বাঁধ নিমাণের দাবিতে যমুনার তীরে অনশন - Shera TV
  1. [email protected] : sheraint :
  2. [email protected] : theophil :
বাঁধ নিমাণের দাবিতে যমুনার তীরে অনশন - Shera TV
মঙ্গলবার, ০৭ অক্টোবর ২০২৫, ১১:০৯ পূর্বাহ্ন

বাঁধ নিমাণের দাবিতে যমুনার তীরে অনশন

সেরা টিভি
  • প্রকাশের সময় : মঙ্গলবার, ২২ সেপ্টেম্বর, ২০২০

স্টাফ রিপোর্টার:

সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরে যমুনা নদী অসময়ে ভাঙনের তাণ্ডবে মেতে উঠেছে। গত ১ সপ্তাহে উপজেলার জালালপুর ইউনিয়নের ঘাটাবাড়ি, পাকুড়তলাসহ পাশের গ্রামগুলোর প্রায় ২ শতাধিক ঘরবাড়ি নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে। পানির প্রবল স্রোতে ভাঙনের তীব্রতা ক্রমশ বাড়ছে।

একদিকে, ৮ বার ১০ বার যমুনা ভাঙনের কবলে পড়ে ঘরবাড়ি হারিয়ে নিঃস্ব হয়ে পথে বসেছে যমুনা তীরবর্তী অসংখ্য জনমানুষ। অন্যদিকে ভাঙনের তাণ্ডবলীলায় চোখের সামনে একের পর এক ঘরবাড়ি, জমিজমাসহ বিভিন্ন স্থাপনা যমুনা গর্ভে বিলীন হয়ে যাওয়ার পরেও ভাঙন রোধে কার্যকর ব্যবস্থা না নেয়ার যমুনা তীরবর্তী এলাকাবাসী অনশনে নেমেছে।

উপজেলার জালালপুর ইউনিয়নের ঘাটাবাড়ি এলাকার মৃত এনায়েত উল্লাহ মুন্সীর ছেলে বৃদ্ধ ইয়াছিন প্রামাণিক (৮০) ও রহম আলী মোল্লা (৭২) গত দু’দিন ধরে বাঁধ নিমাণের দাবিতে যমুনার তীরে অনশন করে যাচ্ছেন।

কান্নাজড়িত কণ্ঠে তারা বলেন, ‘৭/৮ বার বাড়ি ভাঙছে। জমিজমা সব ভাঙনে গেছে। এখন এই ভিটাই আছে। সরকার এই জায়গায় বাঁধ কইর‌্যা না দিলে এই ভিট্যায়ই জীবন শ্যাষ কইর‌্যা দিমু; আর যামু না কোথাও!’

উপজেলার জালালপুর ইউনিয়নের ঘাটাবাড়ি এলাকার শফিউল্লাহ মুন্সী (৮০), তয়জাল ফকির (৬৫), শামসুল মোল্লা (৭২), নুরু ফকির (৭২), রহম আলী মোল্লাসহ (৭২) বেশ কয়েকজন এলাকাবাসী আক্ষেপ করে জানান, ‘ব্রাক্ষণগ্রাম থেকে হাটপ্রাচীল পর্যন্ত মাত্র সাড়ে ৬ কিলোমিটার এলাকা যমুনার ভাঙন মুক্ত না করায় চোখের সামনে একের পর এক তাদের জমিজমা ঘরবাড়ি সব যমুনা গিলে খাচ্ছে। ৭ বার ৮ বার ৯ বার বা তার চেয়েও বেশি বার যমুনার ভাঙনে তারা ঘরবাড়ি হারিয়ে নিঃস্ব হয়েছেন। শেষ সম্বল তাদের ভিটাটুকু আর যমুনাকে দিতে চান না তারা। প্রয়োজনে জীবন দিয়ে দেবেন তবুও ভিটা দেবেন না। আর এ জন্য তারা গত ২ দিন ধরে অনশনে নেমেছেন।

জালালপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান হাজী সুলতান মাহমুদ জানিয়েছেন, ‘গত ১ সপ্তাহে ব্রাক্ষ্মণগ্রাম, আড়কান্দি, ঘাটাবাড়ি, পাকুরতলা, কুঠিপাড়া, ভেকা ও পাচিল গ্রামের ২ শতাধিক ঘরবাড়ি ও বিস্তৃর্ণ ফসলি জমি যমুনা গর্ভে বিলীন হয়েছে। ভয়াবহ ভাঙনের কারণে নদীর অদূরে এনায়েতপুর-সিরাজগঞ্জ আঞ্চলিক সড়ক, খাজা ইউনুস আলী মেডিকেল কলেজ অ্যান্ড হসপিটাল ও বিশ্ববিদ্যালয়, নার্সিং ইন্সটিটিউট ও দেশের সর্ববৃহৎ এনায়েতপুর কাপড়ের হাটসহ বিভিন্ন স্থাপনা হুমকির সন্মুখীন হয়ে পড়েছে। এলাকাবাসীর পক্ষ থেকে দ্রুত ভাঙন রোধে উদ্যোগ নেয়ার জোর দাবি উঠেছে।’

এ বিষয়ে সিরাজগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী শফিকুল ইসলাম সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, ‘অনশনকারীদের সঙ্গে আমরা সমব্যথী। তবে সাড়ে ৬ কিলোমিটার এলাকা স্থায়ী রক্ষায় সাড়ে ৬’শ কোটি টাকার একটি প্রকল্প অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছে। অনুমোদন পেলে দ্রুত কাজ শুরু করা হবে।’

 

সেরা নিউজ/আকিব

Please Share This Post in Your Social Media

এই ক্যাটাগরীর আরও সংবাদ
© All rights reserved by Shera TV
Developed BY: Shera Digital 360