলে দাবি করেন। খাশোগি হত্যার জন্য সৌদি কর্মকর্তাদের দায়ী করেন ইস্তাম্বুল প্রসিকিউটরও।

যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসকারী খাশোগি হত্যাকাণ্ড বিশ্বব্যাপী সৌদিবিরোধী ব্যাপক প্রতিক্রিয়া তৈরি হয়। আন্তর্জাতিক অঙ্গনে হুমকিতে পড়ে ক্রাউন প্রিন্সের ভাবমূর্তি।

জামাল খাশোগি ছিলেন তুর্কি প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইপ এরদোয়ানের পরিচিত। হত্যাকাণ্ড ঘটে তুরস্কে। সবমিলিয়ে তখন তুর্কি-সৌদি সম্পর্ক ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়।

মার্চে তুর্কি প্রসিকিউটর জানান, মোহাম্মদ বিন সালমানের সাবেক দুই জ্যেষ্ঠ সহকারীসহ সৌদি আরবের ২০ নাগরিক খাশোগি হত্যায় জড়িত।

রায়ে, সৌদির সাবেক গোয়েন্দা উপপ্রধান আহমেদ আল আসরিকে হত্যার পরিকল্পনা এবং ভাড়াটে খুনির দল জোগাড়ের জন্য অভিযুক্ত করা হয়।

খুনির দলকে নেতৃত্ব দেয়া, হত্যার জন্য প্ররোচিত করা এবং নির্দেশ দেয়ার জন্য সৌদি আরবের রয়েল কোর্ট এবং মিডিয়া অ্যাডভাইজার সৌদ আল খাহতানিকে দায়ী করা হয়। সৌদি মিলিটারি এবং গোয়েন্দা বিভাগের এক কর্মকর্তাকে হামলায় অংশ নেয়ার জন্য দায়ী করে তুর্কি প্রসিকিউশন।

সেরা নিউজ/আকিব

Please Share This Post in Your Social Media

এই ক্যাটাগরীর আরও সংবাদ
© All rights reserved by Shera TV
Developed BY: Shera Digital 360