সেরা নিউজ ডেস্ক:
যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক হয়েও প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ভোট দিতে পারে না প্রায় ৪৪ লাখ মার্কিনি। দেশটির সংবিধান অনুযায়ী, ৫০টি অঙ্গরাজ্য ও ডিস্ট্রিক্ট অব কলাম্বিয়ায় বসবাসকারীরাই কেবল প্রেসিডেন্ট নির্বাচন ও কংগ্রেসনাল নির্বাচনে ভোট দিতে পারে।
কিন্তু এই ৫০টি রাজ্য ও একটি বিশেষ জেলা ছাড়াও আমেরিকার অনেক স্বায়ত্তশাসিত এলাকা আছে। এগুলো মূলত বিচ্ছিন্ন দ্বীপাঞ্চল। তাতে অনেক মানুষ বাস করে। উন্নত অর্থনৈতিক ও নাগরিক জীবনও তারা অতিবাহিত করে। কেবল ফেডারেল কোনো ইস্যুতে ভোট দিতে পারে না।
বার্তা সংস্থা এপি জানায়, এ ধরনের অঞ্চলগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বড় হচ্ছে পুয়ের্তো রিকো। এর অধিবাসী প্রায় ৩২ লাখ। এ ছাড়া ইউএস ভার্জিন আইল্যান্ড, আমেরিকান সামোয়া, নর্থ মারিয়ানা আইল্যান্ড ও গুয়ামের মানুষও ভোট দিতে পারে না।
উল্লিখিত পাঁচটি অঞ্চলের নাগরিকরা ভোট যেমন দিতে পারে না, তেমনি তাদের ফেডারেল ট্যাক্সও দিতে হয় না।
মজার বিষয় হচ্ছে ভোটাধিকার না থাকলেও মূল দুই প্রার্থী- রিপাবলিকান ডোনাল্ড ট্রাম্প ও ডেমোক্রেটিক জো বাইডেন কিন্তু পুয়ের্তো রিকোতে প্রচারণা চালাচ্ছেন। সেখানকার মানুষদের উদ্দেশ্যে নানা প্রতিশ্রুতি দিচ্ছেন। এর কারণ হচ্ছে পুয়ের্তো রিকোর যেসব মানুষ অন্যান্য স্থানে স্থায়ীভাবে বাস করে তারা সেখানকার ভোটার।
এ ছাড়া পুয়ের্তো রিকোর হিস্পানিকভাষী মানুষদের আত্মীয়স্বজন, বন্ধুবান্ধব ছড়িয়ে আছে গোটা যুক্তরাষ্ট্রে।
বিশেষত, ঝুলন্ত রাজ্য ফ্লোরিডায়। এ কারণে পুয়ের্তো রিকোতে জোর প্ররাচণা চালাচ্ছেন দুই প্রার্থী। ফ্লোরিডায় হিস্পানিক ভোট জয়-পরাজয়ের ফয়সালা করতে পারে বিধায় হিস্পানিক ভোট টানার জন্য পুয়ের্তো রিকোকে বিবেচনায় রাখেন প্রার্থীরা। কারণ ফ্লোরিডায় ২৯টি ইলেক্টোরাল ভোট আছে।
সেরা নিউজ/আকিব