সেরা টেক ডেস্ক:
আমরা স্মার্টফোন কেনার আগে কতই না হিসাব করি। যেমন ক্যামেরাটা কত মেগাপিক্সেলের, ইন্টারনাল মেমরি কত জিবি বা ব্যাটারি ব্যাকআপ কত ঘণ্টা দিবে এই সমস্ত তথ্য নিয়েই সাধারণত আমরা বেশি আগ্রহী থাকি। কিন্তু ফোনের এমন অনেক গুরুত্বপূর্ণ ফিচার থাকে, যে গুলো নিয়ে আমরা একদমই চিন্তাভাবনা করি না বললেই চলে। তার মধ্যে যেমন স্মার্টফোনের রেডিয়েশন কত?
স্মার্টফোনের একটা অন্যতম প্যারামিটার হল রেডিয়েশন লেভেল। ফোনের মধ্যে থাকা ট্রান্সমিটিং ডিভাইস থেকে সব সময় নির্গত হয় অদৃশ্য রেডিও ফ্রিকোয়েন্সি তরঙ্গ। সেই তরঙ্গ নিঃসরণের হার একটি নির্দিষ্ট মাত্রা অবধি আমাদের শরীরের তেমন কোন ক্ষতি করে না। কিন্তু এই রেডিয়েশন লেভেল অতিরিক্ত হলে, তখন আমাদের শরীরে মারাত্মক প্রভাব পড়ে।
এবার জানা যাক কোন জায়গা থেকে আমরা এই রেডিয়েশনের সম্মুখীন হই। বলা যায় আমাদের আশেপাশে সব জায়গাতেই রেডিয়েশন আছে। যেমন, আমাদের আশেপাশের মোবাইল ফোনের যে টাওয়ার আবার বাসা বাড়ির ওয়াইফাই এমনকি আমরা যদি শুধু আমাদের কিছু ইলেক্ট্রনিক যন্ত্র ব্যবহার করি তাহলেই আমরা এই রেডিয়েশনের সম্মুখীন হবো যার শীর্ষে রয়েছে মোবাইল ফোন। পাশাপাশি ল্যাপটপ বা কম্পিউটারও বাদ যায় না। আর আপনার যন্ত্রের ব্র্যান্ড যতো উন্নত হবে এই রেডিয়েশনের পরিমাণটাও তত বেশি বেড়ে যাবে।
এবার আসা যাক সবচেয়ে বিতর্কিত প্রশ্নে যে এই রেডিয়েশনে কি আমাদের ক্যান্সার বা মৃত্যু হতে পারে কি? এর উত্তর সহজ। আসলে আমাদের ফোন থেকে যে রেডিয়েশন বিচ্ছুরিত হয় সেটার হার একেবারেই কম। এতটাই কম যে এর ফলে আমাদের শরীরে যে পরিমাণ ক্ষতি হয় তার পরায় সাথে সাথেই আমরা সেই ক্ষতিটাকে কাটিয়ে উঠতে পারি। তাই ক্ষতি মূলত কিছুই হয় না।
তাই কেউ যদি আপনাকে বলে যে ফোনের রেডিয়েশনে আপনার ক্যান্সার বা মৃত্যু হতে পারে তাহলে তাঁকে এই লেখাটি পরতে দিন। আর যদি এই কথাগুলো বিশ্বাস না হয় তাহলে আপনি ইন্টারনেট ঘেটে দেখে নিতে পারেন মানুষের অন্তত ক্যান্সার হওয়ার জন্য কেমন রেডিয়েশনের দরকার আর আমাদের ফোন থেকে কেমন রেডিয়েশন আমাদের দেহে প্রবেশ করে। তবে বলে রাখি, মোবাইল ফোনের অতিরিক্ত ব্যবহার আমাদের মস্তিষ্ক ও চোখের ক্ষতি করে থাকে। তাই অপ্রয়োজনে ফোনের ব্যবহার করবেন না।
সেরা নিউজ/আকিব