সেরা নিউজ ডেস্ক:
একদিকে গত সপ্তাহে অনুষ্ঠিত প্রেসিডেন্ট নির্বাচনকে হেয় করতে প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প ভিত্তিহীনভাবে ভোট জালিয়াতির অভিযোগ করছেন। অন্যদিকে তার পক্ষে আইনি লড়াই চালাতে অর্থ সহায়তার অনুরোধ করে তার টিমের সদস্যরা প্রচারণা চালাচ্ছে। এর মধ্যে একটি বার্তায় বলা হয়েছে ‘বামপন্থিরা এই নির্বাচনের ফল চুরি করতে চেষ্টা করছে’। এ খবর দিয়ে বার্তা সংস্থা রয়টার্স বলেছে, এ ডাকে সাড়া দিয়ে ট্রাম্পের তৃণমূল পর্যায়ে যেসব সমর্থক আছেন, তাদের অল্প পরিমাণে দান থেকে পর্যাপ্ত অর্থ সরবরাহ আসবে না। যদি ভোট গণনা এবং আইনী লড়াইকে যথাযথভাবে চালিয়ে নিতে হয় তাহলে এক একজন ডোনার বা দাতাকে কমপক্ষে ৮ হাজার করে ডলার দান করতে হবে। এ জন্য সমর্থকদের কাছে অর্থ জমা দিতে ‘অফিসিয়াল ইলেকশন ডিফেন্স ফান্ড’ নামে ওয়েবসাইট খোলা হয়েছে। এতে তাদেরকে সাইনআপ করে অর্থ দেয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে। বলা হয়েছে, নির্বাচনের ফল রক্ষা এবং নির্বাচনের পরেও লড়াই অব্যাহত রাখার জন্য তাদেরকে অর্থ দিতে অনুরোধ করা হয়েছে।
এই অর্থ অন্য সব অগ্রাধিকারেও ব্যবহার করা হবে বলে পরিষ্কার করা হয়েছে। সোমবার গঠন করা হয়েছে ট্রাম্পের নেতৃত্বাধীন পলিটিক্যাল একশন কমিটি ‘সেভ আমিরকা’। এতে এই অর্থের একটি বড় অংশ যাবে। এ ছাড়া অর্থের বড় একটি অংশ যাবে রিপাবলিকান ন্যাশনাল কমিটিতে। এ অবস্থায় ফেডারেল ইলেকশন কমিশনের আইন অনুযায়ী, এই দুটি গ্রুপ কিভাবে অর্থ খরচ করবে, তা জানানোর একটি রীতি আছে। এ বিষয়ে রয়টার্সের সাংবাদিক যোগাযোগের চেষ্টা করেন ট্রাম্পের প্রচারণা টিম, রিপাবলিকান ন্যাশনাল কমিটি ও সেভ আমেরিকার সঙ্গে। কিন্তু কোনো পক্ষই মন্তব্য করতে রাজি হয়নি। এখানে উল্লেখ্য, পলিটিক্যাল একশন কমিটির সেভ আমিরাকার মতো প্রতিষ্ঠান গঠন করতে পারেন প্রথম সারির রাজনীতিক। তিনি অন্য প্রার্থীদের পক্ষে অর্থ খরচ করার জন্য এমন সংগঠন প্রতিষ্ঠা করতে পারেন। কিন্তু প্রকাশিত তথ্যে জানা যাচ্ছে যে তহবিল গঠন করা হচ্ছে তা ট্রাম্প ও তার রিপাবলিকান ন্যাশনাল কমিটি এই সব অর্থ অন্য রাজনৈতিক খাতে ব্যবহার করতে পারবে। যেমন, জর্জিয়ায় আগামী জানুয়ারিতে সিনেট নির্বাচন। এই নির্বাচনে সিনেটের নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা হবে বলে আশা করা হয়।
সেরা নিউজ/আকিব