সরকারের সমালোচনা করার কারণে মঙ্গলবার থাইল্যান্ডের একটি অনলাইন টিভি স্টেশনকে সম্প্রচার বন্ধের আদেশ দিয়েছে দেশটির একটি আদালত। সরকার এবং রাজতন্ত্রের বিরুদ্ধে তিন মাসের বেশি সময় ধরে চলে আসা প্রতিবাদ-বিক্ষোভ বন্ধে গত সপ্তাহে জারিকৃত জরুরি অবস্থা লঙ্ঘনের দায়ে টেলিভিশন স্টেশনটিকে অভিযুক্ত করেছে আদালত।
মঙ্গলবার আন্তর্জাতিক বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে এমনটি জানা যায়।
দেশটির ডিজিটাল মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র পুচাপং নোথাইসং সাংবাদিকদের বলেন, ‘ভুয়া তথ্য’ আপলোড করে ভয়েস টিভি থাইল্যান্ডের কম্পিউটার অপরাধ আইনও লঙ্ঘন করেছে।
প্রধানমন্ত্রী প্রায়ুথ চান-ওচা ও রাজতন্ত্রের বিরুদ্ধে চলমান বিক্ষোভ বন্ধে থাইল্যান্ড সরকার তাদের দৃষ্টিতে ক্ষতিকারক সংবাদ প্রকাশ ও বিক্ষোভে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে। এতে দেশটির সরকার বিভিন্ন মানবাধিকার সংগঠনের সমালোচনা কুড়িয়েছে।
ভয়েস টিভির প্রধান সম্পাদক হৃত্বিকর্ন মহাখচাভর্ন বলেছেন, আদালতের আদেশ তাদের কাছে না আসা পর্যন্ত তারা সম্প্রচার চালিয়ে যাবেন।
তিনি আরো বলেছিলেন, “আমরা জোরালোভাবে জানাচ্ছি যে আমরা সাংবাদিকতার নীতির ভিত্তিতে কাজ করে যাচ্ছি এবং আমরা আমাদের কাজ চালিয়ে যাবো।’’
এদিকে সোমবার থাইল্যান্ডের কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, আরও তিনটি গণমাধ্যম তদন্তাধীন রয়েছে।
ভয়েস টিভির একাংশের মালিকানা সিনাওয়াত্রা পরিবারের। থাইল্যান্ডের সাবেক দুই প্রধানমন্ত্রী থাকসিন ও ইংলাক সিনাওয়াত্রা এ পরিবারের সদস্য। ২০১৪ সালে এক অভ্যুত্থানে ইংলাককে ক্ষমতাচ্যুত করেছিলেন তৎকালীন সেনাপ্রধান প্রায়ুথ।
থাকসিন ও ইংলাক দু’জনই থাইল্যান্ড থেকে পালিয়ে অন্য দেশে অবস্থান করছেন। তাদের দুজনের বিরুদ্ধ দুর্নীতির মামলা রয়েছে। তবে তারা ওই মামলাগুলোকে ‘রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত’ বলে অভিহিত করে আসছেন।
চলমান সংকট নিয়ে আগামী সপ্তাহে পার্লামেন্টে জরুরি অধিবেশন ডাকার ব্যাপারে মঙ্গলবার প্রায়ুথের মন্ত্রিসভা সম্মত হয়েছে বলে জানিয়েছে রয়টার্স। পার্লামেন্টে প্রায়ুথের দলের সংখ্যাগরিষ্ঠতা আছে।
সেরা নিউজ/আকিব