অনলাইন ডেস্ক:
ইউরোপের স্বপ্নযাত্রায় ইমিগ্রেন্টদের খুব সহজ একটি দরজা পর্তুগাল; বলতে গেলে খুব সহজেই পর্তুগালে বসবাসের অনুমতি পাওয়া যায় এবং সঙ্গতকারণেই বিভিন্ন দেশ থেকে অভিবাসীরা পর্তুগালে পাড়ি জমান।
পর্তুগাল জনপ্রিয় হওয়ার অন্যতম একটি কারণ হচ্ছে- আইনগতভাবে পাঁচ বছর বসবাস করে যে কেউ পর্তুগিজ নাগরিকত্ব গ্রহণ করতে পারে; যা ইউরোপের অন্য কোনো দেশে কোনোভাবেই সম্ভব নয়।
পর্তুগাল সরকারের অ্যাডমিনিস্ট্রেশন মিনিস্টার এদুয়ার্দো কাব্রিতা ৩ নভেম্বর পর্তুগিজ জাতীয় সংসদের ২০২১ সালের বাজেট অধিবেশন আলোচনায় উল্লেখ করেন, মার্চে পর্তুগালে করোনা হানা দেয়ার পর এবং জরুরি অবস্থা জারি করার কারণে তাছাড়া নিবন্ধিত ইমিগ্রেন্টদের করোনাভাইরাসের প্রেক্ষাপটে স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করার জন্য একটি ডিক্রি জারি করা হয়।
১৮ মার্চের পূর্বে যেসব অভিবাসী পর্তুগিজ ইমিগ্রেশনে তাদের ফাইল জমা দিয়েছেন তাদের সর্বমোট সংখ্যা ২ লাখ ৪৬ হাজার। তাদের অগ্রাধিকার ভিত্তিতে ২০২১ সালের ৩১ মার্চের মধ্যে বসবাসের অনুমতিপত্র বা সব প্রসেস সম্পন্ন করা হবে।
মন্ত্রী আরও যোগ করেন, পর্তুগালে প্রতিনিয়তই বিদেশি নাগরিকদের সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। ২০১৯ সালের শেষে ৫ লাখ ৮০ হাজার বিদেশি নাগরিক আইনগতভাবে পর্তুগালে বসবাস করছে এবং তা চলতি বছরের সেপ্টেম্বরের শেষনাগাদ ৬ লাখ ৩৪ হাজার এসে দাঁড়িয়েছে।
মন্ত্রী তার বক্তব্যে অভিবাসীদের স্বাগত জানিয়ে যোগ করেন- বিদেশি নাগরিকদের পর্তুগালের বসবাস একটি ইতিবাচক বিষয়। তাছাড়া গ্রিসে আটকে পড়া নাবালক অভিবাসীদের পর্তুগাল গ্রহণ করছে।
বর্তমান সরকারের বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ডের কারণে পর্তুগালে কর্মজীবীদের সংখ্যা বাড়ানোর তাগিদে পর্তুগিজ সরকার অভিবাসনের দরজা খোলা রেখেছেন এবং এসব বিদেশি নাগরিক সমন্বিতভাবে পর্তুগালের অর্থনীতিতে ভূমিকা রাখছেন।
সেরা নিউজ/আকিব