করোনা না যেতেই চীনে ক্যাট কিউ ভাইরাসের উদ্ভব - Shera TV
  1. [email protected] : sheraint :
  2. [email protected] : theophil :
করোনা না যেতেই চীনে ক্যাট কিউ ভাইরাসের উদ্ভব - Shera TV
সোমবার, ০১ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১০:১৫ পূর্বাহ্ন

করোনা না যেতেই চীনে ক্যাট কিউ ভাইরাসের উদ্ভব

সেরা টিভি
  • প্রকাশের সময় : মঙ্গলবার, ২৯ সেপ্টেম্বর, ২০২০

ইন্টারন্যাশনাল ডেস্ক:
সম্প্রতি যে ভাইরাস নিয়ে ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অব মেডিক্যাল রিসার্চ (আইসিএমআর) সতর্ক করেছে সেটির উদ্ভব চীনেই। নাম ক্যাট কিউ ভাইরাস (Cat Que virus) , সংক্ষেপে CQV। নামে ক্যাট থাকলেও বিড়ালের সঙ্গে এই ভাইরাসের সম্পর্ক নেই।

করোনাভাইরাস নিয়ে আক্ষরিক অর্থেই হিমশিম খাচ্ছে ভারত। আনলক পর্ব শুরু হওয়ার পর থেকে বাকি দেশগুলিকে পিছনে ফেলে সর্বোচ্চ সংক্রমণ তালিকায় দ্রুত দ্বিতীয় স্থানে উঠে এসেছে ভারত। যে হারে সংক্রমণ বেড়েছে সেই অনুপাতে মৃত্যু কম হলেও এক লক্ষের কাছাকাছি মৃত্যু খুব কম নয়।

মহারাষ্ট্রের ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব ভাইরোলজি’র একটি গবেষক দল কেন্দ্রকে এরই মধ্যে ক্যাট কিউ ভাইরাস (CQV) নিয়ে অ্যালার্ট করেছে। ইন্ডিয়ান জার্নাল অফ মেডিক্যাল রিসার্চে গবেষণার বিশদ প্রকাশিত হয়েছে। NIV-র বিজ্ঞানীরা জানাচ্ছেন, চিন থেকে নয়া এই ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার সমূহ সম্ভাবনা রয়েছে।

আইসিএমআর সূত্রে জানা গিয়েছে, মশার কিউলেক্স প্রজাতির মধ্যে এই ক্যাট কিউ ভাইরাস থাকে। চীন ও ভিয়েতনামে শূকরের মধ্যেও এই ভাইরাসের সন্ধান মিলেছে। ইনস্টিটিউশনাল এথিক্স কমিটির পূর্ব অনুমোদন নিয়ে ২০১৭ থেকে ২০১৮ সালের মধ্যে এ নিয়ে গবেষণা চালায় আইসিএমআর-ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব ভাইরোলজি।

আইসিএমআরের পুনের বিজ্ঞানীরা রাজ্য জুড়ে ৮৮৩ জনের ওপর পরীক্ষা চালিয়েছিলেন। দু’জনের শরীরে ক্যাট কিউ ভাইরাসের অ্যান্টিবডি পাওয়া যায়। আক্রান্ত দু’জনেই ছিলেন কর্নাটকের। ২০১৪ এবং ২০১৭ সালে তাদের শরীরে CQV-র অ্যান্টিবডি পাওয়া গিয়েছিল। গবেষকরা জানিয়েছেন, কোনও না কোনও সময়ে তাঁরা সিকিউভি আক্রান্ত ছিলেন। এই দুই নমুনায় সিকিউভি পাওয়ার অর্থ ভারতেও রোগটি ছড়িয়ে পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

আইসিএমআর বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, চিনের মতো ভারতে কিউলেক্স মশার অনুরূপ প্রজাতি থাকায় মশার মধ্যে এই ভাইরাসের প্রতিলিপি গঠনের বিষয়টি তাঁরা বোঝার চেষ্টা করছেন। যে কারণে এখন আরও বেশি নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষা করার প্রয়োজন বলে আইসিএমআর জানিয়েছে।

এদিকে, ২০০৬ সালের জুলাই থেকে ২০০৮ সালের মধ্যে আমেরিকা ও চিনের একদল বিজ্ঞানী পূর্ব সিচুয়ানের বাজহং এবং লংচং কাউন্টির শূকরের খোঁয়াড় থেকে মশার নমুনা সংগ্রহ করে নয়া ভাইরাস নিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা শুরু করেন। সেইসঙ্গে শূকরের সিরামও নমুনা হিসেব নেওয়া হয়। ওই গবেষক দলের গবেষণার বিশদ যদিও জানা যায়নি।

নতুন ক্যাট কিউ ভাইরাসটি কতটা প্রাণঘাতী, করোনার মতো বিপজ্জনক কি না, সংক্রামিত হওয়ার লক্ষণই বা কী– এ বিষয়ে এখনও পর্যন্ত বিশদ কিছু জানা যায়নি।

সেরা নিউজ/আকিব

Please Share This Post in Your Social Media

এই ক্যাটাগরীর আরও সংবাদ
© All rights reserved by Shera TV
Developed BY: Shera Digital 360