মোবাইল ব্যাংকিং নিয়ে যা বলছে ইসলাম - Shera TV
  1. [email protected] : akibmahmud :
  2. [email protected] : f@him :
মোবাইল ব্যাংকিং নিয়ে যা বলছে ইসলাম - Shera TV
সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১১:৪৩ পূর্বাহ্ন

মোবাইল ব্যাংকিং নিয়ে যা বলছে ইসলাম

সেরা টিভি
  • প্রকাশের সময় : রবিবার, ২০ সেপ্টেম্বর, ২০২০

অনলাইন ডেস্ক:

প্রশ্ন : মোবাইল ব্যাংকিংয়ের বর্তমান পদ্ধতি সেন্ডমানি বা ক্যাশআউট। কতটা শরিয়তসম্মত?

উত্তর : সেন্ডমানি করে নির্ধারিত রেটে একজন তার হিসাব থেকে অন্যজনের হিসাবে নির্ধারিত পরিমাণে টাকা পাঠাতে পারে।

শরিয়তের দৃষ্টিতে এতে কোনো সমস্যা নেই। ইসলামি ফিকহের দৃষ্টিতে ক্যাশআউট হল ‘আল ইজারাহ’-এর অন্তর্ভুক্ত। ইজারাহ হচ্ছে- নির্ধারিত বিনিময়ে নির্ধারিত সেবা বিক্রয় করা।

এক্ষেত্রে টাকা জমা/উত্তোলনকারী হচ্ছে সেবাগ্রহীতা বা ‘মুসতাজির’। আর কোম্পানি হচ্ছে সেবাদাতা বা ‘আজির’। এজেন্ট হচ্ছে মূল সেবাদাতা বা আজিরের প্রতিনিধি। ওকালা বা Agency Contract-এর ক্ষেত্রে Agent বা প্রতিনিধি পারিশ্রমিকের বিনিময়ে তার Agency-এর দায়িত্ব পালন করতে পারে।

আর পারিশ্রমিকের ক্ষেত্রে তা নির্দিষ্ট হওয়া জরুরি। তা নির্দিষ্ট অঙ্ক বা কোনো অঙ্কের নির্দিষ্ট হার দুটোই হতে পারে। যেমন ১০০ টাকায় ১০ টাকা বা ১০০ টাকার ১০ শতাংশ দুটোই বৈধ।

সূত্র : আল আওসাত ১১/১৩১; আলমুগনী ৮/২২

প্রশ্ন : মোবাইল ব্যাংকিংয়ে টাকা রাখলে মুনাফা পাওয়া যায়। এ টাকা সুদ কিনা? এমন প্রশ্ন করলে কর্তৃপক্ষ বলে, এটি সরাসরি কোম্পানির লভ্যাংশ থেকে দেয়া হয়। যা সম্পূর্ণ হালাল। এটি কি সত্যিই হালাল?

উত্তর : স্বীকৃত সুদি ব্যাংকের অধীনস্থ মোবাইল ব্যাংক থেকে প্রাপ্ত মুনাফা হালাল হওয়ার সুযোগ নেই।

কারণ মোবাইল ব্যাংকের টাকা মূলত ওই সুদি ব্যাংকেই জমা হয়। আর ওই ব্যাংক তো সুদভিত্তিকই পরিচালিত হয়। তবে ইসলামি শরিয়তের আলোকে পরিচালিত যেসব ব্যাংকের অধীন মোবাইল ব্যাংকিং রয়েছে সেসব ব্যাংকের দেয়া মুনাফা হালাল।

সুতরাং কেউ সুদি ব্যাংকের অধীন মোবাইল ব্যাংকে অ্যাকাউন্ট খুলে থাকলে তার জন্য কর্তব্য হল, অ্যাকাউন্টের অপশন থেকে সুদ গ্রহণের সিস্টেমটি বন্ধ করে দেয়া।

সূত্র : বজলুল মাজহুদ ১/৩৭ মাআরিফুসসুনান ১/৩৪ ফাতওয়ায়ে উসমানি-৩/২৬৯

প্রশ্ন : মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে প্রতি বছর আমি কিছু সুদ পাই। যেমন এ বছর ৪৮ টাকা পেয়েছি। এ টাকা কী করব?

উত্তর : ব্যাংকের সুদ নিজ অ্যাকাউন্টে চলে এলে সেই টাকাকে সদকা করে দিতে হবে। ইসলামের নির্দেশনা হল- যদি কারও কাছে কোনো হারাম মাল থাকে তাহলে সে ওই মালকে তার মালিকের কাছে ফিরিয়ে দেবে। যদি ফিরিয়ে দেয়া সম্ভব না হয় তাহলে গরিবদের সদকা করে দেবে। সূত্র : মাআরিফুস-সুনান ১/৩৪

উত্তর দিয়েছেন : মুফতি তোফায়েল গাজালি

পরিচালক : আল কোরআন ইন্সটিটিউট, ঢাকা।

প্রশ্ন পাঠানোর ঠিকানা: [email protected]

সেরা নিউজ/আকিব

Please Share This Post in Your Social Media

এই ক্যাটাগরীর আরও সংবাদ
© All rights reserved by Shera TV
Developed BY: Shera Digital 360