অভ্যন্তরীণ কোন্দলে ভেঙে গেল ড. কামালের গণফোরাম - Shera TV
  1. [email protected] : akibmahmud :
  2. [email protected] : f@him :
অভ্যন্তরীণ কোন্দলে ভেঙে গেল ড. কামালের গণফোরাম - Shera TV
সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১২:৩৭ অপরাহ্ন

অভ্যন্তরীণ কোন্দলে ভেঙে গেল ড. কামালের গণফোরাম

সেরা টিভি
  • প্রকাশের সময় : রবিবার, ২৭ সেপ্টেম্বর, ২০২০

সেরা নিউজ ডেস্ক:

দীর্ঘদিনের অভ্যন্তরীণ অস্থিরতা আর কোন্দলের পর এবার ভেঙে গেল ড. কামাল হোসেনের নেতৃত্বাধীন গণফোরাম। শনিবার জাতীয় প্রেস ক্লাবে দলটির একাংশের বর্ধিত সভায় আগামী ২৬ ডিসেম্বর কেন্দ্রীয় কাউন্সিলের ঘোষণা দিয়ে বিভক্তির সূচনা হলো। এই পক্ষে থাকছেন অধ্যাপক আবু সাইয়িদ, মোস্তফা মহসিন মন্টু, সুব্রত চৌধুরী, জগলুল হায়দার আফ্রিক, আসাদুজ্জামান, খান সিদ্দিকুর রহমান, আবদুর রায়হান, মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীর, ফজলুল হক সরকার, এম এ মতিন প্রমুখ।

দলটির বর্তমান সভাপতি ড. কামাল হোসেনের বিষয়ে এখনও কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি বলে জানিয়েছেন নেতারা। তবে দলটির সাধারণ সম্পাদক ড. রেজা কিবরিয়াসহ চারজনকে বহিষ্কার করা হয়েছে এদিন। বহিষ্কৃতরা হলেন- কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য মহসীন রশিদ, আ ও ম শফিকউল্লাহ ও মোশতাক আহমেদ। অর্থাৎ এরা সবাই ড. কামালের সঙ্গেই থাকছেন।

এদিকে, গণফোরামের একাংশের আয়োজিত বর্ধিত সভা প্রসঙ্গে তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় দলটির প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ড. কামাল হোসেন বলেছেন, বর্ধিত সভা আয়োজনকারীদের কোনো সাংগঠনিক ক্ষমতা এবং বৈধতা নেই এ ধরনের সভা করার। এই বৈঠকের সঙ্গে গণফোরামের কোনো সম্পর্ক নেই। তারা যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে, সেটি আমাদের দলের কোনো সিদ্ধান্ত না। যেহেতু এটি আমাদের দলের বিষয় না, সেজন্য এ বিষয়ে আমি কোনো মন্তব্য করতে চাই না।

একাংশের এই বর্ধিত সভায় বলা হয়েছে, আপনাকে কিছু লোক ভুল পথে পরিচালিত করছেন- এই রকম প্রশ্নের জবাবে ড. কামাল হোসেন বলেন, এসব কথা তারা বলার জন্যই বলছেন। এটা তাদের একটা কায়দা-কৌশল। এসব বিষয়ে আমি কথা বলতে চাই না। এদের সঙ্গে আমার কোনো সম্পর্ক নেই।

২০১৯ সালের এপ্রিল মাসে গণফোরামের পঞ্চম জাতীয় কাউন্সিল হয় গুলিস্তানের মহানগর নাট্যমঞ্চে। তিন বছর পর পর জাতীয় কাউন্সিল হওয়ার বিধান থাকলেও একাংশের নেতৃত্বে এক বছরের মাথায় আবার কাউন্সিল আহ্বান করা হয়।

জাতীয় প্রেস ক্লাবের তৃতীয় তলায় আবদুস সালাম হলে ‘অর্থবহ পরিবর্তনের লক্ষ্যে চাই জাতীয় ঐক্য’ শীর্ষক বর্ধিত সভা শেষে সংবাদ সম্মেলনে সভার সভাপতি অধ্যাপক আবু সাইয়িদ বলেন, দলকে শক্তিশালী, গণমুখী এবং তৃণমূলে সংগঠনকে শক্তিশালী করার লক্ষ্যে আগামী ২৬ ডিসেম্বর তাদের জাতীয় কাউন্সিল অনুষ্ঠিত হবে। জাতীয় কাউন্সিল সফল করার লক্ষ্যে এ সভায় বীর মুক্তিযোদ্ধা সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা মহসিন মন্টুকে আহ্বায়ক করে জেলা নেতৃবৃন্দসহ ২০১ সদস্যের সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটি গঠন করার সিদ্ধান্ত হয়েছে। বর্ধিত সভার মূল মঞ্চে ছিলেন সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা মহসিন মন্টু, সাবেক নির্বাহী সভাপতি সুব্রত চৌধুরী, কেন্দ্রীয় নেতা জগলুল হায়দার আফ্রিক, আসাদুজ্জামান, খান সিদ্দিকুর রহমান, আবদুর রায়হান, মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীর, ফজলুল হক সরকার, এম এ মতিন।

প্রতিষ্ঠার ২৭ বছর পর গণফোরাম নামের আরেকটি দল গঠন করতে যাচ্ছেন কিনা- এমন প্রশ্নের জবাবে মোস্তফা মহসিন মন্টু বলেন, নতুন দলের বিষয়ে ২৬ ডিসেম্বরের কাউন্সিলে উপস্থিত ডেলিগেটদের মতামত নিয়ে পরবর্তী সিদ্ধান্ত হবে।

ড. কামাল হোসেনের বিষয়ে তাদের কী সিদ্ধান্ত- জানতে চাইলে মন্টু বলেন, তারা এখনও বিশ্বাস করেন যে ড. কামাল হোসেন তাদের সঙ্গে আসবেন। বিতর্কিত লোকদের পরিহার করবেন। মাঠের পোড় খাওয়া লোকদের নিয়ে এগিয়ে যাবেন। আর তিনি না এলে তাকে বহিষ্কারের বিষয়ে সম্মেলনে সিদ্ধান্ত নেব। সম্মেলনে কাউন্সিলর ও ডেলিগেটরা আসবেন। তাদের মতামত সাপেক্ষে ড. কামাল হোসেনের বিষয়ে সিদ্ধান্ত হবে।

বিএনপি নেতৃত্বধীন ঐক্যফ্রন্টে থাকবেন কিনা জানতে চাইলে মন্টু বলেন, ঐক্যফ্রন্টের বিষয়ে এখনও কোনো সিদ্ধান্ত নেব না। সামনে সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির বৈঠক আছে। সেখানে সিদ্ধান্ত নেব।

ঐক্যফ্রন্টের সঙ্গে জোট করে একাদশ সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণ এবং জোটে জামায়াতের প্রসঙ্গে এক প্রশ্নের জবাবে মন্টু বলেন, ঐক্যফ্রন্টে জামায়াত ছিল না। আর আমি ড. কামাল হোসেনকে বলেছিলাম, একাদশ সংসদ নির্বাচনে অংশ গ্রহণ করব না। কিন্তু তিনি যেহেতু দলের সভাপতি ছিলেন, সাধারণ সম্পাদক হিসেবে তার নির্দেশে আমি নির্বাচনে অংশ নিয়েছি। কারণ আমি তার আদেশ অমান্য করতে পারি না। অর্থবহ পরিবর্তনের লক্ষ্যে গণফোরাম জাতীয় ঐক্য চায় বলেও মন্তব্য করেন মন্টু।

বর্ধিত সভায় গণফোরামের কত জেলা প্রতিনিধি অংশ নিয়েছেন- জানতে চাইলে দলটির সাবেক নির্বাহী সভাপতি অ্যাডভোকেট সুব্রত চৌধুরী বলেন, আমাদের সঙ্গে গণফোরামের ৫২ জেলার ২৮৩ জন প্রতিনিধি উপস্থিত আছেন। তবে সভায় কেন্দ্রীয় কমিটির কেউ উপস্থিত ছিলেন না।

বর্ধিত সভা প্রসঙ্গে গণফোরামের সাধারণ সম্পাদক ড. রেজা কিবরিয়া বলেন, এটা গণফোরামের বৈঠক না। তারা গণফোরামকে ক্ষতি করছেন। এটা খুবই দুঃখজনক। তারা নিজেদের গণফোরাম থেকে সরিয়ে নিয়েছেন এই অগঠনতান্ত্রিক কাজটি করার মধ্য দিয়ে। তিনি বলেন, সাধারণ সম্পাদক ছাড়া কেউ সভা ডাকতে পারেন না। তারা এ রকম সভা করে গর্হিত কাজ করেছেন। এই সভার সঙ্গে গণফোরামের কোনো সংশ্নিষ্টতা নেই।

বর্ধিত সভার ঘোষণাপত্রে ৭ দফা দাবি তুলে ধরা হয়। এগুলোর মধ্যে আছে- মুক্তিযুদ্ধের অঙ্গীকার সাম্য, মানবিক মর্যাদা ও সামাজিক সুবিচার প্রতিষ্ঠায় জাতীয় ঐকমত্য গড়ে তোলা, নির্বাচন কমিশনের বিধিমালা সংশোধন ও কার্যকরীভাবে প্রয়োগ করা, দুর্নীতিবাজ, ঋণখেলাপি ও অর্থ পাচারকারীদের দ্রুত শাস্তির বিধান, রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানের দলীয়করণ বন্ধ করা, প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে আইনের দ্বারা জনস্বার্থে পরিচালনা করা ইত্যাদি।

সেরা নিউজ/আকিব

Please Share This Post in Your Social Media

এই ক্যাটাগরীর আরও সংবাদ
© All rights reserved by Shera TV
Developed BY: Shera Digital 360