লাইফস্টাইল ডেস্ক:
দিনের সব বেলার খাবারের চেয়ে সকালের নাস্তা সবচেয়ে জরুরি। তবে, বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই, অনেকেই তাড়াহুড় করে ভালো করে না খেয়ে বাইরে বেরিয়ে যান। কলা এমনই একটি ফল যা সকালের নাস্তায় প্রায় অপরিহার্য। নিয়মিত এই ফল খেলে কোষ্ঠকাঠিন্য, উচ্চ রক্তচাপ কমে। সেই সঙ্গে এই ফল শরীর ঠাণ্ডা রাখতে সহায়তা করে। তবে কলা খালি পেটে না ভরা পেটে খাবেন তা নিয়ে অনেকেরই দ্বন্দ্ব রয়েছে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, কলা পটাশিয়াম, ফাইবার ও ম্যাগনেশিয়ামের ভালো উৎস হওয়ায় এটি দেহের বিভিন্ন পুষ্টির চাহিদা পূরণ করে। এটি শক্তি বাড়ায় এবং ক্ষিদে হ্রাস করে। এ কারণে প্রতিদিনই কলা খাওয়া উচিত।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কৃষি বিভাগের মতে, ভালো মানের একটি কলায় মাত্র ৮৯ ক্যালরি থাকে। এছাড়া এতে ম্যাঙ্গানিজ, ক্যালসিয়াম, পটাশিয়াম, ভিটামিন বি ৬ এবং পানির পরিমাণ বেশি থাকায় এটি শরীরে পানিশূন্যতা দূর করতে ভূমিকা রাখে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, কলা এত উপকারী ফল হলেও খালি পেটে এটি খাওয়া মোটেও ঠিক নয়। তাদের ভাষায়, কলায় অ্যাসিড ও পটাশিয়াম থাকায় খালি পেটে এটি খেলে গ্যাসের সমস্যা হয়। সেই সঙ্গে হজমেও সমস্যা দেখা দেয়। এছাড়া এতে থাকা ম্যাগনেসিয়াম রক্তে ক্যালসিয়াম এবং ম্যাগনেসিয়ামের মধ্যে ভারসাম্যহীনতা তৈরি করতে পারে, যা কার্ডিওভাসকুলার পদ্ধতিতে বিরূপ প্রভাব ফেলতে পারে। তবে শুকনো ফল, আপেল এবং অন্যান্য ফলের সঙ্গে কলা মিশিয়ে খেলে তা শরীরে অ্যাসিডের পরিমাণ হ্রাস করতে সাহায্য করে।
আয়ুর্বেদ চিকিৎসা অনুযায়ী, সকালে খালি পেটে শুধু কলা নয়, যেকোন ফলমূলই এড়ানো উচিত।তবে অন্য খাবারে সঙ্গে ফল মিশিয়ে খাওয়া যেতে পারে।
যেভাবে সকালের নাস্তার সঙ্গে কলা অন্তভূর্ক্ত করতে পারেন-
কলা ওটমিল কুকিজ- এ খাবারটি স্বাস্থ্যকর তো বটেই, পাশাপাশি সুস্বাদুও। এক কাপ ওট, কলা, কাঁচা বাদামের মাখন এবং ম্যাপেল সিরাপ দিয়ে এই নাস্তাটি তৈরি করতে পারেন।
বেরি কলা সিরিয়াল- বেরি ও কলা টুকরো টুকরো করে কেটে, স্কিমড দুধে মিশিয়ে সকালের নাস্তা হিসেবে খেতে পারেন।
চকোলেট কলা স্মুদি- কলা, বাদাম দুধ এবং কোকো গুঁড়োর মিশ্রণ দারুণ উপকারী। মসৃণ এবং ক্রিমের মতো এই স্মুদি কেবল সুস্বাদুই নয়, স্বাস্থ্যকরও। সূত্র: এনডিটিভি
সেরা নিউজ/আকিব