সেরা নিউজ ডেস্ক:
এক হাজার চীনা নাগরিকের যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারির প্রতিক্রিয়ায় চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে বলা হয়েছিল, শিগগিরই তারা পাল্টা ব্যবস্থা নেবে। সেটা যে নেহাত কথার কথা ছিল না, সেটা বুঝিয়ে দিতে দেরি করল না দেশটি।
শুক্রবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণারয়ের এক ঘোষণায় বলা হয়েছে, চীনে কর্মরত যুক্তরাষ্ট্রের সব কূটনীতিকের ওপর পাল্টা নিষেধাজ্ঞা দিচ্ছে তারাও। এই সিদ্ধান্ত অনুসারে শুধু যে চীনে নিযুক্ত দূতাবাস ও কনসুলেট কর্মীদের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপিত হচ্ছে, তা নয়, একই নিষেধাজ্ঞা হংকংয়ে যুক্তরাষ্ট্রের কনস্যুলেট-জেনারেলের ওপরও জারি করা হচ্ছে। খবর আল জাজিরার
কিছুদিন আগে যুক্তরাষ্ট্রে কর্মরত চীনা কূটনীতিকদের ওপর এক ঝাঁক বিধি নিষেধ দিয়েছে ট্রাম্প প্রশাসন। নতুন নিয়মে চীনা কূটনীতিকরা যুক্তরাষ্ট্রের বিশ্ববিদ্যালয় পরিদর্শন কিংবা দূতাবাসের বাইরে ৫০ জনের বেশি লোকের সমাবেশ ঘটাতে চাইলে কিংবা স্থানীয় কর্মকর্তাদের সঙ্গে দেখা করতে চাইলে আগে যুক্তরাষ্ট্রের প্রশাসনের অনুমতি নিতে হবে।
গত সপ্তাহে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও বলেছিলেন, চীন আগে থেকেই তাদের কূটনীতিকদের বিরুদ্ধে এ ধরনের ব্যবস্থা নিচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্রের ব্যবস্থা তারই প্রতিক্রিয়া মাত্র। কিন্তু সে দিকে না গিয়ে চীন পাল্টা প্রতিক্রিয়া জানিয়ে গত সপ্তাহেই বলেছিল, তারা শিগগরিই যুক্তরাষ্ট্রের পদক্ষেপের যথোপযুক্ত জবাব দিতে যাচ্ছে।
দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য, তাইওয়ান, তিব্বত, হংকং, মানবাধিকার লঙ্ঘন, করোনাভাইরাসের মতো ইস্যুগুলো নিয়ে চীনের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বিরোধ বহুদিনের। তবে আগামী নভেম্বরে মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনকে সামনে রেখে সেই বিরোধে নতুন গতি যোগ করেছে ট্রাম্প প্রশাসন। চীনের সঙ্গে সম্পর্ক সীমিতকরণকে নির্বাচনী প্রচারণার অন্যতম হাতিয়ার হিসেবে বেছে নিয়েছেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।
বিবৃতিতে চীনা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, তাদের কূটনীতিকদের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের দফায় দফায় নিষেধাজ্ঞা উভয় দেশের স্বাভাবিক সম্পর্কের ওপর বিরূপ প্রভাব ফেলেছে। তারা চীনের বিষয়ে বারবার ভুল সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এসব ভুল সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারে তারা যুক্তরাষ্ট্রের কাছে সাম্প্রতিক নিষেধাজ্ঞার মাধ্যমে একটি বার্তা পাঠিয়েছে মাত্র।
সেরা নিউজ/আকিব