মার্কিন নির্বাচন ঘিরে যুক্তরাষ্ট্রে নজিরবিহীন সহিংসতার আশঙ্কা - Shera TV
  1. [email protected] : akibmahmud :
  2. [email protected] : f@him :
মার্কিন নির্বাচন ঘিরে যুক্তরাষ্ট্রে নজিরবিহীন সহিংসতার আশঙ্কা - Shera TV
সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ০৭:৪৬ অপরাহ্ন

মার্কিন নির্বাচন ঘিরে যুক্তরাষ্ট্রে নজিরবিহীন সহিংসতার আশঙ্কা

সেরা টিভি
  • প্রকাশের সময় : রবিবার, ১ নভেম্বর, ২০২০

সেরা নিউজ ডেস্ক:

মার্কিন নির্বাচনের দিন ও পরবর্তী দিনগুলোয় দাঙ্গা-হাঙ্গামা-লুটপাটের আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। এর আগে কখনো নির্বাচন ঘিরে সহিংসতার এমন পূর্বাভাস পাওয়া যায়নি। ২৫ অক্টোবর ম্যানহাটনে ট্রাম্প সমর্থকদের সঙ্গে ট্রাম্পবিরোধীদের সহিংস সংঘর্ষ দেখে হতবাক হয়ে যায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। ট্রাম্প সমর্থক ও তার বিরোধীরা নির্বাচনের মাঠে থাকার ঘোষণা দেওয়ায় উদ্বেগে নগরবাসী। সহিংসতার আগাম তথ্য রয়েছে পুলিশের কাছেও। এরই মধ্যে নিউইয়র্ক, পেনসিলভেনিয়ার ফিলাডেলফিয়া নগরী, শিকাগো, ওয়াশিংটন ডিসি, মিনিয়াপোলিস ও সিয়াটলসহ বড় নগরীগুলোতে সহিংসতা মোকাবিলায় পুলিশ প্রস্তুতি নিয়েছে। বড় বড় নগরীতে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলোতে সতর্কতামূলক প্রস্তুতি নিতে দেখা যাচ্ছে। নিউইয়র্কের মেয়র বিল ডি ব্লাজিও নির্বাচনের পর বিভিন্ন গ্রুপের দীর্ঘস্থায়ী বিক্ষোভ সমাবেশ হবে বলে আশঙ্কা করছেন। নিউইয়র্কে ব্যবসায়ীরা দোকানের কাচ ও দরজায় কাঠ লাগিয়ে দিচ্ছেন। লুটপাট ঠেকানোর প্রস্তুতি নিতে দেখা গেছে দামি ব্র্যান্ডের দোকানগুলোতে। ওয়ালমার্ট তার স্টোরগুলো থেকে আগ্নেয়াস্ত্র সরিয়ে নিচ্ছে। ওয়ালমার্ট কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, এ নির্বাচনের ফলাফল ঘিরে সহিংসতা হতে পারে, এই আশঙ্কায় তারা এটা করেছেন। গত সপ্তাহে আর্মড কনফ্লিক্ট লোকেশন ও ইভেন্ট ডেটা প্রজেক্ট এবং মিলিশিয়া ওয়াচের যৌথভাবে প্রকাশিত গবেষণায় বলা হয়েছে, নির্বাচনকে কেন্দ্র করে ব্যাটেলগ্রাউন্ড স্টেট পেনসিলভেনিয়া, জর্জিয়া, মিশিগান ও উইসকনসিনে সশস্ত্র সংঘাতের ঝুঁকি রয়েছে। হামলার আশঙ্কা রয়েছে ম্যানহাটনের ট্রাম্প টাওয়ারে। টাইমস স্কয়ার সংলগ্ন এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। ম্যানহাটন থেকে বেশ কিছু আবাসিক লোকজনকে নগরী ছেড়ে যেতে দেখা গেছে। ৩ নভেম্বর নির্বাচনের পর পরিস্থিতি বুঝে তারা শহরে ফিরবেন। শেষতক নির্বাচন শান্তিপূর্ণ হবে কিনা এবং ফলাফল ব্যাপকভাবে গৃহীত হবে কিনা এ নিয়ে ভাবছেন ভোটাররা। ইউএসএ টুডে ও সাফোক বিশ্ববিদ্যালয়ের চালানো এক যৌথ জরিপে দেখা গেছে, চারজন ভোটারের মধ্যে তিনজনেরই আশঙ্কা নির্বাচন ঘিরে সহিংসতা চলবে। শুধু একজন ভোটারের দৃঢ় বিশ্বাস নির্বাচন শান্তিপূর্ণ হবে, তাও ডেমোক্র্যাট প্রার্থী জো বাইডেন যদি বর্তমান প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে হারিয়ে দিতে পারেন। ফ্লোরিডার পিটার্সবুর্গের এক রেজিস্টার্ড নার্স এ জরিপে অংশ নেন। ৭২ বছর বয়সী এ মার্কিন নাগরিক বলেন, ‘এ মুহূর্তে খুব চাপা উত্তেজনা বিরাজ করছে। আমি আমার পুরো জীবনে এমন ভীতিকর পরিস্থিতি দেখেছি ১৯৬২ সালে জন এফ কেনেডির প্রেসিডেন্ট হওয়ার সময় এবং কিউবার ক্ষেপণাস্ত্র সংকট মুহূর্তে।’ এ ছাড়া নির্বাচনের ভুয়া খবর ছড়িয়ে সহিংসতা হতে পারে বলে উদ্বেগ জানিয়েছেন ফেসবুক প্রতিষ্ঠাতা মার্ক জুকারবার্গ। মার্কিন প্রশাসনকে সতর্ক করে তিনি বলেন, ‘ভোট নিয়ে যথেষ্ট উদ্বেগে আছি। যুক্তরাষ্ট্রের ভোটারদের মধ্যে মেরুকরণ হয়ে গেছে। চূড়ান্ত ফল বের হতে কয়েক দিন এমনকি কয়েক সপ্তাহও লাগতে পারে। এ অবস্থায় সামাজিক অস্থিরতা সৃষ্টির সম্ভাবনা থেকে যাচ্ছে।’ ক্যালিফোর্নিয়ায় ফেসবুকের সদর দফতর থেকে জানানো হয়েছে, ২০২০ সালের নির্বাচনের আগে রাজনৈতিক বিজ্ঞাপন নিয়ে কড়াকড়ি করা হয়েছে। সংস্থা লক্ষ্য রাখছে, কেউ যেন এমন কোনো বিজ্ঞাপন না দেয়, যাতে সামগ্রিকভাবে নির্বাচন প্রক্রিয়াকেই ছোট করা হয়। পাশাপাশি নাগরিকদের ভোটদানে নিরুৎসাহ করে, এমন প্রচার বা পোস্টের বিরুদ্ধেও তড়িঘড়ি ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলেছেন জুকারবার্গ।

অন্যদিকে, যুক্তরাষ্ট্রের ভাগ্য পাল্টে দিতে পারেন দরিদ্র ও নিম্নআয়ের মানুষেরা। শেষ মুহূর্তে ভোটের জন্য দরিদ্র ও নিম্নআয়ের মানুষের কাছে হাত পেতেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও প্রতিদ্বন্দ্বী জো বাইডেন। রিপাবলিকান ও ডেমোক্র্যাটরা দরিদ্র ভোটারদের ভোটকেন্দ্রে আনার চেষ্টা করছেন। এজন্য প্রায় ২০০ জাতীয় গ্রুপ তৈরি করেছেন তারা। মোবাইলে মেসেজ পাঠানো ছাড়াও প্লাকার্ড ও পোস্টারে আর্থিকভাবে অসচ্ছল ভোটারদের কাছে ভোট চাইছেন দুই প্রেসিডেন্ট প্রার্থী। দ্য গার্ডিয়ানের খবর, যুক্তরাষ্ট্রে দরিদ্র ভোটারের সংখ্যা প্রায় ৪ কোটি ও নিম্নআয়ের ভোটার রয়েছেন প্রায় ১৪ কোটি। প্রচারকর্মীরা বলছেন, দরিদ্র ও নিম্নআয়ের মানুষগুলোর ভোট নির্বাচনের ফলাফল পাল্টে দেওয়ার জন্য যথেষ্ট। ডেমোক্র্যাট শিবির তাদের প্রচারণায় ট্রাম্পকে ‘ধনীদের প্রেসিডেন্ট’ বলে প্রচার করেছে। নিম্নআয়ের মানুষদের ভবিষ্যৎ আর্থিক সুরক্ষা ও স্কিমের অঙ্গীকার নিয়ে জোরেশোরে প্রচার চালায় তারা। প্রচারণার শেষ পর্যায়ে দরিদ্রদের ভোট পেতে মরিয়া রিপাবলিকানরাও। বিশ্লেষকদের মতে, প্রায় ১৫টি অঙ্গরাজ্যে দরিদ্র ও নিম্নআয়ের ভোটারদের ভোট গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠতে পারে। ২০১৬ সালের একটি পরিসংখ্যানে দেখা যায়, সে বছর ৩ কোটি ৪০ লাখ দরিদ্র ভোটার ভোট দেননি। এই ভোটগুলো না পড়ায় ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট হয়ে হোয়াইট হাউসে জায়গা করে নেন। তাই এ বছর ডেমোক্র্যাটরা দরিদ্র ও নিম্নআয়ের ভোটারদের কেন্দ্রে আনার ব্যাপারে ব্যাপক উৎসাহ দেখাচ্ছে।

 

সেরা নিউজ/আকিব

Please Share This Post in Your Social Media

এই ক্যাটাগরীর আরও সংবাদ
© All rights reserved by Shera TV
Developed BY: Shera Digital 360