মূলত মার্কিন দুই প্রতিদ্বন্দ্বী রাজনৈতিক দলের নির্বাচনী প্রতীক এঁকেছেন শিল্পী থমাস ন্যাস্ট। যুক্তরাষ্ট্রের প্রধান দুই রাজনৈতিক দলের প্রতীক হাতি ও গাধাকে কেন বেছে নেওয়া হলো, এই প্রশ্ন অনেকেরই থাকতে পারে।
১৫০ বছর আগে দেশটির রাজনীতিতে কার্টুন ছিল গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। গাধা প্রতীকটি প্রথম ব্যবহার করেন আমেরিকার সপ্তম প্রেসিডেন্ট অ্যান্ড্রু জ্যাকসন। নির্বাচনের সময় রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ তাকে ‘জ্যাকঅ্যাস’ অর্থাৎ গাধা বলে ডাকা শুরু করেন। বিদ্রূপ করে ডাকা হলেও জ্যাকসন নামটি খুব পছন্দ করেন এবং বিরোধী দলের অপপ্রচারের সুযোগকেই কাজে লাগান নিজের প্রচার হিসেবে। আর গাধাকে তিনি নির্বাচনী প্রতীক হিসেবে ব্যবহার করেন। তখন কার্টুনশিল্পী থমাস ন্যাস্ট অ্যান্ড্রু জ্যাকসনের মাথায় একটি গাধার (জ্যাকঅ্যাস) শরীরের ওপর বসিয়ে কার্টুন আকেন।
পরবর্তী সময়ে ডেমোক্র্যাটিক পার্টির অন্য নেতাদেরও প্রতীক হয়ে ওঠে গাধা। সেই থেকে ডেমোক্র্যাটিক পার্টির দলীয় প্রতীক হিসেবে গাধা ব্যবহৃত হয়ে আসছে।
অন্যদিকে ১৮৭৪ সালে থমাস ন্যাস্ট হাতিকে রিপাবলিকানদের প্রতীক হিসেবে উপস্থাপন করেন। তিনি তার কার্টুনে দেখান, সিংহের চামড়া পিঠে চাপিয়ে একটি গাধা বনের সব প্রাণীকে ভয় দেখাচ্ছে। সিংহের ছদ্মবেশী সেই গাধাকে দেখে সবাই ভয়ে পালাচ্ছে। কিন্তু সবাই ভয়ে পালালেও বনে একটি হাতি স্থির ও অচঞ্চল গাধাটির সামনে। হাতির এই নির্ভীক বিষয়টিই তুলে ধরেন কার্টুন-শিল্পী।
থমাস ন্যাস্টের এমন অর্থবহ কার্টুন দারুণ পছন্দ হয় রিপাবলিকানদের। আর হাতির সেই কার্টুন লুফে নেয় রিপাবলিকানরা। সেই থেকে হাতি হয়ে ওঠে রিপাবলিকান দলের প্রতীক।
মঙ্গলবার অনুষ্ঠিত হচ্ছে বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিধর রাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট পদের লড়াই। যুক্তরাষ্ট্রে স্মরণকালের সবচেয়ে বেশি ভোটার অংশ নিচ্ছে এ নির্বাচনে। এ নির্বাচনের মাধ্যমেই নির্ধারণ হবে হোয়াইট হাউসের চাবি কার হাতে যাবে। ধনকুবের থেকে রাজনীতিতে এসে বিশ্ব কাঁপানো রিপাবলিকান পার্টির ডোনাল্ড ট্রাম্প পুনরায় নাকি ডেমোক্র্যাট পার্টির আশা জাগানো প্রার্থী জো বাইডেন প্রেসিডেন্ট পদে বসবেন তা ঠিক করবে আমেরিকানরা। হাতি ও গাধা প্রতীকের এ লড়াইয়ের দিকে তাকিয়ে আছে পুরো বিশ্ব।