করোনাকালীন সময়ে বিমানের ক্ষতি ২৮০০ কোটি টাকা - Shera TV
  1. [email protected] : akibmahmud :
  2. [email protected] : f@him :
করোনাকালীন সময়ে বিমানের ক্ষতি ২৮০০ কোটি টাকা - Shera TV
বৃহস্পতিবার, ১৬ জানুয়ারী ২০২৫, ১১:১৪ পূর্বাহ্ন

করোনাকালীন সময়ে বিমানের ক্ষতি ২৮০০ কোটি টাকা

সেরা টিভি
  • প্রকাশের সময় : বুধবার, ১৬ সেপ্টেম্বর, ২০২০

স্টাফ রিপোর্টার:
করোনার ছোবল পড়েছে এভিয়েশন  সেক্টরে। করোনার কারণে বন্ধ হয়ে যায় দেশীয় ও আন্তর্জাতিক সব ফ্লাইট। এতে গত ৫ মাসে বাংলাদেশ বিমানের প্রায় ২ হাজার ৮০০ কোটি টাকা লোকসান হয়েছে। দেশীয় ও আন্তর্জাতিক রুটে বিমান চলাচল বন্ধ থাকলেও থেমে ছিল না খরচ। বিমানের ডানা আকাশে না মেললেও এর পেছনে নিয়মিত রক্ষণাবেক্ষণ খরচে মোটা অঙ্কের টাকা গুনতে হয়। লিজে আনা উড়োজাহাজের ভাড়া পরিশোধ, সিভিল এভিয়েশনের অ্যারোনটিক্যাল ও নন-অ্যারোনটিক্যাল চার্জ, কর্মীদের বেতন, অফিস ভাড়াসহ বিভিন্ন ব্যয় টানতে গিয়ে হিমসিম খেতে হয়েছে কর্তৃপক্ষকে। গত ১লা জুন থেকে আবার সীমিত পরিসরে ফ্লাইট চালু হয়েছে। তবে মিলছে না প্রত্যাশিত যাত্রী।  কখনো পুরো ফ্লাইট  যাত্রী ভরা পাওয়া যাচ্ছে কখনো আবার অর্ধেকেরও বেশি আসন ফাঁকা নিয়ে গন্তব্যস্থলে যাচ্ছে বিমান।

তবে এই ধাক্কা সামাল দেয়ার জন্য কর্তৃপক্ষ চেষ্টা চালাচ্ছে নিরন্তর। তারা লোকসানের ধাক্কা সামাল দিতে গ্রাহক চাহিদা পূরণে সরাসরি আন্তর্জাতিক ফ্লাইট বাড়ানো, নেটওয়ার্ক সম্প্রসারণ ও সেবার মান বাড়ানোর উদ্যোগ নিয়েছেন তারা। কর্তৃপক্ষ প্রয়োজনীয় আরো জনবল নিয়োগ, দক্ষ জনসম্পদ গড়ে তোলার জন্য উন্নত প্রশিক্ষণ এবং বিভিন্ন খাতে প্রণোদনার  উদ্যোগ নিয়েছে। এ ছাড়াও বর্তমান ও ভবিষ্যতে উড়োজাহাজ রক্ষণাবেক্ষণে আধুনিক ও সুপরিসর প্রযুক্তির হ্যাঙ্গার নির্মাণ করা, তৃতীয় টার্মিনালের গ্রাউন্ড হ্যান্ডেলিং পরিকল্পনা নিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
এ বিষয়ে বাংলাদেশ বিমানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. মোকাব্বের হোসেন জানান, করোনায় বড় ধাক্কা গেছে এভিয়েশন খাতে। বিমানে যে লস হয় তা ফিরে আসে না। তিনি আরো জানান, তবুও আমরা ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করছি। ঘুরে দাঁড়াতে সরকারের সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের একাধিক উদ্যোগ আছে।
বাংলাদেশ বিমানসূত্রে জানা গেছে, বর্তমানে বহরে উড়োজাহাজের সংখ্যা রয়েছে ১৮টি। নির্মাতা প্রতিষ্ঠান  বোয়িং থেকে সরাসরি কেনা হয়েছে ১২টি। আর দীর্ঘ দূরত্ব পারি দিতে সক্ষম ৪১৯ আসনের বোয়িং ৭৭৭-৩০০ ই-আর উড়োজাহাজ রয়েছে ৪টি। এরপরও এই বহরে আরো যুক্ত হয়েছে ১৬২ আসনের দু’টি বোয়িং ৭৩৭-৮০০ ও ২৭১ আসনের ৬টি বোয়িং ৭৮৭ ড্রিমলাইনার উড়োজাহাজ।
সূত্র জানায়, এসব উড়োজাহাজ রক্ষণাবেক্ষণে প্রতিমাসে খরচ হয় ২৬৬ কোটি টাকা। এর বাইরেও প্রতিমাসে লিজে আনা ছয়টি উড়োজাহাজের জন্য ৯৮ কোটি টাকা আর বোয়িং  থেকে কেনা উড়োজাহাজের কিস্তি বাবদ ৭০ কোটি টাকা পরিশোধ করতে হয়। এ ছাড়া কর্মকর্তাদের বেতন ও দেশ-বিদেশের অফিস রক্ষণাবেক্ষণে  মোটা অঙ্কের অর্থ ব্যয় করতে হয় বাংলাদেশ বিমানকে।  করোনাকালে বিমান বন্ধ থাকলেও এই খাতগুলোর খরচ কমেনি। ফলে বিমানকে মোটা অঙ্কের লোকসান গুনতে হয়ছে। এ ধাক্কা সামাল দেয়ার জন্য আপাতত আন্তর্জাতিক রুটে বেশি করে ফ্লাইট বাড়ানো ও সেবার মান বাড়ানোর উদ্যোগ নিয়েছে সংস্থাটি। ক্ষতি পুষিয়ে ওঠার জন্য বিমানের গ্রাউন্ড হ্যান্ডলিংয়ে আইএসএজিও সনদ ও উড়োজাহাজের রক্ষণাবেক্ষণে ইএএসএ-১৪৫ সনদ অর্জনের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।
বেসরকারি বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ সূত্রে জানা গেছে, বেবিচকের বার্ষিক রাজস্ব আসে ১৫০০ কোটি টাকার বেশি। এই টাকা আবার বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজে ব্যয় হচ্ছে। আন্তর্জাতিক ফ্লাইটের ক্ষেত্রে ছয় মাসের জন্য ৫০ শতাংশ চার্জ মওকুফ করা হলে ৪০০ থেকে ৫০০ কোটি টাকার রাজস্ব হারাতে হবে। এ ছাড়াও জানা গেছে, করোনায় আয় কমেছে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষের। বিমানবন্দরের ভেতরের টার্মিনাল ব্যবহারের ফি, ব্যাগেজ  বেল্টের ফি, কার পার্কিং, বিমানবন্দরের ভেতরের দোকান ও রেস্টুরেন্টের ভাড়া, বিমানে জ্বালানি দেয়া থেকে আয়কৃত লাভ, বিভিন্ন ব্র্যান্ডের বিজ্ঞাপনের বোর্ডসহ আরো কয়েকটি খাত থেকে আয় আসে। করোনায় গত ৬ মাসে বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ ২৬৭ কোটি ৬৫ লাখ টাকার আয় কমেছে বলে জানা গেছে।
সূত্র জানায়, ২০১৯ সালের প্রথম ছয় মাসে শাহাজালাল  বিমানবন্দর থেকে আয় হয়েছিল ৭৩২ কোটি ৭৫ লাখ টাকার মতো। ২০২০ সালের একই সময়ে আয় কমে দাঁড়িয়েছে ৪৬৫ কোটি ১০ লাখ টাকায়। করোনার প্রভাবে দীর্ঘদিন বিমানবন্দরে যাত্রী পরিবহনে ফ্লাইট বন্ধ এবং ফ্লাইট ওঠা-নামা আগের চেয়ে কমে যাওয়ায় আয় কমেছে।

 

সেরা নিউজ/আকিব

Please Share This Post in Your Social Media

এই ক্যাটাগরীর আরও সংবাদ
© All rights reserved by Shera TV
Developed BY: Shera Digital 360