বুধবার (১৪ অক্টোবর) সিএনএন-এর এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২১ বছর বয়সী হ্যাসপিল ১৩ অক্টোবর নিউইয়র্কের একটি আদালতে স্কাইপের মাধ্যমে বিচারকের কাছে প্রথম ডিগ্রি হত্যা মামলায় নিজেকে নির্দোষ দাবি করেন।
ফাহিম সালেহ হত্যার ঘটনায় শুরুতে ২১ বছর বয়সী হ্যাসপিলের বিরুদ্ধে দ্বিতীয় ডিগ্রি হত্যা মামলার অভিযোগ আনা হয়। এছাড়াও হ্যাসপিলের বিরুদ্ধে দ্বিতীয় ডিগ্রি চুরি, দ্বিতীয় ডিগ্রিতে খুনের আলামত নষ্ট ও গোপনের অভিযোগ রয়েছে বলে ম্যানহাটন ডিস্ট্রিক্ট অ্যাটর্নির অফিস জানিয়েছে।
আগামী ১১ জানুয়ারি আবারও এই মামলার শুনানি দিন ধার্য করেছেন আদালত।
গত ১৩ জুলাই নিউইয়র্কের ম্যানহাটনে অবস্থিত নিজের বিলাসবহুল অ্যাপার্টমেন্টে খুন হন ফাহিম।
প্রসঙ্গত, ফাহিমের বাবা সালেহ উদ্দিন বড় হয়েছেন চট্টগ্রামে আর মা নোয়াখালীতে। ফাহিম ইনফরমেশন সিস্টেম বিষয়ে আমেরিকার বেন্টলি বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করেছেন। গত বছর প্রায় সাড়ে ২২ লাখ ডলার দিয়ে ম্যানহাটনের ডাউনটাউনে একটি অ্যাপার্টমেন্টটি কিনেছিলেন তিনি। পাঠাওয়ের সহ-প্রতিষ্ঠাতা ছাড়াও নাইজেরিয়া এবং কলম্বিয়ায় এমন আরও দুটি রাইড শেয়ারিং অ্যাপ কোম্পানির মালিক ছিলেন ফাহিম সালেহ।
সম্প্রতি ফাহিমের কাছ থেকে প্রায় এক লাখ ডলার চুরি করেন তার ব্যক্তিগত সহকারী টাইরিস হাসপিল। তবে, এ ঘটনায় কোনও আইনি ব্যবস্থা না নিয়ে হ্যাসপিলকে কিস্তিতে টাকা ফেরত দেয়ার সুযোগ দিয়েছিলেন ফাহিম।
তদন্তকালে গোয়েন্দারা ফাহিমের ফোনে পাওয়া একটি টেক্সট মেসেজ থেকে এই টাকা চুরির বিষয়ে জানতে পেরে হ্যাসপিলের ওপর নজরদারি শুরু করেন। নিউইয়র্ক পুলিশ এ ঘটনায় দ্বিতীয় মাত্রার খুনের অভিযোগে তার ব্যক্তিগত সহকারী ডেঁভো হ্যাসপিল আটক করে।