লাইফস্টাইল ডেস্ক:
স্বাদ ও পুষ্টিতে ডিমের তুলনা নেই। এটি সবারই পছন্দের একটি খাবার।বিশেষজ্ঞদের মতে, ডিমের কুসুম খারাপ কোলেস্টেরলকে কমিয়ে ভালো কোলেস্টেরল বাড়াতে সাহায্য করে। তেল-মসলার যে কোনও খাবারই ওজন বাড়িয়ে দেয়। ডিমও খুব তেল-মসলা দিয়ে রান্না করলে বা ঘন ঘন ভেজে খেলে মেদ বাড়ে। তবে মেদ না বাড়িয়ে ডিম খাওয়ার আরো কিছু উপায় রয়েছে। যেমন-
১. যারা ডিম পোচ খেতে পছন্দ করেন তারা তেলের পরিবর্তে পানি ও ভিনেগার ব্যবহার করতে পারেন। এজন্য একটি পাত্রে কিছুটা পানি নিয়ে তাতে অল্প ভিনেগার যোগ করে পানিটা নেড়ে নিন। এবার খুব সাবধানে প্রথমে ডিমের সাদা অংশ পানিতে ফেলুন। তার উপর ডিমের কুসুম ফেলুন। এমন ভাবে কুসুম যোগ করতে হবে যাতে ডিমটা ভেঙে না যায়। খানিক পরেই ডিমের সাদা অংশ ফুলে উঠলে হলুদ কুসুম ঢেকে দিন। সাদা আস্তরণের ভিতর কুসুম টলমল করবে। এবার ঝাঁঝরি দিয়ে পোচ ডিমটা আলতো করে তুলে নিন পানি থেকে। তেল ছাড়া এমন পোচই গোটা বিশ্বে জনপ্রিয়। ডিমের সবটুকু পুষ্টিগুণ মেলে এই পোচ থেকে। এতে মেদ জমার ভয়ও থাকে না।
২. পালং, শশা, ব্রকলি, সিদ্ধ করা গাজর, মটরশুটি, টম্যাটো-পেঁয়াজের স্যালাদের সঙ্গে সিদ্ধ ডিমের কুঁচোনো অংশ মিশিয়ে নিন। উপর থেকে গোলমরিচ ছড়িয়ে লেবুর রস দিয়ে দিন। এতে গোটা ডিমের পুষ্টিগুণ যেমন মিলবে, তেমনই আবার সবুজ সবজি, শাক ও গাজরের প্রভাবে মেদ বাধা পাবে। ফলে ডিমেও খেলে ওজন বাড়বে না।
৩. ডিমের সঙ্গে ওটমিল খান। ওটমিল অ্যাসিড ক্ষরণেও বাধা দেয়, তাই ওটমিল খেলে সহজে খিদেও পায় না। এটি শরীরে বাড়তি কোলেস্টেরল ও ট্রাইগ্লিসারাইড জমার পথে বাধা দেয়। এছাড়া ডিম প্রোটিনেরও জোগান দেয়। ফলে ওটমিল ও ডিম মেদ জমা রোধ করতে ভূমিকা রাখে।
সেরা নিউজ/আকিব