স্টাফ রিপোর্টার:
রাজনীতিতে প্রবেশের ইঙ্গিত দিয়েছেন জাতীয় পার্টির প্রয়াত চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের সাবেক স্ত্রী বিদিশা এরশাদ। সোমবার এরশাদের করব জিয়ারত শেষে রংপুরস্থ পল্লী নিবাস বাসভবনে ছেলে এরিক এরশাদকে সঙ্গে নিয়ে রাজনীতির জন্য সারাদেশ ভ্রমণের কথা জানিয়েছেন তিনি।
এসময় এরিক এরশাদ বলেন, আমি আমার মাকে নিয়ে রংপুরে এসেছি বাবার কবর জিয়ারত করার জন্য। আমার অনেক আগেই আসার কথা ছিল, কিন্তু অনেক বাধার কারণে আসতে পারিনি। ফোন করে আমাকে অনেক হুমকি দেয়া হয়েছিল যেন আমি রংপুরে না আসি। তিনি বলেন, রংপুরের মানুষ আমার আব্বার পাশে ছিলেন। তারা আমার পাশেও থাকবেন এবং আব্বার কবর দেখে রাখবেন।
এটি রংপুরবাসীকে দায়িত্ব দিয়ে গেলাম।
এসময় বিদিশা এরশাদ বলেন, রাজনীতি করতে অনেক সাহসের প্রয়োজন। আমি বিদিশা আমার হাতে এখন পয়সা নেই। তবে আমার সাহস হচ্ছে আমার সন্তান। আমি আমার সন্তানের বাবার কাছে অনেক কিছু শিখেছি। মানুষের কাছে যাওয়া, কথা বলা শিখেছি। রংপুরের মানুষের ঘরে ঘরে আমাকে নিয়ে যেতেন তিনি। এই রংপুর থেকে রাজনীতি শিখেছি।
আমি কিছুই ভুলি নাই। বিদিশা বলেন, দীর্ঘ ১৪ বছর পর রংপুরে আসলাম। যেদিন এরশাদ সাহেবের সাথে এরিককে নিয়ে রংপুরের মাটিতে পা রাখি, রাস্তার দু’পাশে ফুলে ফুলে মানুষ আমাকে বরণ করে নিয়েছিলেন। অনেক শখ করে এরশাদ সাহেব আমাকে বিয়ে করেছিলেন। সুখের সংসার ছিল আমাদের এই সন্তানটিকে নিয়ে। কিন্তু সেটি সহ্য হয়নি অনেকের। কারণ এটি রাজনৈতিক পরিবার ছিল, আমরা প্রাসাদ রাজনীতির শিকার। বিদিশা বলেন, সব সময় এরশাদ সাহেবকে একটি গ্রুপ ভুল বোঝানো ও আমাদের মধ্যে দুরুত্ব তৈরীতে ব্যস্ত ছিল।
তাদের জন্য আমরা সংসার করতে পারিনি। আজও সেই গ্রুপটি সক্রিয় আছে। তারা এখন পাগল হয়েছে এরিকের সম্পদ লুটপাট করার জন্য। এরিকের ট্রাস্টে কত সম্পদ আছে তা সবাই জানে। কিন্তু এরিকের কোন কিছুই এরিকের কাছে নেই, সব দখল হয়ে গেছে। সবাই দখলের জন্য ব্যস্ত হয়ে গেছে। কেউ এই প্রতিবন্ধী বাচ্চার জন্য চিন্তা করে না। এ সময় উপস্থিত ছিলেন, বিএনএ জোটের সভাপতি সেকেন্দার আলী মনি, মুখপাত্র শেখ মোস্তাফিজুর রহমান, মহাসচিব মো. জাহাঙ্গীর হোসেন, সমন্বয়কারী আখতার হোসেন, এরশাদ ট্রাষ্টের পরিচালক ও এরিক এরশাদের লিগ্যাল অ্যাডভাইজার অ্যাড. কাজী রুবায়েত হোসেন প্রমুখ।
এরপর এরিক এরশাদ, বিদিশা এরশাদ তাদের সফর সঙ্গীদের নিয়ে হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের কবর জিয়ারত করেন।
সেরা নিউজ/আকিব