অনলাইন ডেস্ক:
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির অভিযোগ নিতান্ত কম নয়। নারীদের একের পর এক অভিযোগ তার মন্ত্রিসভার সদস্যদের সংখ্যাকেও ছাড়িয়ে গেছে। আসন্ন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আগে আগে তার বিরুদ্ধে সর্বশেষ অভিযোগটি এনেছেন অ্যামি ডোরিস নামের সাবেক এক মডেল। এ নিয়ে অভিযোগকারীর তালিকায় যোগ হল অন্তত ২৬ নারী। অভিযোগকারীদের ‘মিথ্যাবাদী’ অভিহিত করে প্রতিটি অভিযোগই অস্বীকার করেছেন ট্রাম্প।
দরজায় কড়া নাড়ছে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন। আর মাত্র দেড় মাস বাকি। নির্বাচনী প্রচার-প্রচারণা নিয়ে চরম ব্যস্ত মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এমন পরিস্থিতির মধ্যেই ফাঁস হল ট্রাম্পের আরেক যৌন কেলেঙ্কারির ঘটনা। অ্যামি ডোরিস নামের ওই নারীর দাবি, দুই দশকেরও বেশি সময় আগে এক জাতীয় টেনিস টুর্নামেন্ট চলাকালে ট্রাম্প তাকে যৌন নির্যাতন করেছিলেন।
দ্য গার্ডিয়ানকে এক সাক্ষাৎকারে তিনি জানান, ১৯৯৭ সালের ৫ সেপ্টেম্বর নিউইয়র্কের একটি স্টেডিয়ামের ভিআইপি বক্সের বাথরুমের বাইরে তাকে জড়িয়ে ধরেন ট্রাম্প। ঘটনার আকস্মিকতায় ‘অসুস্থ’ ও ‘বিধ্বস্ত’ বোধ করছিলেন বলেও জানিয়েছেন তিনি।
সে সময় তরুণী ডোরিসের বয়স মাত্র ২৪ বছর। বয়ফ্রেন্ড জেসন বিনের সঙ্গে বন্ধু টেনিস টুর্নামেন্ট ইউএস ওপেন উপভোগ করতে নিউইয়র্ক গিয়েছিলেন তিনি। চারদিন অবস্থানকালে ট্রাম্পের সঙ্গে সাক্ষাৎ হয়। ট্রাম্প তার বয়ফ্রেন্ড জেসনের বন্ধু ছিলেন। বর্তমানে ৪৮ বছর বয়সী ও দুই সন্তানের মা এই নারী সাক্ষাৎকারে বলেন, বাথরুমের বাইরে একা পেয়ে তাকে জড়িয়ে ধরেন ট্রাম্প এবং এমনভাবে চেপে ধরেন যে, তার পক্ষে পালানো সম্ভব হয়নি। তিনি বলেন, আমি তার কব্জায় বন্দি হয়ে যায়। নিজেকে আর মুক্ত করতে পারিনি।’
ডোরিসের এই অভিযোগও যথারীতি অস্বীকার করেছেন ট্রাম্প। কিন্তু ট্রাম্পের সঙ্গে তার সাক্ষাৎ ও চারদিন নিউইয়র্ক থাকার একাধিক প্রমাণ উপস্থাপন করেছেন ডোরিস। সেসব প্রমাণের মধ্যে ইউএস ওপেনের টিকিট ও ট্রাম্প ও বয়ফ্রেন্ড জেসনসহ আরও কয়েকজনের জন্য তার ছয়টি রয়েছে। এসব প্রমাণ এখন গার্ডিয়ানের হাতে।
গত প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আগে ২০১৫ সাল থেকেই একের পর এক নারীর সঙ্গে ট্রাম্পের কেলেঙ্কারির কথা উঠে আসে। নির্বাচনের মাত্র এক মাস আগে ২০১৬ সালের ৭ অক্টোবর একটি অডিও ফাঁস হয়, যাতে ডোনাল্ড ট্রাম্পকে এক নারীর উদ্দেশে খুব বাজে মন্তব্য করতে শোনা যায়। সেই অডিওটি ছিল প্রায় বছর দশেক আগের। এরপরও নির্বাচনে জয়ী হন ট্রাম্প। চার বছর পর আবার এসেছে নির্বাচন। কিন্তু তার পিছু ছাড়েনি নানা কেলেংকারি, বিতর্ক ও সমালোচনা।
পর্নো তারকার সঙ্গে কেলেংকারি থেকে শুরু করে এই চার বছরের মধ্যে তাকে অভিশংসনের মুখেও পড়তে হয়েছে। ২০১৮ সালের জানুয়ারি মাসে স্টর্মি ড্যানিয়েল (যার প্রকৃত নাম স্টিফেনি ক্লিফোর্ড) দাবি করেন, ট্রাম্পের দীর্ঘদিনের আইনজীবী মাইকেল কোহেন ২০১৬ সালের নির্বাচনের আগে তাকে এক লাখ ৩০ হাজার ডলার দেন। ট্রাম্পের সঙ্গে তার যে যৌনসম্পর্ক ছিল, সে ব্যাপারে যেন তিনি চুপ থাকেন। শুধু ড্যানিয়েলই নন, একে একে ২৬ নারী অভিযোগ করেছেন।
সেরা নিউজ/আকিব