নভেম্বরের নির্বাচনে হেরে গেলে শান্তিপূর্ণভাবে ক্ষমতা হস্তান্তরের প্রতিশ্রুতি দিতে অস্বীকার করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তার এই কথা বিরোধী শিবিরের সম্ভাবনাকে আরও জোরালো করলো।
হোয়াইট হাউসে বুধবার (২নি৩ সেপ্টেম্বর) এক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকরা ডোনাল্ড ট্রাম্পকে যখন আমেরিকান গণতন্ত্রের অন্যতম ভিত্তি হচ্ছে শান্তিপূর্ণভাবে ক্ষমতা হস্তান্তর, এতে আপনি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ কিনা জানতে চাইলে বলেন, ঠিক আছে, আমাদের কী হবে তা আগে দেখতে হবে। খবর মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন।
ডোনাল্ড ট্রাম্প আরও বলেন, তিনি বিশ্বাস করেন যে নির্বাচনের ফলাফল মার্কিন সুপ্রিম কোর্টে শেষ হতে পারে, কারণ ডাক-ভোটের বিষয়ে তার সন্দেহ রয়েছে।
ট্রাম্প এর আগে ২০১৬ সালে নির্বাচনের ফলাফল গ্রহণ করার বিষয়ে একই কথা বলেছিলেন। এবং তিনি রসিকতা করে বলেছিলেন, সাংবিধানিকভাবে দুই মেয়াদে প্রেসিডেন্ট পদে থাকার বিষয়ে।
আগামী নভেম্বরে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ডোনাল্ড ট্রাম্প পরাজিত হলে কি নির্বাচনের ফল মেনে নেবেন? প্রশ্নটি উঠেছে জো বাইডেনের এক কথার সূত্র ধরে। বাইডেন ডেমোক্রেটিক প্রার্থী হিসেবে ট্রাম্পের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। গত মাসে এক সাক্ষাৎকারে বাইডেন বলেন, ট্রাম্প নির্বাচনে পরাজিত হলে হোয়াইট হাউস থেকে সরে যেতে আপত্তি করতে পারেন।
ডোনাল্ড ট্রাম্প আগে থেকেই বলে আসছেন আগামী নির্বাচনে ভোট ‘চুরির পাঁয়তারা চলছে। চুরিটা হবে ডাক-ভোটের মাধ্যমে। ডেমোক্র্যাটরা করোনার নাম করে ডাক মারফত ভোটের দাবি করে আসছেন, এর একমাত্র কারণ এভাবে সহজে কারচুপি করা যায়। একজনের ভোট অন্যজন দেবে, ব্যালট পেপার চুরি করা হবে, ইত্যাদি। ট্রাম্প তাই ডাক-ভোটের তীব্র বিরোধিতা করছেন। তিনি আগেও ডাক-ভোটের সমালোচনা করেছিলেন। তবে দেখা গেছে ডাক-ভোটের মাধ্যমে কারচুপির কোনো প্রমাণ নেই।
জনমত জরিপে বর্তমানে ট্রাম্প থেকে এগিয়ে আছেন জো বাইডেন। যদিও নির্বাচনে রাজ্যের জরিপগুলো আরও কঠোর।
ডেমোক্র্যাটরা দীর্ঘদিন ধরে আশঙ্কা করছেন যে ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট পদের ক্ষমতা ব্যবহার করে তা আঁকড়ে থাকার চেষ্টা করতে পারেন।
ফক্স নিউজে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে নির্বাচনের ফলাফল গ্রহণ করতে পারবেন কিনা জানতে চাইলে ডোনাল্ড ট্রাম্প হতাশ হন। এবং তিনি বলেন ‘না, আমাকে দেখতে হবে’ নির্বাচনের ফলাফলের আগ পর্যন্ত।